মঙ্গলকোট, 22 জুলাই: জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এক গৃহবধূকে আগুনে পুড়িয়ে মারার চেষ্টার অভিযোগ উঠলো ভাসুর ও ভাসুরপোর বিরুদ্ধে । শনিবার পূর্ব বর্ধমানের মঙ্গলকোট থানার কুরম্বো গ্রামের মাঝের পাড়া এলাকার এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। গুরুতর আহত অবস্থায় বীথিকা গড়াই নামে আহত ওই গৃহবধূকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে । মঙ্গলকোট থানার পুলিশ এই ঘটনায় অভিযুক্ত ভাসুর সুবলচন্দ্র গড়াই ও তার ছেলে পূর্ণচন্দ্র গড়াইকে আটক করেছে ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার ভোরের দিকে মঙ্গলকোটের মাঝের পাড়ার গ্রামবাসীরা এক মহিলার আর্তনাদ শুনে ছুটে যান । তারা দেখেন হাত পা বাঁধা অবস্থায় বীথিকা গড়াই নামে ওই গৃহবধূর শরীর জ্বলছে । গ্রামবাসীরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ৷ অভিযোগ, বীথিকা গড়াইয়ের হাত-পা বেঁধে গায়ে কেরোসিন তেল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় তাঁর ভাসুর সুবলচন্দ্র গড়াই ও তার ছেলে পূর্ণচন্দ্র গড়াই ।
আরও পড়ুন: মালদার ঘটনায় ধৃত 5, অন্য অভিযোগে গ্রেফতার দুই নির্যাতিতাও; দাবি জেলা পুলিশের
জানা গিয়েছে, বেশ কিছুদিন ধরেই সুবলের সঙ্গে তাঁর ভাই নবকুমারের জমি সংক্রান্ত ঝামেলা চলছিল। বিষয়টি নিয়ে কাটোয়া আদালতে মামলাও হয় । দিনকয়েক ধরে সুবলের বাড়িতে প্লাস্টার করা নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে অশান্তি চলছিল । সেই বিবাদের মধ্যে এদিন ভোরের দিকে বীথিকাকে ধরে নিয়ে গিয়ে হাত-পা বেঁধে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে সুবল ও তার ছেলের বিরুদ্ধে । বিথীকার আর্তনাদে আশেপাশের মানুষজন ছুটে আসেন । গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয় ।
আরও পড়ুন: লেবু বেচতে হাটে গিয়ে মিথ্যে অপবাদে হেনস্থার শিকার, দাবি নির্যাতিতার মেয়ের
পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ অভিযুক্ত সুবল ও তার ছেলেকে আটক করে নিয়ে যায়। গ্রামবাসী অনিল গড়াই এই প্রসঙ্গে জানান, জায়গা জমি সংক্রান্ত বিবাদের জেরে এক গৃহবধূর হাত-পা বেঁধে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। বেশ কিছুদিন ধরেই তাদের পরিবারে জমি সংক্রান্ত ঝামেলা চলছিল। কিন্তু সেই কারণে একজনকে এইভাবে এক বাড়ি থেকে অন্য বাড়ি নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে মারার চেষ্টা হবে ভাবা যায় না ।