পূর্বস্থলী, 28 অগস্ট: দত্তপুকুরে যে বিস্ফোরণ হয়েছে সেটা কি ছোটখাটো চন্দ্রযানের পরিকল্পনা ছিল, পূর্বস্থলীর জনসভা থেকে এমনই তীর্যক প্রশ্ন ছুঁড়ে দিলেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। সোমবার পূর্বস্থলী এক ব্লকের জাহান্নগর পঞ্চায়েতের বিদ্যানগর মোড়ে বিজেপির জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও একহাত নিলেন লকেট।
এদিন লকেট চট্টোপাধ্যায় দত্তপুকুরে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে কটাক্ষের সুরেই মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে তীব্র আক্রমণ করেছেন লকেট চট্টোপাধ্য়ায় ৷ তিনি বলেন, "দত্তপুকুরে যে বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানে কি ছোটোখাটো কোনও চন্দ্রযান তৈরির পরিকল্পনা চলছিল ? বোমা বিস্ফোরণে কতজন মারা গিয়েছেন কেউ জানে না। মনে হয় সেখানে বিজ্ঞানীরা ছিল। এমন বিস্ফোরণ হয়েছে সেখানে বারাসাত শহরই কেঁপে উঠেছে। ছয় মাসের শিশুর মৃত্যু হয়েছে। দত্তপুকুর প্রথম নয় এর আগে এগরাতে হয়েছে। তার আগে খাগড়াগড় হয়েছে, পিংলা হয়েছে। এবার দত্তপুকুরে ব্যাগ ভর্তি টাকা আর চাকরি নিয়ে যাবেন উনি (মুখ্যমন্ত্রী)। টাকা চাকরি দিলেই মুখ বন্ধ। যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে অন্য কোনও ঘটনা ঘটলে মানুষ এটা ভুলে যাবে তখন এদের ছেড়ে দেবে।"
এরপরই মুখ্যমন্ত্রীকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, "বাংলায় এই মুখ্যমন্ত্রী থাকলে সন্ত্রাস এভাবেই চলবে। এই বাজি কারখানার আড়ালে বোমা শিল্প চলে। উনি 12 বছরে কোনও শিল্প নিয়ে আসতে পারেননি। বাংলায় একটাই শিল্প গড়ে উঠেছে বোমা শিল্প, গুলি শিল্প, সন্ত্রাসের শিল্প।" লকেটের দাবি, আদতে কে, কত রকমভাবে সন্ত্রাস করতে পারে তার প্রতিযোগিতা চলছে রাজ্যে। রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা ঘটে চলেছে সেই প্রসঙ্গও এদিন তুলে ধরে আক্রমণ শানিয়েছেন লকেট চট্টোপাধ্যায় ৷
আরও পড়ুন: দত্তপুকুর বিস্ফোরণে সাসপেন্ড দুই পুলিশ আধিকারিক, মন্ত্রিসভার বৈঠকেই নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর
তিনি বলেন, "পঞ্চায়েত ভোটে যেভাবে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করে তৃণমূল জিতেছে সেই ভোটকে আমরা মানি না। মানুষকে এরা বিশ্বাস করে না। এরপরও বেশ কিছু জায়গায় বিজেপি জিতেছে। আবাস যোজনা থেকে একশো দিনের কাজ, সবেতেই দুর্নীতি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। উনি দিনরাত অভিযোগ তুলছেন যে কেন্দ্র নাকি টাকা কেটে নিচ্ছে তাই টাকা নেই। অথচ ক্লাবগুলোকে 70 হাজার টাকা করে দিচ্ছে। এই টাকা আসছে কোথা থেকে ? বিভিন্ন জায়গায় চলছে একের পর এক ধর্ষণের ঘটনা। এখানে কিন্তু মহিলাদের উপর অত্যাচার হলে কাউকে পাঠানো হয় না। অথচ উত্তর প্রদেশ বা মণিপুরে কিছু ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে সাংসদদের পাঠিয়ে দেয়।"