ETV Bharat / state

ওভারলোডেড বালির লরির দাপট ! পিচ উঠে ধুলো উড়ছে রাস্তায়

পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানায় লোয়া-রামগোপালপুর এলাকায় দামোদর থেকে দিনে দুপুরে হাজার হাজার ট্রাক বালি ওভারলোড করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর জেরে রাস্তার অবস্থা বেহাল। প্রতিবাদে গতকাল বালির গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয়রা।

গ্রামবাসীদের বিক্ষোভ
author img

By

Published : Feb 24, 2019, 12:47 PM IST

গলসি, ২৪ ফেব্রুয়ারি : অবৈধভাবে ওভারলোডেডবালির গাড়ি চলাচলের জন্য রাস্তার অবস্থা বেহাল। এর জেরে নাকাল ছাত্রছাত্রী থেকে নিত্যযাত্রী সকলেই। প্রতিবাদে গতকাল বালির গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানায় লোয়া-রামগোপালপুর এলাকায় দামোদর থেকে দিনে দুপুরে হাজার হাজার ট্রাক বালি ওভারলোড করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর জেরে রাস্তার অবস্থা এতটাই বেহাল যে যে কোনও সময় যে কেউ দুর্ঘটনায় পড়তে পারে। এবিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা বদরুদ্দোজা মণ্ডল বলেন, "লোয়া-রামগোপালপুরে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় দীর্ঘদিন আগে পিচের রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু দিনের পর দিন ওই রাস্তা দিয়ে দামোদর থেকে বালির গাড়ি যাওয়ার ফলে রাস্তাটি ভেঙে যায়। বর্তমানে ওটা ধুলোর রাস্তায় পরিণত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এদিকে রাস্তা বেহাল হওয়ার কারণে স্থানীয়দের প্রায়দিনই বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে।"

অন্যদিকে, এক বালির লরি চালক জানান, রাস্তা খারাপ হওয়ার জন্য তাঁদেরও গাড়ি নিয়ে যেতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। তিনি স্বীকার করে নেন ওভারলোডিং বালির গাড়ির কারণেই রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

undefined

গলসি, ২৪ ফেব্রুয়ারি : অবৈধভাবে ওভারলোডেডবালির গাড়ি চলাচলের জন্য রাস্তার অবস্থা বেহাল। এর জেরে নাকাল ছাত্রছাত্রী থেকে নিত্যযাত্রী সকলেই। প্রতিবাদে গতকাল বালির গাড়ি আটকে বিক্ষোভ দেখাল স্থানীয়রা। তাদের অভিযোগ, পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানায় লোয়া-রামগোপালপুর এলাকায় দামোদর থেকে দিনে দুপুরে হাজার হাজার ট্রাক বালি ওভারলোড করে নিয়ে যাওয়া হয়। এর জেরে রাস্তার অবস্থা এতটাই বেহাল যে যে কোনও সময় যে কেউ দুর্ঘটনায় পড়তে পারে। এবিষয়ে প্রশাসনকে জানানো হলেও তারা কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

এবিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা বদরুদ্দোজা মণ্ডল বলেন, "লোয়া-রামগোপালপুরে প্রধানমন্ত্রী গ্রাম সড়ক যোজনায় দীর্ঘদিন আগে পিচের রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু দিনের পর দিন ওই রাস্তা দিয়ে দামোদর থেকে বালির গাড়ি যাওয়ার ফলে রাস্তাটি ভেঙে যায়। বর্তমানে ওটা ধুলোর রাস্তায় পরিণত হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় পঞ্চায়েত থেকে শুরু করে প্রশাসনিক আধিকারিকদের কাছে যাওয়া হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কেউ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এদিকে রাস্তা বেহাল হওয়ার কারণে স্থানীয়দের প্রায়দিনই বিপদের মুখে পড়তে হচ্ছে।"

অন্যদিকে, এক বালির লরি চালক জানান, রাস্তা খারাপ হওয়ার জন্য তাঁদেরও গাড়ি নিয়ে যেতে খুব সমস্যায় পড়তে হয়। তিনি স্বীকার করে নেন ওভারলোডিং বালির গাড়ির কারণেই রাস্তা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

undefined
Intro:দল যোগ্য সম্মান দিচ্ছে না এই অভিযোগ তুলে পদত্যাগ পত্র জমা দিলেন অঞ্চল সভাপতি
পুলক যশ, বৈকুন্ঠপুর, বর্ধমান
দল যোগ্য সম্মান দিচ্ছে না এই অভিযোগ তুলে বর্ধমান-২ ব্লকের তৃণমূলের ব্লক সভাপতির কাছে পদত্যাগ ও দলত্যাগ পত্র পাঠালেন দলের অঞ্চল সভাপতি সুব্রত পাল।তিনি দলবল নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিতে পারেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে তিনি জানিয়েছেন। এদিন পদত্যাগ পত্র পাঠানোর পরে সাংবাদিকদের সামনে ক্ষোভ উগরে দিলেন সুব্রত বাবু।
Body:তিনি বলেন, ১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেসের জন্মলগ্ন থেকে বর্ধমান-২ ব্লকের বৈকুন্ঠপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের একনিষ্ঠ কর্মী হিসেবে কাজ করে গেছেন। পরে দল তাকে ব্লক কমিটির সম্পাদক করে। তিনি বৈকুন্ঠপুর-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান পদের দায়িত্বও সামলান। বর্তমানে তিনি অঞ্চল সভাপতি। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ‘ মানুষের পাশে থাকার জন্য রাজনীতিতে এসেছিলাম। কিন্তু গত তিন বছর ধরে দল আর যোগ্য সম্মান দিচ্ছে না। আমি দলে নামমাত্র অঞ্চল সভাপতি। দলের কোন কর্মসূচিতে আমাকে ডাকা হয় না, আমার মতামত দলে গ্রাহ্য হয় না। তাই দলের বোঝা হয়ে আমিও থাকতে চাই না। সেই কারণেই অঞ্চল সভাপতির পদ থেকে পদত্যাগের পাশাপাশি আমি তৃণমূল কংগ্রেস থেকে দলত্যাগ করলাম।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন অঞ্চলে কোন সভা হলে অঞ্চল সভাপতি ডাক পাবে না। আর মতামতকে গুরুত্ব দেওয়া হবে না। এটা এখন তৃণমূলের দলীয় কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদিন প্রায় ৫০ জন একসাথে দলত্যাগ করেন। আরো অনেকেই দল ছাড়বে আগামীদিনে। তাদের হুমকি দিয়ে আটকে রাখা হচ্ছে।
যদিও পঞ্চায়েত ভোটের আগে থেকেই সুব্রত পালের বিরুদ্ধে বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ রাখার অভিযোগ উঠছিল। এমনকি পঞ্চায়েত ভোটে বিজেপিকে সাহায্য করার অভিযোগও উঠেছে। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলাও হয়েছিল। সেই সময়েই তিনি দল ছাড়তে চলেছেন বলে ঘনিষ্ঠ মহলে ঘুরপাক খেতে থাকে। এদিন তিনি বলেন ‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকেই আমার নামে প্রচার হয়ে যায় আমি নাকি বিজেপিকে সাহায্য করেছি।’
Conclusion:দলের ব্লক সভাপতি শ্যামল দত্ত বলেন , পদত্যাগ পত্র হাতে পেয়েছি কিন্তু এখনো তা গৃহীত হয়নি। তার মতামত আমরা শুনেছি। আমরা তার সঙ্গে আলোচনা করে আমাদের মতামত তাকে জানাবো । সেই অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.