বর্ধমান, 11 অগস্ট : তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাল অন্য পঞ্চায়েতের সদস্যরা। 12 জন সদস্যের মধ্যে 8 জন পঞ্চায়েত সদস্য গ্রামের প্রধান শর্মিলা মালিকের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। খুব তাড়াতাড়ি প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা হবে বলে জানান তাঁরা।
পূর্ব বর্ধমানের বৈকুণ্ঠপুর-2 গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা। পঞ্চায়েত সদস্যদের অভিযোগ গত পাঁচ বছর ধরে এলাকার রাস্তার অবস্থা বেহাল ও শ্মশান সংস্কার হয়নি। প্রধানকে বারবার বলা হলেও তিনি কোন ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। বৈকুণ্ঠপুর-2 গ্রাম পঞ্চায়েতটি তৃণমূল কংগ্রেসের দখলে। সেখানে মোট 12 জন পঞ্চায়েতের সদস্য আছেন। তার মধ্যে 8 জন সদস্যই পঞ্চায়েত প্রধান শর্মিলা মালিকের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চলেছেন।
গতকাল বিকেল নাগাদ পঞ্চায়েত প্রধানকে হেনস্থা করার অভিযোগ ওঠে স্থানীয় তৃণমূল নেতা মোজাম্মেল শায়ের বিরুদ্ধে। এরপরেই পঞ্চায়েত প্রধান বর্ধমান থানায় অভিযোগ করে জানান, হাটশিমূল গ্রামের গ্রামবাসীরা গ্রামের সমস্যা নিয়ে কথা বলছিলেন। সেই সময় তৃণমূল নেতা মোজ্জাম্মেল শা তার দলবল নিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে এসে তার ঘরে ঢুকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করতে থাকে। তাকে মারধর করতেও উদ্যত হয়।
আরও পড়ুন : প্রতিবেশীর কান কামড়ে ছিঁড়ে নিল মদ্যপ যুবক
বিধানসভা নির্বাচনের আগে ওই নেতা পরিকল্পনা করে পঞ্চায়েতে অনাস্থা আনার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু পারেনি। সেই সময় থেকেই তারা বিভিন্ন ভাবে প্রধানের উপর বিভিন্নভাবে হেনস্থা করছে ৷
পঞ্চায়েতের সদস্য গোপাল বিশ্বাস বলেন, "হাটশিমূল এলাকটায় রাস্তার সমস্যা আছে। আমরা সেই রাস্তা এখনও ঠিক করে উঠতে পারিনি। আমরা জেলা পরিষদে গিয়েছিলাম কিন্তু দুর্ভাগ্য সেই রাস্তা হয়নি। আমরা নিজেদের ফান্ড থেকে রাবিশ পাথর দিয়ে কোনওরকমে চলাচলের উপযুক্ত করেছিলাম। দীর্ঘদিন ধরে সাধারণ মানুষের দাবি আছে হাটশিমূলে একটা শ্মশান করার, সেটাও হয়নি।"
তিনি আরও বলেন, "নির্বাচনের কথা ভেবে আমরা অনাস্থা আনতে পারিনি। কিন্তু নির্বাচন মিটে যাওয়ার পরে কোনও ব্যবস্থা না নেওয়ায় ফের আনতে চলেছি এই অনাস্থা। গ্রামের প্রধান যেভাবে দুর্নীতি করে চলেছে তাতে পঞ্চায়েতের কাজকর্ম ব্যাহত হচ্ছে। প্রধানের কাজ হওয়া উচিৎ সাধারণ মানুষ যেটা চাইছে সেই অনুযায়ী কাজ করা। কিন্তু প্রধান তাদের কথা তো শোনেনই না উল্টে তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে থাকেন। তাই উনি প্রধান থাকলে পঞ্চায়েতের কাজ লাটে উঠবে। তাই আমরা চাইছি অনাস্থা আনতে। "
আরও পড়ুন : Goghat Hooghly: গোঘাটে ত্রাণবিলি নিয়ে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
গ্রামপ্রধান শর্মিলা মালিক বলেন, "পঞ্চায়েতের বেশ কিছু সদস্য নিজেদের ইচ্ছেমতো কাজ করতে চাইছে । কিন্তু সেই কাজে আমি সাড়া না দেওয়ায় তারা নানাভাবে আমাকে হেনস্থা করছে। তারা এখন অনাস্থা আনতে চাইছে।"