ETV Bharat / state

Allegation Against TMC MLA: প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে - TMC MLA

টাকা নিয়ে প্রাইমারিতে চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগ (Fraud Allegation on Jobs in Primary) ৷ এই অভিযোগ উঠেছে বর্ধমান উত্তর বিধানসভার তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিকের বিরুদ্ধে ৷ বিষয়টি নিয়ে সোশাল মিডিয়াতে (Social Media) পোস্ট করে বিতর্ক তৈরি করেছেন আরও এক তৃণমূল নেতা ৷

Allegation Against TMC MLA
অভিষেকের সঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক নিশীথ মালিক
author img

By

Published : Jan 13, 2023, 10:11 PM IST

লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে

বর্ধমান, 13 জানুয়ারি: এবার টাকা নিয়ে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA) বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে সোশাল মিডিয়াতে পোস্ট করে বিতর্ক তৈরি করেছেন আরও এক তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক নিশীথ মালিক।

পূর্ব বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুরের বাসিন্দা কপিলদেব সেনের অভিযোগ, 2015 সালে তাঁকে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের চাকরি করে দেওয়ার নাম করে আড়াই লক্ষ টাকা নেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভার (Bardhaman North Assembly) বিধায়ক নিশীথ মালিক। তাঁকে নিশীথ মালিক ফোন করে বলেন 'তোর চাকরি হয়ে যাবে সেইজন্য আপাতত আড়াই লক্ষ টাকা দিতে হবে।' শুধু তাই নয় তাঁর কাছ থেকে মার্কশিট, অ্যাডমিট কার্ডও নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে বলা হয়, সব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জমা রয়েছে! এসবই কিন্তু তাঁকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

এদিন অভিযোগকারী কপিলদেব সেন বলেন, "বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক আমাকে ফোন করে বলে প্রাইমারিতে আমার চাকরি হয়ে যাবে। সে জন্য মোট ছয় লক্ষ টাকা লাগবে আপাতত আড়াই লক্ষ টাকা চায়। বাবা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে এনে দেয়। সেই টাকা আমি বিধায়ককে দিই। দিন কয়েক পরে আমাকে একটা তালিকা দেখানো হয় যেখানে আমার নাম ছিল। এরপর বিকাশ ভবনে আমাকে যেতে বলা হয়। সেখানে আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শুধু আশ্বাস দেওয়া হয় কিছুদিন পরে চাকরি হয়ে যাবে। আমার কাছে ফের টাকা চাওয়া হয়। আমার মার্কশিট, অ্যাডমিট নিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু চাকরি পাইনি। আমি বিষয়টি নিয়ে কালীঘাটে অভিযোগ পাঠিয়েছি কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি। এনিয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতিকেও জানিয়েছি। তিনিও কোনও উত্তর দেননি।

আরও পড়ুন: ফিরহাদের নাম করে 16 লক্ষের প্রতারণা, মহিলাকে ফেলে মার ! তৃণমূল নেতাকে গণধোলাই দিল এলাকাবাসী

অন্যদিকে, বিধায়কের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ পত্রের বিভিন্ন অংশ নীল কালি দিয়ে মুছে দিয়ে তা সোশাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান। তিনি সেই পোস্ট নিয়ে লেখেন, "মেজ জনপ্রতিনিধির কীর্তির নমুনা, অভিযোগকারী নাম, ঠিকানা এবং কাকে অভিযোগ করেছে এটা মুছে দিলাম ৷ সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় প্রকাশ করা হবে।"

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বিধায়ক নিশীথ মালিক বলেন, "তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন।" জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের ছোট-বড় সব নেতাই যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সেটা আমরা আগেই বলেছি। এবার সেই অভিযোগ সোশাল মিডিয়াতে করছেন দলেরই নেতা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, "সব মিথ্যে অভিযোগ। যদি এই ঘটনাই ঘটে থাকে তাহলে এতদিন অভিযোগ করা হয়নি কেন। পঞ্চায়েত ভোট সামনে আসতেই মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।"

লক্ষাধিক টাকা প্রতারণার অভিযোগ তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে

বর্ধমান, 13 জানুয়ারি: এবার টাকা নিয়ে প্রাথমিক স্কুলে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূল বিধায়কের (TMC MLA) বিরুদ্ধে। বিষয়টি নিয়ে সোশাল মিডিয়াতে পোস্ট করে বিতর্ক তৈরি করেছেন আরও এক তৃণমূল নেতা তথা জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান। যদিও তাঁর বিরুদ্ধে টাকা নিয়ে চাকরি দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিধায়ক নিশীথ মালিক।

পূর্ব বর্ধমানের হাটগোবিন্দপুরের বাসিন্দা কপিলদেব সেনের অভিযোগ, 2015 সালে তাঁকে প্রাথমিক স্কুল শিক্ষকের চাকরি করে দেওয়ার নাম করে আড়াই লক্ষ টাকা নেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভার (Bardhaman North Assembly) বিধায়ক নিশীথ মালিক। তাঁকে নিশীথ মালিক ফোন করে বলেন 'তোর চাকরি হয়ে যাবে সেইজন্য আপাতত আড়াই লক্ষ টাকা দিতে হবে।' শুধু তাই নয় তাঁর কাছ থেকে মার্কশিট, অ্যাডমিট কার্ডও নেওয়া হয়। এরপর তাঁকে বলা হয়, সব অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে জমা রয়েছে! এসবই কিন্তু তাঁকে মিথ্যে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল।

এদিন অভিযোগকারী কপিলদেব সেন বলেন, "বিধায়ক নিশীথ কুমার মালিক আমাকে ফোন করে বলে প্রাইমারিতে আমার চাকরি হয়ে যাবে। সে জন্য মোট ছয় লক্ষ টাকা লাগবে আপাতত আড়াই লক্ষ টাকা চায়। বাবা ব্যাংক থেকে টাকা তুলে এনে দেয়। সেই টাকা আমি বিধায়ককে দিই। দিন কয়েক পরে আমাকে একটা তালিকা দেখানো হয় যেখানে আমার নাম ছিল। এরপর বিকাশ ভবনে আমাকে যেতে বলা হয়। সেখানে আমাকে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। শুধু আশ্বাস দেওয়া হয় কিছুদিন পরে চাকরি হয়ে যাবে। আমার কাছে ফের টাকা চাওয়া হয়। আমার মার্কশিট, অ্যাডমিট নিয়ে নেওয়া হয়। কিন্তু চাকরি পাইনি। আমি বিষয়টি নিয়ে কালীঘাটে অভিযোগ পাঠিয়েছি কিন্তু কোনও উত্তর পাইনি। এনিয়ে তৃণমূল জেলা সভাপতিকেও জানিয়েছি। তিনিও কোনও উত্তর দেননি।

আরও পড়ুন: ফিরহাদের নাম করে 16 লক্ষের প্রতারণা, মহিলাকে ফেলে মার ! তৃণমূল নেতাকে গণধোলাই দিল এলাকাবাসী

অন্যদিকে, বিধায়কের বিরুদ্ধে একটা অভিযোগ পত্রের বিভিন্ন অংশ নীল কালি দিয়ে মুছে দিয়ে তা সোশাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন পূর্ব বর্ধমান জেলা পরিষদের সদস্য নুরুল হাসান। তিনি সেই পোস্ট নিয়ে লেখেন, "মেজ জনপ্রতিনিধির কীর্তির নমুনা, অভিযোগকারী নাম, ঠিকানা এবং কাকে অভিযোগ করেছে এটা মুছে দিলাম ৷ সঠিক সময়ে সঠিক জায়গায় প্রকাশ করা হবে।"

যদিও তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করে বিধায়ক নিশীথ মালিক বলেন, "তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যে অভিযোগ করা হচ্ছে। তিনি অভিযোগকারীর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেবেন।" জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, "তৃণমূল কংগ্রেসের ছোট-বড় সব নেতাই যে দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত সেটা আমরা আগেই বলেছি। এবার সেই অভিযোগ সোশাল মিডিয়াতে করছেন দলেরই নেতা। তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, "সব মিথ্যে অভিযোগ। যদি এই ঘটনাই ঘটে থাকে তাহলে এতদিন অভিযোগ করা হয়নি কেন। পঞ্চায়েত ভোট সামনে আসতেই মিথ্যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে।"

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.