বর্ধমান, 26 এপ্রিল: পয়লা বৈশাখ তো বটেই অক্ষয় তৃতীয়া মানেও হালখাতার লালচিঠি। ক্রেতাকে কারবারির ওই লালচিঠির আমন্ত্রণও বটে। আসলে অক্ষয় তৃতীয়া সেই শুভদিন, যেদিন বচ্ছরকার হিসেবনিকেশ মিলিয়ে নেন ছোট বড় কারবারিরা। এবং অবশ্যই মঙ্গল কামনায় চিরাচরিত পূজা অনুষ্ঠান। বর্ধমান শহরের বহু দিনের রেওয়াজ, একটা বড় অংশের ব্যবসায়ী নিজের নিজের দোকানে পুজো দেওয়ার পাশাপাশি পুজো দিতে আসেন শহরের বিখ্যাত সর্বমঙ্গলা মন্দরে। ফলে অক্ষয় তৃতীয়ায় মন্দিরস্থানে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। কিন্তু, কোরোনা প্রকোপে চলা লকডাউনে সেই সর্বমঙ্গলা মন্দির প্রায় জনমানব শূন্য।
অন্যদিকে, পুলিশ প্রশাসনের কঠোর নজরদারিতে শহরের সিংহভাগ দোকানও ছিল বন্ধ। ফলে অক্ষয় তৃতীয়া পালনের প্রসঙ্গও ওঠেনি। এক্ষেত্রে পয়লা বৈশাখের অভিজ্ঞতা থেকে আগেই বেশ কিছু ব্যবস্থা নিয়েছিল পুলিশ। যেহেতু লকডাউন চলাকালীন প্রশাসনের তুলনামূলক শিথিল মনোভাবের কারণে সোনার দোকান সহ বেশ কিছু দোকান হাফ শাটার খুলে পূজা নুষ্ঠান করেছিল পয়লা বৈশাখে। এবার যা সম্ভব হল না।
অন্যদিকে, সরকারি নির্দেশিকা মেনে সামাজিক দূরত্ব মেনে সর্বমঙ্গলা মন্দিরে ভক্তদের অক্ষয় তৃতীয়ার পুজো গ্রহণ করা হয়নি এবার। ফলে, প্রতি বছর যে মন্দিরে আজকের দিনে ভিড়ে দমবন্ধ অবস্থা হয়, এ বছর সেই মন্দির জনমানব শূন্য।
সর্বমঙ্গলা মন্দির বাড়ির পুরোহিত অরুণ ভট্টাচার্য বলেন, "50 বছর ধরে এখানে পুজোর সঙ্গে যুক্ত আছি। অক্ষয় তৃতীয়াতে এইরকম ফাঁকা মন্দির দেখিনি। তবে মায়ের নিত্যসেবা, ভোগ নিবেদন করা হয়েছে।"