বর্ধমান ও হুগলি , 2 নভেম্বর : এক ব্যক্তিকে খুন করে দেহ পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে বর্ধমান স্টেশন থেকে এক যুবককে গ্রেপ্তার করল বর্ধমান GRP । আজ বিকেলে সঞ্জয় রাজবংশী নামে ওই যুবককে হুগলির চুঁচুড়া থানার পুলিশ নিজেদের হেপাজতে নেয় ।
মৃত ব্যক্তির নাম লক্ষ্মী কর্মকার (52) । তাঁর বাড়ি হুগলি স্টেশন সংলগ্ন লোহারপাড়ায় । সঞ্জয় রাজবংশী এই এলাকায়ই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন লোকের সঙ্গে ঝামেলা করত বলে জানা গেছে । এভাবেই কিছুদিন আগে তার সঙ্গে ঝামেলা হয় লক্ষ্মীবাবুর । বিষয়টি সেসময় থেমে গেলেও গতকাল রাতে হুগলি স্টেশনের কাছে হঠাৎই দু'জনের ফের বচসা হয় । এর পরে লক্ষ্মীকে ইট ছুড়ে মারে সঞ্জয় । ঘটনাস্থানে ব্যান্ডেল GRP-র একটি গাড়ি আসায় সঞ্জয় এলাকা ছাড়ে । পরে লক্ষ্মীর সঙ্গে কথাও বলে পুলিশ ।
তবে, এতেই শেষ হয়নি । GRP গাড়ি চলে যেতেই ফিরে আসে সঞ্জয় । লোহারপাড়ার রেল আবাসন থেকে লক্ষীকে বের করে হুগলি স্টেশন রোডের কাছে নিয়ে যায় । সেখানেই তাকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারধর করে । মৃত্যু হয় তার । প্রমাণ লোপাটের জন্য এরপর সঞ্জয় পাশের একটি খড়ের কল থেকে খড় নিয়ে এসে তা দিয়ে লক্ষীর দেহ পোড়াতে শুরু করে । বিষয়টি স্থানীয় বাসিন্দাদের নজরে আসলে তারা ব্যান্ডেল GRP-কে খবর দেয় । পুলিশ এসে অগ্নিদদ্ধ দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ইমামবারা হাসপাতালে পাঠায় ।
অন্যদিকে, দেহটি পুড়িয়ে সঞ্জয় ব্যান্ডেল থেকে বর্ধমান পালিয়ে যাওয়ার ছক কষে । আজ জম্মু তাওয়াই এক্সপ্রেসে করে পালানোর সময় বর্ধমান GRP তাকে গ্রেপ্তার করে । পরে চুঁচুড়া থানার পুলিশ সঞ্জয়কে নিজেদের হেপাজতে নেয় ।
এবিষয়ে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট হুমায়ন কবীর বলেন, "গোয়েন্দা বিভাগ তদন্ত শুরু করেছে । কেন, কীভাবে ওই ব্যক্তিকে মারা হল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে । সঞ্জয় রাজবংশীর নামে একাধিক অভিযোগ আছে । ও এক দুষ্কৃতী দলের সঙ্গেও যুক্ত বলে জানা গেছে । আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি ।"