বর্ধমান, 29 নভেম্বর: তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ তুলে কলকাতায় জনসভার ডাক দিয়েছিল বিজেপি । মূলবক্তা ছিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ বিভিন্ন জেলা থেকে গেরুয়া শিবিরের কর্মীরা হাজির হয়েছিলেন কলকাতায় ৷ তবে বিক্ষুব্ধ বিজেপি কর্মীদের মতে, পূর্ব বর্ধমান জেলা থেকে হাজার দশেক লোক জড়ো করে কলকাতায় নিয়ে যেতে কালঘাম ছুটে গিয়েছে বিজেপির নেতাদের । যদিও গত কয়েকদিন ধরে প্রচার চলেছিল জোরকদমে ৷ তার পরও কেন এই অবস্থা, উঠছে সেই প্রশ্ন ৷
বিজেপি সূত্রে খবর, জেলা থেকে সাত থেকে আট হাজার কর্মী কলকাতায় যাওয়া হয় । তবে কোথাও কোনও বিজেপি কর্মীদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠেনি । যদিও বিজেপির দাবি, যাঁরা ট্রেনে করে কলকাতায় গিয়েছেন, তাঁদের কেউ বাধা দিতে পারেনি । তবে যে সব কর্মীরা বাসে করে কলকাতার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন, তাঁরা তৃণমূল কংগ্রেসের বাধার মুখে পড়েন । তবে তাঁদের আটকানো যায়নি । তাঁরা কলকাতার সভায় গিয়ে যোগদান করেন ৷
পূর্ব বর্ধমানে বিজেপির জেলা সম্পাদক মনোজ মাহাতো বলেন, ‘‘ট্রেনে যেতে গিয়ে কেউ বাধা পাননি । যাঁরা বাসে যাচ্ছিলেন, তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করা হয়েছে । কিন্তু কর্মীরা সেই বাধা অতিক্রম করেই কলকাতা গিয়েছেন । সকাল থেকেই কর্মীরা যেতে শুরু করেন । বর্ধমান জেলা থেকে সাত আট হাজার কর্মী কলকাতা গিয়েছেন ।’’
উল্লেখ্য, এ দিন কলকাতার জনসভা থেকে অমিত শাহ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রামণ করেন ৷ 2026 সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি ক্ষমতায় আসবে বলেও দাবি করেন ৷ 2024 সালের লোকসভা ভোটে বিজেপিকে বেশি আসনে জিতিয়ে নরেন্দ্র মোদিকে তৃতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী করারও ডাক দেন তিনি ৷ কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, যেখানে সভায় লোক নিয়ে যেতেই হিমশিম খেলেন নেতারা, সেখানে বিজেপির শীর্ষনেতার এই বার্তার পরও কি কোনও কাজ হবে ?
আরও পড়ুন: