মেমারি, 22 এপ্রিল : স্কুলে ঢুকে বহিরাগতদের তাণ্ডব চালানোর পাশাপাশি হস্টেলের ভিতরে ঢুকে উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়াদের পেটানোর অভিযোগ উঠল (Students Allegedly Beaten by Outsiders in Hostel of Memari) । বৃহস্পতিবার গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের মেমারির দুর্গাডাঙা আল আমিন মিশনে (Memari Al Amin Mission) । ঘটনায় 20 জন পড়ুয়া আহত হয়েছে । ঘটনার জেরে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায়। আহতদের মেমারি গ্রামীণ হাসপাতালে চিকিৎসা চলছে । পুলিশ পাঁচজনকে আটক করেছে (Police Detained Five Accused) । এই পাঁচজনের মধ্যে হস্টেল সুপার হাসিবুল রহমান আলমও আছেন ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মেমারির দুর্গাডাঙা আল আমিন মিশনে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্ররা পড়াশোনা করে । পড়ুয়াদের অভিযোগ হস্টেল কর্তৃপক্ষ বেশ কিছুদিন ধরেই যে খাবার তাদের পরিবেশন করছে, তার মান খুবই নিম্ন । সেই নিয়ে তারা প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিল । বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তারা বিষয়টি নিয়ে ফের আল আমিন মিশনের সুপার হাসিবুল রহমান আলমের কাছে যায় ৷ এরপরে রাতের দিকে সুপারের নেতৃত্বে বেশকিছু বহিরাগত হস্টেলে ঢুকে লাঠি, রড দিয়ে পড়ুয়াদের মারধর করে বলে অভিযোগ ।
আল আমিন মিশনের ছাত্র শেখ দিশান মহম্মদ বলেন, ‘‘হস্টেল কর্তৃপক্ষ তাদের জানিয়েছিল হস্টেলে বিশৃঙ্খলা করার জন্য 20-25 জনকে বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হবে । ছাত্ররা জানায় যে তারা টাকা দিয়ে পড়তে এসেছে, তাই বাড়ি পাঠালে সবাইকে পাঠাতে হবে । না হলে কেউ কোথাও যাবে না । ওরা বিভিন্ন দাবি হস্টেল সুপারকে জানায় ।’’
তার আরও দাবি, ‘‘এছাড়া আমাদের কাছ থেকে টাকা নিলেও নিম্নমানের খাবার দেওয়া হয় । স্যারেরা খারাপ ব্যবহার করে, অকথ্য ভাষায় আমাদের গালি দেওয়া হয় । আমরা প্রতিবাদ করলে রাতের দিকে বহিরাগতদের নিয়ে এসে লাঠি রড দিয়ে আমাদের ক্যাম্পাসে ভাঙচুর করার পাশাপাশি আমাদের মারধর করা হয় । ঘটনায় আমরা আতঙ্কিত । আমরা চাই এখানকার ম্যানেজমেন্টকে যেন বদলে দিয়ে অভিযুক্তদের শাস্তি দেওয়া হয় ।’’
আরও পড়ুন : Teacher controversial Comments: র্যাগিং অল্পস্বল্প হওয়া উচিত, শিক্ষকের মন্তব্যে বিতর্ক