আউশগ্রাম, 24 অগস্ট : দুর্গাপুজো কমিটিগুলির অনুদান বাড়ানোর পাশাপাশি ইমাম ভাতা বাড়ানোর নিয়ে কটাক্ষ করলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম । পাশাপাশি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গ্রেফতারের দাবি জানান তিনি । বৃহস্পতিবার বিকেলে আউশগ্রামের বিষ্ণুপুরে খুন হওয়া সিপিএম কর্মী রাজিবুল হকের স্মরণ সভায় যোগ দিতে এসে তৃণমূল ও বিজেপিকে একহাত নেন তিনি ।
এদিনের স্মরণসভা থেকে মহম্মদ সেলিম বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বুঝতে পারছেন ইমাম আর পুজো কমিটির টাকা বাড়িয়ে কিছু বেইমান কিনতে চাইছেন । ভাইপো দেখছেন না বিদেশ গিয়েছিল, এদিকে ইডি বাড়িতে গিয়ে রেড করেছে । শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির টাকা কালীঘাটে পিসি আর ভাইপোর খাতায় জমা হয়েছে । সেই টাকা বিদেশে পাচার করা হয়েছে । সব হদিশ পাওয়া যাচ্ছে । কেন যাবে না? গ্রাম বাংলার খেটে খাওয়া মানুষের লুট করা টাকা জমা হয়েছে । আমরা অপরাধী অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে গ্রেফতার করে জেরা করার দাবি জানাচ্ছি । কিন্তু বিজেপি সেটা করবে? তাই আমরা রাস্তায় নেমেছি ।"
তিনি আরও উল্লেখ করেন, "মন্ত্রী মলয় ঘটককে 12 বার ইডি-সিবিআই ডেকেছে । কিন্তু তিনি যাননি । এখন হাসপাতালে ভরতি হয়ে গিয়েছেন। হাসপাতালে গিয়েও পার পাবেন না । সাধারণ মানুষ ভেবেছিল বিজেপি এসে তৃণমূলকে শায়েস্তা করবে । কিন্তু কে বিজেপি, কে শুভেন্দু । ওই চোর মমতার তো শাগরেদ ছিল । ওরা একসঙ্গে মুকুল শুভেন্দু মমতা মিলে কমিউনিস্টদের খুন করেছিল । আজও করতে চাইছে । আর বিজেপি রামের নামে অযোধ্যা থেকে স্বাস্থ্যবীমা সব ক্ষেত্রেই তাদের দুর্নীতি । কারণ চোর কখনও চোরকে ধরবে না । একদিকে মোদির লুঠ আর একদিকে দিদির লুঠ চলবে ।"
আরও পড়ুন: 'ছেলেও আমার মতোই দোষীদের শাস্তি চায়,' দাবি যাদবপুরকাণ্ডে ধৃত জয়দীপের বাবার
সেইসঙ্গে মিজোরামের রেলব্রিজ দুর্ঘটনা প্রসঙ্গেও শাসকদলকে কটাক্ষ করেন ৷ তিনি জানান, বাংলায় কল কারখানা না থাকায় ভিনরাজ্যে কাজ করতে গিয়ে মৃত্যু হচ্ছে পরিযায়ী শ্রমিকদের । আজ মালদার পনেরো বছরের ছেলে স্কুল থেকে ড্রপ-আউট হয়ে মিজোরাম গিয়েছে ব্রিজ তৈরি করতে, ভাবা যায় ! এটাই কি বাংলার ছেলেদের ভবিষ্যৎ? প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন মহম্মদ সেলিম।