পূর্ব বর্ধমান, 14 জুলাই : তৃণমূল নেতা খুনের অভিযোগ উঠল দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে ৷ হিংসাত্মক ঘটনাটি ঘটে সোমবার সন্ধেয় পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোটে ৷ এর তীব্র নিন্দা করেছেন রাজ্যের মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী ৷
সোমবার সন্ধেয় দলীয় কার্যালয় থেকে ফিরছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের লাখুড়িয়ার অঞ্চল সভাপতি অসীম দাস । পথে দুষ্কৃতীরা গুলি করে তাঁকে, মারা যান তৃণমূল নেতা ৷ মঙ্গলকোটের তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা এই খুনের ঘটনায় জড়িত । অন্যদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে অভিযোগ অস্বীকার করে পালটা দাবি করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে এই ঘটনা ঘটেছে ।
এমন ঘটনার তীব্র সমালোচনা করে মন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী বলেন, "খুবই দুঃখদায়ক ৷ ব্যক্তিগত ভাবে আমি তাঁকে চিনতাম ৷ যারা খুন করেছে, প্রচণ্ড অপরাধ, যা ভোলা সম্ভব নয় ৷" এই ঘটনা শুধুমাত্র মঙ্গলকোটের জন্য নয়, সার্বিক ভাবে আইনশৃঙ্খলার নিয়ে প্রশ্ন তোলে, খুব অন্যায় কাজ বলে জানান তিনি ৷ এর তদন্ত দাবি করে তিনি বলেন, "আমি পুলিশকে বলব নিরপেক্ষতা বজায় রেখে তদন্ত করতে ।"
আরও পড়ুন : উপনির্বাচন নিয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ শুভেন্দুর, পালটা শাসকদলের
কে বা কারা এই খুন করতে পারে, এ প্রশ্নের উত্তরে তিনি কোনও মন্তব্য করতে চাননি ৷ তবে তিনি বলেন, "বিজেপির মুখ আলগা, তারা অনেক কিছু বলতে পারে । আমরা তো মন্ত্রী, অত মুখ আলগা করলে চলতে পারব না ৷" এই ঘটনার তদন্ত চেয়ে প্রয়োজনে তিনি এসপিকে বলবেন, মঙ্গলকোটের বিধায়ক ৷ তিনি নিজেও অঞ্চল সভাপতি অসীমকে চেনেন, নির্বাচনে কাজ করেছেন, জানালেন মন্ত্রী ৷
"মৃত নেতার পরিবারকে সান্ত্বনা জানাচ্ছি ৷ এলাকার মানুষকে বলব শান্ত হয়ে থাকুন", বললেন সিদ্দিকুল্লা ৷ এই হিংসাত্মক ঘটনায় আগের মঙ্গলকোটের স্মৃতিচারণ করে তিনি আক্ষেপের সুরে বলেন, "অনেক দিন মঙ্গলকোট শান্ত হয়ে ছিল ৷ একসময় খুন খারাপির স্বর্গ রাজ্য ছিল মঙ্গলকোট ৷ আমি চাই না সেই জায়গাটা থাকুক ৷"