শক্তিগড়, 28 ফেব্রুয়ারি: ভরদুপুরে আগুন আতঙ্ক (Fire Feared)৷ মঙ্গলবার দুপুরে টেলিফোন এক্সচেঞ্জ অফিসের গোডাউনে আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়াল পূর্ব বর্ধমানের শক্তিগড় থানার বড়শুল এলাকায় ৷ নিমেষে আগুনের শিখা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ায় আতঙ্কে মানুষজন ছোটাছুটি শুরু করে দেয় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় শক্তিগড় থানার পুলিশ ৷ এরপর দমকলের একটা ইঞ্জিন কয়েকঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয় ৷ এই ঘটনায় কোনও প্রাণহানির ঘটনা ঘটেনি ৷ এখনও পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণও জানা যায়নি । তবে কীভাবে আগুন লাগল তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ও দমকল আধিকারিকেরা ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুপুরের দিকে হঠাৎ করে আগুনের শিখা দেখতে পান স্থানীয় বাসিন্দারা । তাঁরাই গিয়ে টেলিফোন এক্সচেঞ্জের কর্মীদের খবর দিলে সকলে ঘটনাস্থলে চলে আসে ৷ খবর দেওয়া হয় দমকলকে । এদিকে বর্ধমান থেকে দমকলের একটা ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পৌঁছতে আগুনের লেলিহান শিখা উপরের দিকে উঠতে থাকে । আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে এলাকায় । ওই টেলিফোন এক্সচেঞ্জের আশেপাশে যে সমস্ত দোকান আছে সেই দোকানদারেরা ভয়ে ছোটাছুটি শুরু করে দেয় । কেউ কেউ দোকান থেকে মালপত্র বের করে নেয় । খবর পেয়ে শক্তিগড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায় । এদিকে আগুনের শিখা বাড়তে থাকায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে । স্থানীয়রাই প্রথমে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগান ।
এই বিষয়ে বড়শুল 2 নং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি অরুণ গোলদার বলেন, "আমরা এক আধিকারিকের ঘরে মিটিং করছিলাম । হঠাৎ করে দেখলাম আগুনের একটা লেলিহান শিখা আকাশের দিকে উঠছে । সেই সঙ্গে কালো ধোঁয়ায় আশপাশ ভরে গিয়েছে । আমরা ভয়ে অফিস থেকে বেড়িয়ে পড়ি ৷ তারপর এসে দেখি যে বিএসএনএলের যে গোডাউন আছে সেখানে আগুন লেগেছে এবং আগুনের শিখা অনেকটা এলাকা জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে (Barsul BSNL Telephone Exchange Office)। আমরা সঙ্গে সঙ্গে বিদ্যুৎ দফতরের অফিসে খবর দিই । তাঁরা সেখান থেকে এলাকার বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে দেয় । এরপর দমকলে খবর দেওয়া হয় । দমকলে একটা ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ শুরু করে ।"
আরও পড়ুন : বড়বাজারের জরি-চুমকির কারখানায় আগুন, 4টি ইঞ্জিনের চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণে