ETV Bharat / state

বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কেন্দ্র করে এডুকেশন হাব তৈরির সম্ভাবনা আছে, জানালেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস

education hub centered on universities: বাংলার বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কেন্দ্র করে এডুকেশন হাব তৈরির সম্ভাবনা আছে বললেন রাজ্যপাল ৷ একই সঙ্গে, রাজ্যপাল জানান, বিকশিত ভারত কর্মসূচির জন্য তিনি বর্ধমানে এসেছেন। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢোকার মুখে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা তাঁকে কালো পতাকা দেখিয়ে 'গো-ব্যাক রাজ্যপাল' স্লোগান দেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে।

Etv Bharat
Etv Bharat
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 16, 2023, 10:34 AM IST

রাজ্যপাল আনন্দ বোস

বর্ধমান, 16 ডিসেম্বর: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢোকার মুখে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা তাঁকে কালো পতাকা দেখায়। পাশাপাশি 'গো-ব্যাক রাজ্যপাল' স্লোগান দেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। পরে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে বৈঠকে যোগ দেন।

এদিন রাজ্যপাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "আচার্য হিসেবে অনেক জায়গায় গিয়েছি। এখানে এসে ভালো লাগলো। প্রধানমন্ত্রী এক বিকশিত ভারত গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। এই অনুষ্ঠানে এসে বুঝলাম আমাদের ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্ন দেখছেন তা অর্জন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব। আমাদের দেশ আজ বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাসের কেন্দ্রে উপনীত হয়েছে। আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম বিশ্বকে পথ দেখাবে। অসম্ভব বলে কিছু নেই। অসম্ভব শব্দটা বোকাদের অভিধানে শোভা পায়। তবে শিক্ষা ব্যাপারটা পুরোটা ক্লাসরুমে পাওয়া যায় না। মানুষের নিত্যদিনের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। সব জিনিসকে প্রশ্ন করতে শিখতে হবে।"

এদিন রাজ্যপাল জানান, বিকশিত ভারত কর্মসূচির জন্য তিনি এখানে এসেছেন। বাংলার বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে কেন্দ্র করে একটা এডুকেশন হাব তৈরি করার সম্ভাবনা আছে। তিনি বলেন, "বিকশিত ভারত ক্যাম্পেন শুরু করতেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা। এই কারণে আমি সব জায়গায় যাচ্ছি।" কালো পতাকা দেখানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কোনও সংঘাতের জন্য এখানে আসিনি। সমস্যাগুলির সমাধান করাই আমার লক্ষ্য। সমস্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনা করার জন্য বাংলা মডেল তৈরি করা হচ্ছে।"

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নির্দেশে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গৌতম চন্দ্র। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ থেকে শুরু করে এসএফআই দাবি করে গৌতম চন্দ্র আরএসএস প্রভাবিত শিক্ষক-গবেষক সংগঠনের একটা পদে আছেন। তাদের আরও অভিযোগ, রাজ্যপাল শিক্ষায় গৈরিকীকরণ করতে চাইছেন। ঠিক এই কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে প্রতিবাদের মুখে পড়েন রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন:

  1. বেঙ্গল সাফারি পার্কের পথে নতুন অতিথি, ত্রিপুরা থেকে আসছে দু’টি বিশেষ প্রজাতির বাঁদর ও দুটি সিংহ
  2. মাধ্যমিকে নয়া নিয়ম, প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে অভিনব উদ্যোগ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের
  3. জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বারাসতের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু ডাক্তারি পড়ুয়ার, কারণ ঘিরে বাড়ছে রহস্য

রাজ্যপাল আনন্দ বোস

বর্ধমান, 16 ডিসেম্বর: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকাঠামো ব্যবস্থা খতিয়ে দেখতে শুক্রবার গোলাপবাগ ক্যাম্পাসে আসেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। এদিন বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ঢোকার মুখে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সদস্যরা তাঁকে কালো পতাকা দেখায়। পাশাপাশি 'গো-ব্যাক রাজ্যপাল' স্লোগান দেয় বলেও অভিযোগ উঠেছে। পরে রাজ্যপাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিটোরিয়ামে বৈঠকে যোগ দেন।

এদিন রাজ্যপাল সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, "আচার্য হিসেবে অনেক জায়গায় গিয়েছি। এখানে এসে ভালো লাগলো। প্রধানমন্ত্রী এক বিকশিত ভারত গড়ে তোলার স্বপ্ন দেখেন। এই অনুষ্ঠানে এসে বুঝলাম আমাদের ভবিষ্যৎ খুব উজ্জ্বল। প্রধানমন্ত্রী যে স্বপ্ন দেখছেন তা অর্জন করা আমাদের পক্ষে সম্ভব। আমাদের দেশ আজ বিশ্বাস ও আত্মবিশ্বাসের কেন্দ্রে উপনীত হয়েছে। আমাদের দেশের তরুণ প্রজন্ম বিশ্বকে পথ দেখাবে। অসম্ভব বলে কিছু নেই। অসম্ভব শব্দটা বোকাদের অভিধানে শোভা পায়। তবে শিক্ষা ব্যাপারটা পুরোটা ক্লাসরুমে পাওয়া যায় না। মানুষের নিত্যদিনের অভিজ্ঞতা থেকে অনেক শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। সব জিনিসকে প্রশ্ন করতে শিখতে হবে।"

এদিন রাজ্যপাল জানান, বিকশিত ভারত কর্মসূচির জন্য তিনি এখানে এসেছেন। বাংলার বিশ্ববিদ্যালয় গুলিকে কেন্দ্র করে একটা এডুকেশন হাব তৈরি করার সম্ভাবনা আছে। তিনি বলেন, "বিকশিত ভারত ক্যাম্পেন শুরু করতেই এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আসা। এই কারণে আমি সব জায়গায় যাচ্ছি।" কালো পতাকা দেখানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "কোনও সংঘাতের জন্য এখানে আসিনি। সমস্যাগুলির সমাধান করাই আমার লক্ষ্য। সমস্ত ইস্যু নিয়ে আলোচনা করার জন্য বাংলা মডেল তৈরি করা হচ্ছে।"

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গিয়েছে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর মাসে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের নির্দেশে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য হিসেবে যোগ দেন প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক গৌতম চন্দ্র। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ থেকে শুরু করে এসএফআই দাবি করে গৌতম চন্দ্র আরএসএস প্রভাবিত শিক্ষক-গবেষক সংগঠনের একটা পদে আছেন। তাদের আরও অভিযোগ, রাজ্যপাল শিক্ষায় গৈরিকীকরণ করতে চাইছেন। ঠিক এই কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে প্রতিবাদের মুখে পড়েন রাজ্যপাল।

আরও পড়ুন:

  1. বেঙ্গল সাফারি পার্কের পথে নতুন অতিথি, ত্রিপুরা থেকে আসছে দু’টি বিশেষ প্রজাতির বাঁদর ও দুটি সিংহ
  2. মাধ্যমিকে নয়া নিয়ম, প্রশ্নপত্র ফাঁস রুখতে অভিনব উদ্যোগ মধ্য শিক্ষা পর্ষদের
  3. জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বারাসতের বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যু ডাক্তারি পড়ুয়ার, কারণ ঘিরে বাড়ছে রহস্য
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.