ETV Bharat / state

প্রশ্ন বিভ্রাটের জের, সরতে হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার প্রধানকে - Question Paper Leaked

স্নাতকোত্তরস্তরের পরীক্ষায় প্রশ্ন বিভ্রাটের জেরে সরতে হল বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলার প্রধানকে?

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়
author img

By

Published : Mar 20, 2019, 11:32 PM IST

বর্ধমান, ২০ মার্চ : স্নাতকোত্তরস্তরের পরীক্ষায় প্রশ্ন বিভ্রাট। তার জেরে দায়িত্ব পাওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে সঙ্গীতা সান্যালকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। মলয় রক্ষিতকে বাংলা বিভাগের দায়িত্বে আনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, "প্রশ্ন সংক্রান্ত গোলযোগের কারণে বাংলা বিভাগের প্রধানের পদ থেকে সঙ্গীতা সান্যালকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। EC-র বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সাধারণত দু'বছরের জন্য বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু, স্নাতকোত্তরস্তরের পরীক্ষায় ২০১ নম্বর ও ২০২ নম্বর প্রশ্নপত্রে ছাপা সংক্রান্ত কিছু বিভ্রাট হয়েছিল। তার জেরে পরীক্ষাকেন্দ্রে ২০১ নম্বর প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ২০২ নম্বর প্রশ্নপত্রও চলে আসে। পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন দেওয়ার আগেই বিষয়টি এক অধ্যাপকের নজরে আসে। তিনি তৎক্ষণাৎ বাংলার বিভাগের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ৩০ মিনিটের মধ্যে ফের পরীক্ষা শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু, একাধিক মহল থেকে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। তারপর আজ আচমকা বাংলা বিভাগের প্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

তবে একটি মহলের বক্তব্য, পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়নি। তাই প্রশ্নফাঁসের কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাদের দাবি, বিভাগীয় প্রধানকে বদলির পিছনে অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে। বিষয়টি নিয়ে সঙ্গীতা সান্যালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তিনি বলেন, "এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়। তাই এই বিষয়ে কিছু বলব না।"

বর্ধমান, ২০ মার্চ : স্নাতকোত্তরস্তরের পরীক্ষায় প্রশ্ন বিভ্রাট। তার জেরে দায়িত্ব পাওয়ার পাঁচ মাসের মধ্যে সঙ্গীতা সান্যালকে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হল। মলয় রক্ষিতকে বাংলা বিভাগের দায়িত্বে আনা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার তোফাজ্জেল হোসেন বলেন, "প্রশ্ন সংক্রান্ত গোলযোগের কারণে বাংলা বিভাগের প্রধানের পদ থেকে সঙ্গীতা সান্যালকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। EC-র বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।"

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সাধারণত দু'বছরের জন্য বিভাগীয় প্রধানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু, স্নাতকোত্তরস্তরের পরীক্ষায় ২০১ নম্বর ও ২০২ নম্বর প্রশ্নপত্রে ছাপা সংক্রান্ত কিছু বিভ্রাট হয়েছিল। তার জেরে পরীক্ষাকেন্দ্রে ২০১ নম্বর প্রশ্নপত্রের সঙ্গে ২০২ নম্বর প্রশ্নপত্রও চলে আসে। পরীক্ষার্থীদের প্রশ্ন দেওয়ার আগেই বিষয়টি এক অধ্যাপকের নজরে আসে। তিনি তৎক্ষণাৎ বাংলার বিভাগের প্রধানের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। ৩০ মিনিটের মধ্যে ফের পরীক্ষা শুরু করা হয়েছিল। কিন্তু, একাধিক মহল থেকে প্রশ্নফাঁসের অভিযোগ উঠেছিল। তারপর আজ আচমকা বাংলা বিভাগের প্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হয়।

তবে একটি মহলের বক্তব্য, পরীক্ষার্থীদের প্রশ্নপত্র দেওয়া হয়নি। তাই প্রশ্নফাঁসের কোনও সম্ভাবনাই নেই। তাদের দাবি, বিভাগীয় প্রধানকে বদলির পিছনে অন্য কোনও কারণ থাকতে পারে। বিষয়টি নিয়ে সঙ্গীতা সান্যালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। তিনি বলেন, "এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়। তাই এই বিষয়ে কিছু বলব না।"

Intro:‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা’ ও ‘ভজ গৌরাঙ্গ লহ গৌরাঙ্গ’ গানকে নিয়ে প্যারোডি করলেন বিজেপি নেতা , বিতর্ক বর্ধমানে
পুলক যশ, বর্ধমান

তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ব্যাক্ত করতে গিয়ে এবার দিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা ’ গানের ছন্দে বিকৃত করলেন বিজেপি নেতা তথা বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য গোলাম জার্জিস। তিনি এই গানের লাইন বিভিন্ন সভাতেও গেয়েছেন বলে স্বীকার করে নেন। ২০০৯ সালে ধনধান্যে পুষ্পে ভরা গানটির শতবর্ষ পূর্ন হয়েছে। ফলে এই গানের সুরকে ব্যবহার করে রাজনৈতিক দলের প্রচারকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না বুদ্ধিজীবী মহল।
Body:এদিন ইটিভি ভারতকে বিজেপি নেতা গোলাম জার্জিস বলেন, বিজেপির বিভিন্ন মিটিং এ তিনি দিজেন্দ্রলাল রায়ের ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা’র সুরে তৃণমূলের সমালোচনা করছেন। শুধু তাই নয় ‘ভজ গৌরাঙ্গ, লহ গৌরাঙ্গ’এর সুরকেও বিকৃত করে তিনি রাজনৈতিক ভাবে তৃণমূলের মোকাবিলা করছেন। যা নিয়ে বর্ধমানে জোর বিতর্ক তৈরি হয়েছে।
দিন কয়েক আগে শ্রীরামপুরে একটি প্রমোটারি সংস্থা ফ্ল্যাট বিক্রি করার জন্য ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা’ গানকে বিকৃত করেছিলেন। যা নিয়ে স্যোশাল মিডিয়ায় সমালোচনার ঝড় উঠেছিল। রাজনৈতিক নেতারাও এর সমালোচনা করেছিলেন। এদিন বিজেপি নেতার দুটি গানকে বিকৃত করার অভিযোগে ফের সরব হন অনেকেই।
বিশিষ্ট রবীন্দ্রসংগীত শিল্পী শুভপ্রসাদ নন্দী মজুমদার বলেন, ‘খুবই লজ্জার বিষয়। এটা মানুষের নিম্ন রুচির পরিচয়। যাদের গান শুনে আজ আমরা গান বাজনা শিখেছি। শতবর্ষ প্রাচীন একটা গানকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিকৃত করে গাওয়া। খুবই লজ্জার বিষয়। ’

কিন্তু গোলাম জার্জিস বলছেন, এটা নিয়ে বিতর্কের কিছু নেই। আমি তো তার কথা বিকৃত করিনি তার গানের সুর ব্যবহার করেছি মাত্র। এতে অন্যায়ের কিছু নেই।
জেলা পরিষদের সহ সভাধিপতি দেবু টুডু বলেন, গোলাম জার্জিস একজন দুর্নীতিবাজ নেতা। তাই আমরা তাকে দল থেকে তাড়িয়েছিলাম। ওই রকম লোককেই তো বিজেপি নেবে। বিজেপির কালচারই তো এটা। ওদের দিলীপ ঘোষ থেকে সায়ন্তন বসু সকলেই কু কথা বলেন। গোলামও সেই দিকে হাঁটছে। না হলে এই ধরনের গানকে কেউ বিকৃত করেন?
Conclusion:রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ বলেন, এটা বিজেপির রুচি , বিজেপির কালচার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই ওরা মানুষের ভাবাবেগে আঘাত করছে। মানুষ এর জবাব দেবে।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.