পালসিট (পূর্ব বর্ধমান), 4 অগস্ট: টোল প্লাজার কর্মীকে মারধরের ঘটনায় দুঃখপ্রকাশ করেছেন সাংসদ সুনীল মণ্ডল। শুক্রবার ওই ঘটনার জন্য তিনি মর্মাহত বলে জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, টোল প্লাজার কর্মী অপ্রকৃতস্থ অবস্থায় ছিল ৷ যে ঘটনা ঘটেছে তা অনভিপ্রেত ৷
এদিন সাংসদ সুনীল মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, "ছেলেটি প্রকৃতস্থ অবস্থায় ছিল না। তবে যা ঘটেছে তার জন্য খারাপ লাগছে।" দলের বিধায়কের এই ধরনের আচরণে বিরক্ত জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। তৃণমূল নেতৃত্বের মতে, এইভাবে কেউ কারও গায়ে হাত তুলতে পারেন না। যদি কোনও অসুবিধা হতো তাহলে তাঁদের উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানাতে পারতেন।
শুক্রবার টোল কর্মী উজ্জ্বল সিং সর্দার বলেন, "এক নং গেটে আমার ডিউটি ছিল। সেখানে একটা গাড়ি আসে। গাড়িটি টোল প্লাজার ফাইবার স্ট্যান্ডে ধাক্কা মারে। ফলে সেটা গাড়িতে আটকে যায়। আমি ছুটে গিয়ে গাড়িটা ব্যাকে নিয়ে যেতে বলি। এরপর আমি স্ট্যান্ডটা গাড়ি থেকে বের করি। সেই সময় হঠাৎ দেখি গাড়ি থেকে এক ব্যক্তি ছুটে এসে আমাকে মারতে থাকেন। হুমকি দিয়ে বলে চাকরি থেকে সরিয়ে দেবেন। আমি থতমত খেয়ে যাই। ওনার সম্পর্কে আমি কোনও মন্তব্য করব না। তবে আমার খুব খারাপ লেগেছে। আমি গাড়ি আটকাইনি। আর আমি নেশা করি না। এখানে সাধারণত কোনও বিধায়ক কিংবা সাংসদের গাড়ি এলে আমরা ছেড়ে দিই। গাড়িতে কোন বোর্ড ছিল না। তাই আমি মনে করেছি এটা কোন সাধারণ ব্যক্তির গাড়ি। তাই আমি আমার ডিউটি করেছি। তবে এই ধরনের ঘটনা যেন আর কারও সঙ্গে না ঘটে।"
আরও পড়ুন: টোলপ্লাজায় কর্মীকে মারধর, অভিযুক্ত তৃণমূল সাংসদ
প্রসঙ্গত, বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের সাংসদ কলকাতা থেকে মঙ্গলকোট ফিরছিলেন ৷ পালসিট টোল প্লাজা ক্রশ করার সময় এক টোল কর্মী তাঁর গাড়ি আটকায় বলে অভিযোগ ৷ এরপর তাঁর বিরুদ্ধে টোল প্লাজার কর্মী উজ্জ্বল সিং সর্দারকে মারধর করার অভিযোগ ওঠে ৷ এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। ছুটে আসেন টোল প্লাজার অন্যান্য কর্মীরা। তাঁরা দেখেন সাংসদের গাড়িতে কোনও বোর্ড লেখা নেই। ফলে তারা সাংসদকে চিনতে পারেননি। সেই কারণেই তারা ভিআইপি গেট দিয়ে যাওয়ার সময় গাড়ি আটকান। অথচ সাংসদ কোনও কথা না-বলেই কর্মীকে হুমকি দিয়ে মারধর করতে শুরু করেন বলে অভিযোগ ৷