বর্ধমান, 10 ফেব্রুয়ারি : দলবদলের মরশুমে জল্পনা বাড়ালেন বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্য়ায় ৷ আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি আর ভোটের লড়াইয়ে দাঁড়াতে চান না ৷ এই মর্মে চিঠি পাঠালেন দলের নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে ৷
‘‘আমার আর রাজনীতি ভাল লাগছে না ৷ তাছাড়া, বয়সও হয়েছে ৷ তাই আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে আমি আর ভোটে দাঁড়াতে চাই না।’’ সূত্রের খবর, এই ভাষাতেই মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি পাঠিয়েছেন বর্ধমান দক্ষিণের তৃণমূল বিধায়ক।
মঙ্গলবারই কালনার জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন প্রাক্তন পুলিশকর্তা হুমায়ুন কবীর। গুঞ্জন, তিনি নাকি বর্ধমান দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রের টিকিটে ভোটে লড়তে পারেন ৷ যার বিদায়ী বিধায়ক রবিরঞ্জন ৷ অন্যদিকে, হুমায়ুন কবীর আবার এই কেন্দ্রেরই জামাই ৷ অর্থাৎ এখানেই তাঁর শ্বশুরবাড়ি ৷
মঙ্গলবার বর্ধমানে মাটি উৎসবের উদ্বোধন করেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ তারপর স্থানীয় বিধায়কদের সঙ্গে দেখাও করেন ৷ কিন্তু সেই দলে গরহাজির ছিলেন রবিরঞ্জন ৷ তারপরই প্রকাশ্য়ে এল এই চিঠির প্রসঙ্গ ৷ প্রশ্ন উঠছে, সত্য়িই কি বয়সের ভারে রাজনীতি থেকে পরিত্রাণ চাইছেন প্রবীণ রাজনীতিক ? নাকি, দলে কোণঠাসা হয়ে পড়াতেই বাড়ছে দূরত্ব?
আরও পড়ুন: পুলিশের চাকরি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ হুমায়ুন কবীরের
রাজ্য়ে গেরুয়া পালে হাওয়া লাগতেই মেজাজ বদলে যাচ্ছে তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের ৷ ইতিমধ্যেই পদ্মশিবিরে নাম লিখিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের মতো হেভিওয়েটরা ৷ অন্য়দিকে "বেসুরে বাজছেন" সিঙ্গুরের মাস্টারমশাই রবীন্দ্রনাথ ভট্টাচার্যের মতো প্রবীণরাও ৷ তবে কি রবিরঞ্জনও সেই পথেরই পথিক হলেন এবার ? উত্তর দেবে ভবিষ্যৎ৷