বর্ধমান, 5 অগাস্ট : মাথাপিছু আড়াইশো টাকা ভাড়া নিয়ে দশজন যাত্রীকে চাপিয়ে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর থেকে ডানকুনি যাচ্ছিল একটি সরকারি অ্যাম্বুলেন্স। বর্ধমান শহরের উপর দিয়ে যাওয়ার সময় কার্জন গেট সংলগ্ন জিটি রোডে ট্রাফিক পুলিশের সন্দেহ হওয়ায় অ্যাম্বুলেন্সটিকে আটকানো হয় ৷ চালক ও যাত্রীসহ 12 জনকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার দুপুর নাগাদ কলকাতা মেডিকেল কলেজ থেকে এক রোগীকে বীরভূমের নলহাটিতে পৌঁছে দিয়ে একটি 102 সরকারি অ্যাম্বুলেন্স কলকাতা ফিরছিল । পথে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুরের চাঁদের মোড়ের কাছে দশ জন রাজমিস্ত্রি বাস ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিলেন । তাঁদের মাথাপিছু আড়াইশো টাকা ভাড়ায় ডানকুনি অবধি নিয়ে যেতে রাজি হন অ্যাম্বুলেন্স চালক । এর পর ওই দশজনকে চাপিয়ে ডানকুনির উদ্দেশে রওনা দেয় অ্যাম্বুলেন্সটি । যদিও অ্যাম্বুলেন্স চালকের দাবি, ওই যাত্রীরা বিপদে পড়ে সাহায্য চাইছিলেন । অন্যদিকে যাত্রীদের দাবি, অ্যাম্বুলেন্স চালক নিজেই গাড়ি দাঁড় করিয়ে তাঁদের আড়াইশো টাকা ভাড়ায় নিয়ে যেতে সম্মত হন ।
রাজমিস্ত্রি রিন্টু খান বলেন, "আমরা রাজমিস্ত্রির কাজ করি । ডানকুনি যাব বলে বাস ধরার জন্য দাঁড়িয়েছিলাম । অ্যাম্বুলেন্সের চালক এসে বলল অ্যাম্বুলেন্সে চেপে যাও বাসের যা ভাড়া সেটা দিয়ে দিও । আড়াইশো টাকা করে মাথাপিছু ভাড়া চেয়েছিল । আমরা জানি না এইভাবে গেলে পুলিশ ধরবে । না হলে বাসে চেপেই যেতাম ।"
আরও পড়ুন : House Collapsed : অণ্ডালে অনবরত বৃষ্টির জেরে ভেঙে পড়ল ইসিএলের পরিত্যক্ত বাড়ি
অ্যাম্বুলেন্স চালক শিশিরকুমার দাসের দাবি, "কলকাতা মেডিকেল কলেজ ফিরছিলাম । ওরা যাবে ডানকুনি । ওরা বলে বাসে যে ভাড়া দিই সেই ভাড়াই দেব । সেই মতো মাথাপিছু আড়াইশো টাকা ভাড়া ঠিক হয় । আমি প্রথমে নিতে চাইনি । কিন্তু ওরা জোড়হাত করে বলতে থাকে, কাজে যেতে হবে অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছি বাস পাইনি ৷ তাই ওদের অ্যাম্বুলেন্সে চাপাই ।"