আউশগ্রাম, 12 নভেম্বর: বাঁকুড়ার দিক থেকে আসা হাতির পালকে আউশগ্রাম থেকে ফের বাঁকুড়ার জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করছে বন দফতর ৷ জানা গিয়েছে, হাতির দলটি পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রাম এলাকায় ঢুকে চাষের জমির প্রচুর ক্ষতি করেছে।
বৃহস্পতিবার রাতের দিকেই হাতিগুলিকে বাঁকুড়ার জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা করেন বনকর্মীরা। কিন্তু গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে হাতির দলটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। চলে যায় চাষের জমিতে। শুক্রবার সকাল থেকে ফের হাতিগুলিকে বাঁকুড়ার জঙ্গলের দিকে পাঠানোর চেষ্টা হয় ৷ গ্রামবাসীদের ভিড়ের কারণে হাতিগুলিকে জঙ্গলে পাঠানো সম্ভব হচ্ছে না। বনকর্মীদের দাবি, হাতি গেলে একদিকে যেমন চাষের জমির ক্ষতি হতে পারে, অন্যদিকে এলাকায় প্রচুর মানুষের ভিড় জমে থাকায় প্রাণহানির মতো ঘটনাও ঘটতে পারে। তাই মানুষজন যাতে হাতির কাছাকাছি চলে না যায় সেই চেষ্টা করছে পুলিশও।
আরও পড়ুন : Gold Biscuits Seized : পাচারের ছক বানচাল, শিলিগুড়িতে বাজেয়াপ্ত প্রায় কোটি টাকার সোনার বিস্কুট
বন দফতর সূত্রে খবর, হাতিগুলিকে আপাতত দিনের বেলায় যাদবপুরের জঙ্গলে আটকে রেখে রাতের বেলায় বাঁকুড়ার জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা করা হবে। আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থান্ডার এবিষয়ে বলেন, "একটা হাতির দল গভীর রাতে আউশগ্রাম 1 নং ব্লক এলাকায় ঢুকে পড়ে। সর, ভালকি হয়ে দিগনগর, ধারাপাড়া,গোপীনাথবাটি হয়ে দেরিয়াপুরের দিকে যাচ্ছে হাতির দলটি। বীরভূম, বর্ধমান, দুর্গাপুরের বনদফতরের কর্মীরা একযোগে কাজ করছেন। প্রশাসন ও তৃণমূল কর্মীরাও কাজ করছেন। লোকালয়ে হাতি ক্ষতি করতে পারেনি। তবে 10-12টা গ্রামে চাষের জমির প্রচুর ক্ষতি করেছে। ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যবস্থা হবে। গলসির শিলাঘাট এলাকা দিয়েই দামোদর নদ পার করে হাতিগুলি বাঁকুড়া থেকে এদিকে এসেছে। তাদের জঙ্গলে ফেরানোর চেষ্টা চলছে।"
বর্ধমানের বন আধিকারিক নিশা গোস্বামী বলেন, "দিনেরবেলা হাতি তাড়াতে গেলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা বেশি আছে। আমরা সজাগ আছি। তাই স্থানীয় যাদবগঞ্জের জঙ্গলে আপাতত হাতিগুলিকে পাঠানোর চেষ্টা চলছে। সন্ধে নামার পরে হাতির দলকে বাঁকুড়ার জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা হবে। প্রচুর মানুষ জমায়েত করছেন। পুলিশ ভিড় নিয়ন্ত্রণ করছে। গতকাল রাতেও আমরা হাতিগুলিকে বাঁকুড়ার জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা করেছিলাম। হাতিরা সেইভাবে এগিয়েও যাচ্ছিল। কিন্তু কিছু মানুষের জন্য হাতিগুলি আবার দিক পরিবর্তন করে এদিকে চলে আসে । আজ নতুন করে পরিকল্পনা করা হয়েছে। এই জেলায় এইভাবে আগে এত হাতি আসেনি। এছাড়া চাষের কাজ চলছে। তাই কীভাবে চাষের ক্ষতি কম করে হাতিগুলিকে জঙ্গলে ফিরিয়ে দেওয়া যায় সেটাই আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ।"