বর্ধমান, 7 মে: গাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নিল বর্ধমান জেলা সিপিএম ৷ আর এই সিদ্ধান্ত ঘিরেই শুরু রাজনৈতিক তরজা ৷ কেউ মনে করছেন দলের খরচে লাগাম টানতে ছ'টি গাড়ি বিক্রি করছে সিপিএম ৷ যদিও দলের নেতাদের দাবি, ওই 6টি গাড়ি অনেক পুরনো । এখন বেঁচে না দিলে পরে আর দাম পাওয়া যাবে না। বাধ্য হয়ে গাড়ির বিভিন্ন অংশ আলাদা করে বিক্রি করতে হবে।
এদিকে তৃণমূল কংগ্রেস এই সিদ্ধান্তকে কটাক্ষ করেছে । তাদের দাবি, মানুষকে ফের বোকা বানানোর চেষ্টা করছে সিপিএম ৷ কটাক্ষ করেছে বিজেপিও। জানা গিয়েছে, বর্ধমান শহরের পারকাস রোডে পূর্ব বর্ধমান জেলা সিপিএমের অফিসে ছ'টি গাড়ি রাখা আছে ৷ এর মধ্যে তিনটে বড় ও তিনটে ছোট গাড়ি ৷ গাড়িগুলির বাজার মূল্য প্রায় কুড়ি লক্ষ টাকা ৷ এই গাড়ি বিক্রি নিয়ে জেলায় রাজনৈতিক তরজা চরমে ৷
গেরুয়া শিবিরও এ নিয়ে সিপিএমকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি ৷ তাদের মতে, গাড়িগুলি বহুমূল্যের ৷ বাম জেলা কার্যালয় দেখলেই বোঝা যায় তার রক্ষণাবেক্ষণে কত টাকা খরচ হতে পারে ৷ আর তৃণমূল কংগ্রেস জানে সিপিএমের অস্তিত্ব নেই ৷ তাদের ঢাল করে বিজেপিকে আটকানোর চেষ্টা করছে ৷
অন্যদিকে, বর্ধমান জেলা পরিষদের সহ-সভাধিপতি তৃণমূল নেতা দেবু টুডু বলেন, "35 বছর সিপিএমের শাসন ব্যবস্থা কেমন ছিল, সেটা সবাই জানে ৷ ভারতে বড় চোর কোম্পানি হচ্ছে সিপিএম ৷" তিনি জানান, মানুষের লুঠ করা টাকা দিয়ে তারা নির্বাচনে লড়াই করবে কি না, সেটা তাদের বিষয় ৷ কিন্তু একটা দলের সম্পত্তি ছ'টা গাড়ি, এটা ভাবনার বাইরে ৷ তাঁর দাবি, তৃণমূল কংগ্রেস তিনবার ক্ষমতায় এলেও দলের কোনও সম্পত্তি নেই ৷ এদিকে সিপিএম বিশাল সম্পত্তির মালিক হয়েও তাদের গাড়ি বিক্রি করতে হচ্ছে ৷
বর্ধমান সিপিএমের জেলা সম্পাদক সৈয়দ হোসেন জানিয়েছেন, হঠাৎ এই গাড়ি বিক্রির সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে না ৷ গাড়ি পুরনো হলে বিক্রি করে দিতেই হবে ৷ না-হলে তো একসময় গাড়ির বিভিন্ন অংশ কেটে কেটে বিক্রি করতে হবে ৷ অনেক দিনের পুরনো গাড়ির মেরামতি খরচও বেড়ে গিয়েছে । আইন অনুযায়ী একটি গাড়ির বয়স 13 বছর হয়ে গেলে বিক্রি করতেই হবে ৷ সরকারের আইন মেনে চলতে হবে বলে জানিয়েছেন বাম নেতা ৷ এর সঙ্গে দলের অবস্থার কোনও সম্পর্ক নেই।
আরও পড়ুন: তৃণমূলের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দেশের প্রধান বিচারপতির কাছে 1 কোটি সই পাঠাবে সিপিএম