বর্ধমান, 26 অগাস্ট : কোরোনা পজ়িটিভ রিপোর্ট মেলার পরে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের এক রোগীকে কোরোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল ৷ কিন্তু কোরোনা হাসপাতালে তাকে ভরতি নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ । তাঁকে ফের বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি করা হয় । সেখানে মৃত্যু হয় কোরোনা আক্রান্ত ওই রোগীর । হাসপাতালের গাফিলতি ও রোগীকে ভরতি নিয়ে হয়রানির কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ রোগীর পরিবারের । বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে একটা ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই ঘটনা ঘটেছে । তবে চিকিৎসার দিক থেকে কোনও গাফিলতি হয়নি । যদিও রোগীর পরিবারের তরফে লিখিত কোন অভিযোগ জানানো হয়নি ।
বর্ধমান শহরের তেলমারুই এলাকার বাসিন্দা এক গৃহবধূ শ্বাসকষ্ট নিয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি হন । রোগীর পরিবারের লোকেরা জানান, কোরোনার রিপোর্ট পজ়িটিভ আসায় তাঁকে কোরোনা হাসপাতালে পাঠায় । কিন্তু হাসপাতাল ঠিকঠাক কাগজ না দেওয়ায় কোরোনা হাসপাতালে তাকে ভরতি নেওয়া হয়নি । গতকাল সকালে হাসপাতালের চিকিৎসক তাদের জানায় তাকে কোরোনা হাসপাতালে পাঠানো হবে। কিন্তু দুপুর পর্যন্ত কোরোনা হাসপাতালে পাঠানো হয়নি। এরপরে দুপুর নাগাদ রোগী মারা যায় । তাঁদের অভিযোগ চিকিৎসার গাফিলতির পাশাপাশি হয়রানির কারণেই রোগীর মৃত্যু হয়েছে ।
বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, ওই মহিলার মৃত্যু দুর্ভাগ্যজনক । তিনি শ্বাসকষ্ট নিয়ে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভরতি হয়েছিলেন । 24 অগাস্ট অনেক রাতে ভরতি হয় । ওই রাতেই ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন কিটস দিয়ে দ্রুত টেস্ট করা হয় । সেই টেস্টে পজ়িটিভ রিপোর্ট ধরা পড়ে । এরপরে তাকে বর্ধমানের কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয় । কিন্তু যেহেতু গভীর রাতে ধরা পড়েছিল তাই তার সরকারি ভাবে নমুনার ID নাম্বার দেওয়া যায়নি । কিন্তু কোভিড হাসপাতালে বিষয়টি জানানোর জন্য ফোন করা হয় । কোন কারণে কোরোনা হাসপাতালের তরফে কেউ ফোন ধরেনি । কোভিড হাসপাতালে ভরতির ক্ষেত্রে ভুল বোঝাবুঝির জেরে ভরতি করা নিয়ে সমস্যা দেখা দেয় । ফলে কোভিড হাসপাতাল ফেরত পাঠিয়ে দেয় । ফের তাঁরা বর্ধমান মেডিকেল কলেজে পাঠিয়ে দিলে এখানে তার চিকিৎসা শুরু হয় । সেই সময় ওই রোগীর অবস্থা খুবই খারাপ ছিল । ফলে তাঁকে আর ঝুঁকি নিয়ে কোরোনা হাসপাতালে পাঠানোর অবস্থা ছিল না । গতকাল দুপুরে ওই রোগী মারা যান । এখানে একটা ভুল বোঝাবুঝির ঘটনা ঘটেছে । গভীর রাতের দিকে যেহেতু রিপোর্ট তৈরি নিয়ে যেহেতু সমস্যা থাকে তাই হাসপাতাল রিপোর্টের উপর ভিত্তি করেই যাতে ভরতি নেওয়া হয় সেই আবেদন করা হয়েছে । আশা করি এই ভুল বোঝাবুঝি আর হবে না । তবে রোগীর পরিবারের তরফে কেউ কোন লিখিত অভিযোগ করেনি বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ।