ETV Bharat / state

রোগী দেখেন বিনামূল্যে, ডাক্তারবাবু ওদের কাছে ভগবান - treatment for all

সকাল থেকে রাত পর্যন্ত রোগী দেখেন ডাক্তারবাবু । অন্যসব দিন নামমাত্র ফিজ় নিলেও । রবিবার রোগী দেখেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে । রোগীরাও আসেন দূরদূরান্ত থেকে । ডাক্তারবাবু ওদের কাছে ভগবান ।

রোগীদের লাইন
author img

By

Published : Jul 1, 2019, 9:26 PM IST

Updated : Jul 1, 2019, 10:16 PM IST

বর্ধমান, 1 জুলাই : দূর থেকে দেখলে মনে হবে একটা ছোটো-খাটো মেলা বসে গেছে । সবুজ দোতলা বাড়িটি ঘিরে এঁকে-বেঁকে গেছে মানুষের লম্বা লাইন । আর তাঁদের ঘিরে বসেছে নানা দোকান, খাবারের স্টল । সপ্তাহের অন্য দিন এসব চোখে না পড়লেও রবিবার ছবিটা যেন সম্পূর্ণ অন্যরকম । কারণ, রবিবার সারাদিন যে ডাক্তারবাবু চেম্বারে বসেন । রোগী দেখেন বিনামূল্যে ।

বর্ধমান শহরের বিবেকানন্দ কলেজ মোড় থেকে আলমগঞ্জের রাস্তা ধরে মাত্র দুশো মিটার । পিচের বড় রাস্তা পেরিয়ে গলিতে ঢুকতেই সবুজ দোতলা বাড়ি । এখানেই থাকেন ডাঃ নিতাই প্রামাণিক । তিনি স্কিন স্পেশালিস্ট । স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের প্রফেসর ।

ভিডিয়োয় শুনুন দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের বক্তব্য

এই সংক্রান্ত খবর : টাকা নয়, সেবাই পরম ধর্ম রায়গঞ্জের ডাক্তারবাবুর

ডাক্তারবাবুর রোজকার রুটিন শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য । ভোর ছ'টা থেকে আটটা পর্যন্ত বাড়িতে রোগী দেখেন । তারপর নাকে-মুখে গুঁজেই সাইকেলে চালিয়ে যান বর্ধমান স্টেশন । সেখান থেকে ট্রেনে করে কলকাতা । গন্তব্যস্থান স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন । ফিরতে ফিরতে রাত দশটা । বাড়ি ফিরেই ফের রোগী দেখতে বসা । চলে সেই রাত আড়াইটে পর্যন্ত ।

রবিবার ছবিটা সম্পূর্ণ অন্যরকম । ভোরবেলা থেকে মাঝরাত পর্যন্ত রোগী দেখেন নিতাইবাবু । মাঝখানে সামান্য কিছুক্ষণের জন্য বিরতি । স্নান, খাওয়া সেরে ফের শুরু চিকিৎসা । অন্যদিন ফিজ় নেন অতি সামান্য । তবে রবিবারটা পুরোটাই বিনামূল্যে । তাই ভিড়ও বাড়ে । রোগীর লাইনের সঙ্গে বসে যায় খাবারের দোকানও ।

বাঁকুড়া কোতুলপুরের সত্যকিংকর রায় বলেন, "গ্রাম থেকে অনেকেই ডাক্তারবাবুর কাছে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে গেছেন । সেই খবর শুনে আমিও এসেছি বর্ধমানে । এতটাই ভিড় যে সকাল ন'টা থেকে লাইন দিয়ে বেলা একটা বেজে গেলেও পৌঁছাতে পারেননি ডাক্তারবাবুর কাছে ।"

এই সংক্রান্ত খবর : ডাক্তার দিবসে 100 কোটি টাকা ব্যয়ে ট্রমা সেন্টারের উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর

নিতাইবাবুর বাড়ির সামনে আইসক্রিমের ব্যবসা করেন মঙ্গলকোটের শেখ শাহজাহান । তিনি বলেন, "ভগবানের পরে যদি কারও স্থান হয়, তাহলে তিনি ডাক্তারবাবু নিতাই প্রামাণিক । আমাদের রোগ হলে ওঁর কাছেই যাই । এক পয়সাও নেন না ।"

যাকে নিয়ে এত আলোচনা, সেই নিতাই প্রামাণিক কিন্তু নিরুত্তাপ । কিছুতেই যেন তিনি প্রচারের আলোয় আসতে চান না । তাঁর কথায়, "শুধু মানুষের সেবা করতে চাই । এটাই তো ধর্ম ।"

বর্ধমান, 1 জুলাই : দূর থেকে দেখলে মনে হবে একটা ছোটো-খাটো মেলা বসে গেছে । সবুজ দোতলা বাড়িটি ঘিরে এঁকে-বেঁকে গেছে মানুষের লম্বা লাইন । আর তাঁদের ঘিরে বসেছে নানা দোকান, খাবারের স্টল । সপ্তাহের অন্য দিন এসব চোখে না পড়লেও রবিবার ছবিটা যেন সম্পূর্ণ অন্যরকম । কারণ, রবিবার সারাদিন যে ডাক্তারবাবু চেম্বারে বসেন । রোগী দেখেন বিনামূল্যে ।

বর্ধমান শহরের বিবেকানন্দ কলেজ মোড় থেকে আলমগঞ্জের রাস্তা ধরে মাত্র দুশো মিটার । পিচের বড় রাস্তা পেরিয়ে গলিতে ঢুকতেই সবুজ দোতলা বাড়ি । এখানেই থাকেন ডাঃ নিতাই প্রামাণিক । তিনি স্কিন স্পেশালিস্ট । স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের প্রফেসর ।

ভিডিয়োয় শুনুন দূরদূরান্ত থেকে আসা রোগীদের বক্তব্য

এই সংক্রান্ত খবর : টাকা নয়, সেবাই পরম ধর্ম রায়গঞ্জের ডাক্তারবাবুর

ডাক্তারবাবুর রোজকার রুটিন শুনলে চোখ কপালে উঠতে বাধ্য । ভোর ছ'টা থেকে আটটা পর্যন্ত বাড়িতে রোগী দেখেন । তারপর নাকে-মুখে গুঁজেই সাইকেলে চালিয়ে যান বর্ধমান স্টেশন । সেখান থেকে ট্রেনে করে কলকাতা । গন্তব্যস্থান স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন । ফিরতে ফিরতে রাত দশটা । বাড়ি ফিরেই ফের রোগী দেখতে বসা । চলে সেই রাত আড়াইটে পর্যন্ত ।

রবিবার ছবিটা সম্পূর্ণ অন্যরকম । ভোরবেলা থেকে মাঝরাত পর্যন্ত রোগী দেখেন নিতাইবাবু । মাঝখানে সামান্য কিছুক্ষণের জন্য বিরতি । স্নান, খাওয়া সেরে ফের শুরু চিকিৎসা । অন্যদিন ফিজ় নেন অতি সামান্য । তবে রবিবারটা পুরোটাই বিনামূল্যে । তাই ভিড়ও বাড়ে । রোগীর লাইনের সঙ্গে বসে যায় খাবারের দোকানও ।

বাঁকুড়া কোতুলপুরের সত্যকিংকর রায় বলেন, "গ্রাম থেকে অনেকেই ডাক্তারবাবুর কাছে চিকিৎসা করিয়ে সুস্থ হয়ে গেছেন । সেই খবর শুনে আমিও এসেছি বর্ধমানে । এতটাই ভিড় যে সকাল ন'টা থেকে লাইন দিয়ে বেলা একটা বেজে গেলেও পৌঁছাতে পারেননি ডাক্তারবাবুর কাছে ।"

এই সংক্রান্ত খবর : ডাক্তার দিবসে 100 কোটি টাকা ব্যয়ে ট্রমা সেন্টারের উদ্বোধন মুখ্যমন্ত্রীর

নিতাইবাবুর বাড়ির সামনে আইসক্রিমের ব্যবসা করেন মঙ্গলকোটের শেখ শাহজাহান । তিনি বলেন, "ভগবানের পরে যদি কারও স্থান হয়, তাহলে তিনি ডাক্তারবাবু নিতাই প্রামাণিক । আমাদের রোগ হলে ওঁর কাছেই যাই । এক পয়সাও নেন না ।"

যাকে নিয়ে এত আলোচনা, সেই নিতাই প্রামাণিক কিন্তু নিরুত্তাপ । কিছুতেই যেন তিনি প্রচারের আলোয় আসতে চান না । তাঁর কথায়, "শুধু মানুষের সেবা করতে চাই । এটাই তো ধর্ম ।"

Intro:স্পেশাল কপি
attn Partha Sir

ডাক্তারবাবু রোগী দেখেন, বাইরে বসে দোকানপাট

পুলক যশ, বর্ধমান


ডাক্তার বাবু রোগী দেখেন।আর সেই কারণেই বাইরে বসে যায় দোকানপাট। শুনতে অবাক লাগলেও এটাই বাস্তব চিত্র। বর্ধমান শহরের বিবেকানন্দ কলেজ মোড় থেকে আলমগঞ্জের রাস্তা ধরে প্রায় দুশো মিটার এগিয়ে গিয়ে বাঁ দিকের পিচের রাস্তার গলিতে চোখ রাখলেই দেখা যাবে রবিবার সকাল থেকে কয়েকশো মানুষের লম্বা লাইন। এই প্রচন্ড গরমের দিনেও কেউ ছাতা নিয়ে কেউ বা গাছের তলায় ভোররাত থেকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। তারা ডাক্তারের কাছে চিকিতসা করাতে এসেছেন। আর তার আশে পাশেই বসে বসে গেছে আইসক্রিম, ছাতুর শরবত সহ অন্যান্য খাবারের দোকান। সপ্তাহের অন্যান্য দিন সোম থেকে শনিবার ওই রাস্তা থাকে ধু ধু ফাঁকা। রাস্তা দিয়ে শুধুই যান চলাচল করে। কিন্তু রবিবারের চিত্রটা সম্পূর্ণ অন্যরকম। ঠিক মেলাতলার মতো।

রবিবার সকাল হতে না হতেই রোগীদের সেবা করার জন্য চেম্বারে বসে পড়েন ডাক্তার বাবু। ডাঃ নিতাই প্রামানিক। স্কিন স্পেশালিস্ট। স্কুল অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিনের প্রফেসর। রবিবার তিনি কোন রোগীর কাছ থেকে কোন ফিজ নেন না। রবিবার ছাড়াও
সপ্তাহের অন্যান্য দিন ভোর থেকে সকাল ৮ টা পর্যন্ত রোগী দেখেন তিনি। সকাল আটটার পরে সাইকেলে চেপে চলে যান বর্ধমান স্টেশন। সেখান থেকে লোকাল ট্রেনে কলকাতার ট্রপিক্যাল মেডিসিনে। রাতে ফিরে রাত দশটা থেকে আবার রোগী দেখতে বসে পড়েন। রোগী দেখা চলে রাত্রি দুটো আড়াইটা পর্যন্ত। অন্যান্য দিন নাম ফিজ নিয়ে রোগী দেখলেও রবিবার তিনি কোন রোগীর কাছ থেকেই কোন ফিজ নেন না। আর কার্যত রবিবার বর্ধমান জেলা ছাড়িয়ে আশপাশের জেলা থেকে চিকিৎসা করাতে আসা রোগীদের লাইনে রীতিমত মেলাতলা বসে যায়।ফলে সেখানে শুধুমাত্র রবিবারেই বসে দোকানপাঠ।

প্রচার বিমুখ চিকিৎসক ডাঃ নিতাই প্রামানিক। কোনোভাবেই তিনি সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হতে চান না। তার কথায় তিনি মানুষের সেবা করতে চান তাই কোন প্রচারের দরকার নেই। তার ছবি যেন না তোলা হয় সেটাও তিনি জানিয়ে দেন।

বর্ধমানের পলাশীর বাসিন্দা অনন্যা দাস বলেন, তিনি তার শিশু পুত্রকে চিকিৎসার জন্য ডাক্তার বাবুর কাছে নিয়ে এসেছিলেন। ডাক্তারবাবু খুবই ভালভাবে চিকিৎসা করেন। অন্যান্য দিন নামমাত্র ফিজ নিলেও রবিবার দিন তিনি কোন রোগীর কাছ থেকে কোন ফিজ নেন না। রবিবার প্রচুর মানুষের ভিড় হয়।
বাঁকুড়া কোতুলপুরের বাসিন্দা সত্যকিংকর রায় বলেন তাদের গ্রাম থেকে অনেকেই ডাক্তার বাবুর কাছে চিকিৎসা করাতে এসে সুস্থ হয়ে গেছেন। সেই খবর শুনে তিনিও সকালে বাঁকুড়ার কোতুলপুর থেকে বাস ধরে বর্ধমানে আসেন। চিকিৎসা করানোর জন্য সকাল সকাল ন'টা থেকে লাইন দিয়ে বেলা একটা বেজে গেলেও লাইনে এত ভিড় যে ডাক্তারের কাছে পৌঁছাতে পারেননি। ডাক্তারবাবুর কাছে চিকিৎসা করানোর ফলে তার শরীর এখন অনেক সুস্থ আছে।
মঙ্গলকোটের বাসিন্দা শেখ শাহজাহান বলেন প্রতি রবিবার তিনি তার আইসক্রিমের গাড়ি নিয়ে ডাক্তারবাবুর বাড়ির সামনে ব্যবসা করার জন্য আসেন। তিনি বলেন ভগবানের পরে যদি কারো স্থান হয় তাহলে তিনি ডাক্তার নিতাই প্রামানিক। তিনি সত্যিই ভগবান। ডাক্তারবাবু রবিবার রোগীদের বিনা পয়সায় চিকিৎসা করেন। ফলে প্রচুর মানুষের ভিড় হয় আর। আর তিনি আইসক্রিম বিক্রি করে কিছু পয়সা উপার্জন করেন।
যদিও যার কাছে চিকিৎসা করানোর জন্য এত মানুষের সকাল থেকে ভিড় সেই চিকিতসক ডাঃ নিতাই প্রামাণিক কিন্তু নিরুত্তাপ। কোনোভাবেই তিনি প্রচারে আলোতে আসতে চান না। তার কথায় তিনি শুধু মানুষের সেবা করতে চান। এটাই তার ধর্ম।Body:রবিবার বসে Conclusion:দোকান পাট
Last Updated : Jul 1, 2019, 10:16 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.