কালনা, 29 মে: নিজের ছেলের সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়িয়েছিলেন স্ত্রী ৷ এমনই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করল স্বামী ৷ মৃতের নাম ঠাকুরানী বাগ (42)। পূর্ব বর্ধমান জেলার কালনার তালপুকুর এলাকার ঘটনা। কালনা থানার পুলিশ অভিযুক্ত মদনকে আটক করেছে।
স্থানীয় ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কালনার তালপুকুর এলাকার বাসিন্দা মদন ও ঠাকুরানীর দুই মেয়ে, এক ছেলে। বড় মেয়ের বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছেলে মালদাতে একটা হোটেলে কাজ করেন। ছোট মেয়ে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী। বেশ কিছুদিন ধরেই নিজের ছেলের সঙ্গে স্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহ করতে শুরু করেন মদন। ফলে শুরু হয় পারিবারিক অশান্তি। দিনকয়েক আগে তার ছেলে মালদা থেকে মামার বাড়িতে ফিরেছিল। মা ঠাকুরানী ছেলেকে দেখতে চাইলে বাধা দেন বাবা মদন বাগ ৷ ফলে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। রবিবারও সারাদিন কমবেশি অশান্তি চলে। রাতে তারা একসঙ্গে খাওয়া-দাওয়াও করে। এরপর এক ঘরে দুই মেয়ে শুতে যায়। পাশের ঘরে তাঁর মা বাবা ঘুমাতে যায়। সোমবার সকালে ছোট মেয়ে ঘুম থেকে উঠে দেখে তার মায়ের ঘরে দরজা বন্ধ। দরজা ঠেলে দেখে মায়ের রক্তাক্ত দেহ পড়ে আছে মাটিতে। ঘরে বাবা নেই ৷ পরিবারের অভিযোগ, মদন তাঁর স্ত্রীকে খুন করে পালিয়েছে। কালনা থানার পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করেছে।
মৃতের দাদা খোকন মিস্ত্রি অভিযোগ করে বলেন, "বোনকে সারাক্ষণ জামাইবাবু সন্দেহ করতেন। তা নিয়ে তাঁদের মধ্যে অশান্তি চলছিল ৷ এমনকী তাঁর ছেলে যখন বোনের সঙ্গে কথা বলত সেটা জামাইবাবু মানতে পারত না। ফলে আমার ভাগনা আমার বাড়িতেই থাকত। গত কয়েকদিন ধরে তাঁদের মধ্যে অশান্তি চলছিল। গতকাল রাতে বোনকে কুপিয়ে খুন করেছে জামাইবাবু।"
আরও পড়ুন: মদের আসরে বচসার জেরে খুন, গ্রেফতার অভিযুক্ত
মৃতার ছোট মেয়ে শতরূপা বাগ বলেন, "রাতে বাবা-মা আমি আর দিদি একসঙ্গে রাতের খাবার খাই ৷ তারপরে আমি আর দিদি একটা ঘরে ঘুমোতে চলে যাই। পাশের ঘরে মা-বাবা ঘুমাতে যায়। সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরে অনেকক্ষণ কেটে গেলেও দেখি মা ঘুম থেকে ওঠেনি। মায়ের ঘরে দরজা খুলে দেখি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। ঘরে বাবা ছিল না। তবে বাবা মা'কে সন্দেহ করতো। সেই নিয়ে মায়ের মধ্যে ঝগড়াঝাটি হতো। আমার সন্দেহ ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাকে খুন করা হয়েছে। বাবার যেন শাস্তি হয়।"