বর্ধমান, 11 সেপ্টেম্বর: বর্ধমান কোর্ট চত্বরে বিজেপির জেলা সভাপতি বদল নিয়ে পোস্টার পড়ল (Burdwan BJP)। যা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক চাপানউতোর । পোস্টারে প্রাক্তন জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দীর ছবি দিয়ে লেখা আছে, 'দাদা আমরা তোমাকেই জেলা বিজেপির সভাপতি চাই'। পোস্টারের নিচে লেখা আছে, বিজেপি জেলা কার্যকর্তা বৃন্দ ।
এই পোস্টারের (Controversy over Poster) কথা জানাজানি হতেই আসরে নেমেছে বিজেপি । বিজেপির দাবি, এই কাজ বিজেপির কোনও কর্মীর নয় । শাসক দলের কর্মীরাই তাদের কর্মীদের মনোবল ভাঙতে এই ধরনের কাজ করছে । তাদের দাবি, বিজেপি কোনও ব্যক্তিকেন্দ্রিক দল নয় । এখানে একজন একটা পদে তিন বছর থাকতে পারেন । অন্য দলের মতো নয় যে, একটা পদে বসার পরে মৃত্যু পর্যন্ত সেই পদেই থাকবেন । যদিও তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বিজেপির অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে বিজেপির গোষ্ঠী কোন্দলের জেরেই এই পোস্টার পড়েছে । শাসক দলের কেউ এই কাজে যুক্ত নয় ।
বর্ধমান জেলা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক মৃত্যুঞ্জয় চন্দ্র বলেন, "বর্ধমান জেলা কোর্ট চত্বরে যে পোস্টার পড়েছে, সেটা বিজেপির কোনও কার্যকর্তার কাজ নয় ।এটা বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলের একটা চক্রান্ত । এই পোস্টার দেখেই বোঝা যাচ্ছে, বর্তমান জেলা সভাপতির নেতৃত্বে সংগঠন আরও মজবুত হচ্ছে । তা দেখে ভয় পেয়েছে বিরোধীরা । তাই তারা বুথ স্তরে কর্মীদের মনোবল ভেঙে দেওয়ার চক্রান্ত করেছে । এই কাজ তারই অংশ । আজ যার ছবি দেওয়া হয়েছে পোস্টারে, তিনি প্রাক্তন জেলা সভাপতি । তিনি এখন রাজ্যস্তরে আছেন । তাই যাঁরা এই কাজ করেছেন তাঁরা বিজেপির গঠনতন্ত্র সম্বন্ধে জানেন না । কারণ আমাদের দলে কেউ রাজ্যস্তরে উন্নীত হলে তাঁকে আর জেলাস্তরে ডিমোশন দিয়ে নামানো হয় না । এখানে ব্যক্তির কোনও মূল্য নেই । তিন বছরের বেশি কেউ এক পদে থাকতে পারেন না । আসলে এটা নবান্ন অভিযানকে ব্যর্থ করার একটা চেষ্টা ।"
আরও পড়ুন: বিহারের সহ-পর্যবেক্ষকের পদ থেকে সরানো হল অনুপম হাজরাকে
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, "বিজেপির দলে নিজেদের মধ্যে একটা লড়াই আছে । নতুন পুরনোদের নিয়ে দ্বন্দ্ব । তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে তারা পিছিয়েই আছে । আর এই কাজ ওদের দলের লোকেরাই করেছেন ।"