বর্ধমান, 18 এপ্রিল : কোরোনা সংক্রমণ ঠেকাতে মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে বলা হয়েছে বার বার । কিন্তু তারপরও বর্ধমানের নীলপুর বাজারে তা না মানার অভিযোগ আসছিল । সংক্রমণের আশঙ্কায় ছিলেন বিক্রেতারাও । সমস্যার সমাধানে আলাদা করা হয় সবজি ও মাছের বাজার । তারপর সেগুলিকে পৃথক মাঠে সরানো হয় । আর তারপরেই ভোল বদল বর্ধমানের নীলপুর বাজারের । ভিড় থাকলেও ঘেঁষাঘেষি করে বাজার করতে হচ্ছে না মানুষকে । প্রশাসনের এই ব্যবস্থায় খুশি বিক্রেতারাও ।
সামাজিক দূরত্ব নিয়ে মানুষকে সচেতন করতে বেশিরভাগ জেলা প্রশাসনকেই হিমশিম খেতে হচ্ছে । বিশেষত বাজারগুলিতে কাউকেই সামাজিক দূরত্ব মানতে দেখা যাচ্ছে না । বর্ধমানের নীলপুর, ঝুরঝুরেপুল, স্টেশন ও রানিগঞ্জ বাজারেও একই অবস্থা চোখে পড়ে প্রশাসনের । তবে, সবথেকে খারাপ অবস্থা ছিল নীলপুর বাজারের । সেখানে মানুষের ভিড় সামাল দিতে কয়েকবার যায় পুলিশ । ক্রেতারা যে সামাজিক দূরত্ব মানছেন না, সেবিষয়ে বিক্রেতাদের থেকেও অভিযোগ এসেছে অনেকবার ।
প্রশাসন এই পরিস্থিতির সামাল দিতে নীলপুরের সবজি ও মাছের বাজার আলাদা করে । সবজি বাজার সরানো হয় জাগরণী সংঘের মাঠে । আর মাছের বাজার সরিয়ে দেওয়া হয় স্থানীয় চৌরঙ্গি ক্লাবের মাঠে । এলাকা বড় হওয়ায় দূরত্ব রেখে বাজারে বিক্রেতারা বসেন । ফলে বিক্রেতাদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় থাকে । পাশাপাশি মাঠে চক গিয়ে কেটে দেওয়া গণ্ডিতে দাঁড়িয়ে জিনিস কেনাকাটা করেন ক্রেতারাও । যার জেরে ক্রেতাদের পরস্পরের মধ্যেও বজায় থাকে সামাজিক দূরত্ব । প্রশাসনের এই ব্যবস্থায় খুশি বিক্রেতারা । তাঁদের এখন বক্তব্য, এই ব্যবস্থা দিন দশেক আগে চালু করলে ভালো হত ।