ETV Bharat / state

ফলক বসিয়ে, মিহিদানা খাইয়েও রাস্তা তৈরির লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ তৃণমূলের !

পূর্ব বর্ধমানের গাঙপুর থেকে গঞ্জ মোড় পর্যন্ত তিন কিলোমিটার রাস্তা ৷ টাকা বরাদ্দ হওয়ার পরও কাজ হয়নি ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের নেতা কর্মীরা খাতায়-কলমে রাস্তা তৈরির হিসেব দেখিয়ে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেছেন ৷

ফাইল ফোটো
author img

By

Published : Jul 25, 2019, 10:41 PM IST

Updated : Jul 25, 2019, 11:18 PM IST

বর্ধমান, 25 জুলাই : বরাদ্দ হয়েছিল কয়েক লাখ ৷ তিন কিলোমিটার রাস্তা তৈরির হিসেব দিয়ে বসানো হয় মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পের সিমেন্টের ফলকও ৷ ঘটা করে ফিতে কেটে মিহিদানা খাওয়ানো হয় গ্রামবাসীদের ৷ পূর্ব বর্ধমানের গাঙপুর থেকে গঞ্জ মোড় পর্যন্ত কুমিরের দাঁতের মতো এবড়ো খেবড়ো রাস্তার পাশে ধীরে ধীরে জমা হয় বালি,পাথর, স্টোনচিপ ৷ আশায় বুক বাঁধেন স্থানীয়রা ৷ রাতারাতি নতুন রাস্তার স্বপ্নভঙ্গ হয়৷ উধাও হয়ে যায় রাস্তা তৈরির সামগ্রী ৷ কারা যেন হিসেব দেখানো সিমেন্ট ফলকটাও ভেঙে দেয় ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের নেতা কর্মীরা খাতায়-কলমে রাস্তা তৈরির হিসেব দেখিয়ে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেছেন ৷

দু'নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমান থেকে শক্তিগড় যাওয়ার পথে গাঙপুরের রেলগেট পার করলেই মিলবে বৈকুন্ঠপুর যাওয়ার রাস্তা । কিছুটা মোরামের রাস্তা পেরোলেই দেখা যাবে গাঙপুর থেকে গঞ্জমোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এবড়ো-খেবড়ো রাস্তা । ওই রাস্তা দিয়েই গ্রামের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যায় ৷ অসুস্থ মানুষকেও কষ্ট করে গ্রাম থেকে বর্ধমান মেডিকেলে আনতে গেলে খুবই সমস্যায় পড়তে হয় । বর্ষায় সেই অবস্থা আরও করুণ হয় । এমন কী, নিত্যদিন ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নিশীথ মালিক । বাম আমলে রাস্তা পিচ করা হয় ৷ তারপর তিনবার টাকা বরাদ্দ হয় তৃণমূল আমলে ৷ কিন্তু কাজ আর এগোয়নি ৷

দেখুন ভিডিয়ো

গ্রামবাসীদের দাবি, রাস্তা নির্মাণের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই তা হজম করেছেন । তৃণমূলের বিধায়কও স্বীকার করে নিয়েছেন রাস্তার অবস্থা দীর্ঘদিন বেহাল । কিন্তু, রাস্তা নির্মাণ সামগ্রী পড়ার পরেও কেন সেই কাজ হল না তা জানা নেই ৷ খোঁজ নিয়ে দেখছেন ৷ নতুন করে আবেদনও করা হয়েছে ৷

আপাতত এই পথেই নিত্য যাতায়াত করছেন গ্রামবাসীরা ৷ এখন অপেক্ষায়, আবার কবে রাস্তার পাশে পড়বে মেরামতের সামগ্রী ৷ বসানো হবে সিমেন্টের ফলক ৷ তবে তাতে যেন রাস্তা তৈরি হওয়ার পর সঠিক হিসেব থাকে ৷ আশ্বাসের রাজপথে নয় গাঙপুর থেকে গঞ্জমোড়ের রাস্তায় বিনা ঝুঁকিতে যাতায়াত করতে পারেন তাঁরা ৷

বর্ধমান, 25 জুলাই : বরাদ্দ হয়েছিল কয়েক লাখ ৷ তিন কিলোমিটার রাস্তা তৈরির হিসেব দিয়ে বসানো হয় মহাত্মা গান্ধি জাতীয় গ্রামীণ কর্মনিশ্চয়তা প্রকল্পের সিমেন্টের ফলকও ৷ ঘটা করে ফিতে কেটে মিহিদানা খাওয়ানো হয় গ্রামবাসীদের ৷ পূর্ব বর্ধমানের গাঙপুর থেকে গঞ্জ মোড় পর্যন্ত কুমিরের দাঁতের মতো এবড়ো খেবড়ো রাস্তার পাশে ধীরে ধীরে জমা হয় বালি,পাথর, স্টোনচিপ ৷ আশায় বুক বাঁধেন স্থানীয়রা ৷ রাতারাতি নতুন রাস্তার স্বপ্নভঙ্গ হয়৷ উধাও হয়ে যায় রাস্তা তৈরির সামগ্রী ৷ কারা যেন হিসেব দেখানো সিমেন্ট ফলকটাও ভেঙে দেয় ৷ স্থানীয়দের অভিযোগ, তৃণমূলের নেতা কর্মীরা খাতায়-কলমে রাস্তা তৈরির হিসেব দেখিয়ে সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করেছেন ৷

দু'নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমান থেকে শক্তিগড় যাওয়ার পথে গাঙপুরের রেলগেট পার করলেই মিলবে বৈকুন্ঠপুর যাওয়ার রাস্তা । কিছুটা মোরামের রাস্তা পেরোলেই দেখা যাবে গাঙপুর থেকে গঞ্জমোড় পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এবড়ো-খেবড়ো রাস্তা । ওই রাস্তা দিয়েই গ্রামের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যায় ৷ অসুস্থ মানুষকেও কষ্ট করে গ্রাম থেকে বর্ধমান মেডিকেলে আনতে গেলে খুবই সমস্যায় পড়তে হয় । বর্ষায় সেই অবস্থা আরও করুণ হয় । এমন কী, নিত্যদিন ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক নিশীথ মালিক । বাম আমলে রাস্তা পিচ করা হয় ৷ তারপর তিনবার টাকা বরাদ্দ হয় তৃণমূল আমলে ৷ কিন্তু কাজ আর এগোয়নি ৷

দেখুন ভিডিয়ো

গ্রামবাসীদের দাবি, রাস্তা নির্মাণের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই তা হজম করেছেন । তৃণমূলের বিধায়কও স্বীকার করে নিয়েছেন রাস্তার অবস্থা দীর্ঘদিন বেহাল । কিন্তু, রাস্তা নির্মাণ সামগ্রী পড়ার পরেও কেন সেই কাজ হল না তা জানা নেই ৷ খোঁজ নিয়ে দেখছেন ৷ নতুন করে আবেদনও করা হয়েছে ৷

আপাতত এই পথেই নিত্য যাতায়াত করছেন গ্রামবাসীরা ৷ এখন অপেক্ষায়, আবার কবে রাস্তার পাশে পড়বে মেরামতের সামগ্রী ৷ বসানো হবে সিমেন্টের ফলক ৷ তবে তাতে যেন রাস্তা তৈরি হওয়ার পর সঠিক হিসেব থাকে ৷ আশ্বাসের রাজপথে নয় গাঙপুর থেকে গঞ্জমোড়ের রাস্তায় বিনা ঝুঁকিতে যাতায়াত করতে পারেন তাঁরা ৷

Intro:Assignment Biswajit Chatterjee
উধাও রাস্তা নির্মাণের দ্রব্য সামগ্রী থেকে রাস্তার ফলক, রাস্তার টাকা আত্মসাত করেছে তৃণমূল বলছেন গ্রামবাসীরা

পুলক যশ, পূর্ব বর্ধমান

গ্রামে রাস্তা তৈরির জন্য রাস্তার ধারে মজুত করা হয়েছিল বালি পাথর সহ অন্যান্য দ্রব্য সামগ্রী। রাস্তা নির্মাণের জন্য আনুমানিক ব্যয় কত হবে তা উল্লেখ করে রাস্তার ধারে ফলক লাগানো হয়েছিল। অথচ দেখা গেছে কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তা নির্মাণের দ্রব্যসামগ্রী রাতের অন্ধকারে উধাও হয়ে যায়। এমনকি রাতারাতি সেই ফলকটিকে ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ফলে গাঙপুর থেকে গঞ্জ মোড় পর্যন্ত রাস্তার অবস্থা দিনকে দিন বেহাল হয়ে গেছে। গ্রামবাসীদের অভিযোগ রাস্তা নির্মাণের জন্য যে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল সেই টাকা তৃণমূলের নেতারা আত্মসাৎ করেছে। খাতায় কলমে কাজ হয়েছে দেখিয়ে দিয়েছে তারা সেই টাকা লোপাট করে দিয়েছে।অথচ রাস্তার অবস্থা দিনকে দিন বেহাল হয়ে গেছে। তৃণমূলের বিধায়ক পর্যন্ত স্বীকার করে নিয়েছেন রাস্তার অবস্থা দীর্ঘদিন বেহাল হচ্ছে। কিন্তু কি কারনে রাস্তা নির্মাণ সামগ্রী পড়ার পরেও কেন সেই কাজ হলো না তা তার জানা নেই বলে বিস্ময় প্রকাশ করেছেন তিনি।

দু নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বর্ধমান থেকে শক্তিগড় যাওয়ার পথে গাঙপুরের রেলগেট পার করলেই মিলবে বৈকুন্ঠপুর যাবার রাস্তা। চোখে পড়বে কিছুটা মোরামের রাস্তা এর পরেই কুমিরের দাঁতের মতো এবড়ো খেবড়ো হয়ে আছে দীর্ঘ প্রায় তিন কিলোমিটার রাস্তা। ওই রাস্তা দিয়েই গ্রামের ছেলেমেয়েরা স্কুলে যায় অসুস্থ মানুষকেও কষ্ট করে ওই রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকি নিত্যদিন ওই রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক নিশীথ মালিক। অথচ ওই রাস্তার জন্য কয়েক লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছিল। এমনকি রাস্তা নির্মাণের জন্য পাথর বালি সহ অন্যান্য সামগ্রী ও রাস্তার ধারে ফেলাও হয়েছিল। রাস্তার ধারে লাগানো হয়েছিল মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্ম নিশ্চয়তা প্রকল্পের ফলকও। ওই ফলকের মাধ্যমে ঘোষণা করা হয়েছিল রাস্তার পরিমাপ থেকে রাস্তার খরচের পরিমাণ পর্যন্ত। কিন্তু গ্রামবাসীদের অভিযোগ রাতারাতি রাস্তা নির্মাণের সামগ্রী উধাও হয়ে যায় । তার কিছুদিনের মধ্যেই রাস্তার ধারে যে ফলক লাগানো হয়েছিল সেটা ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। গ্রামবাসীদের দাবি রাস্তা নির্মাণের জন্য যে টাকা বরাদ্দ হয়েছিল সেই টাকা তৃণমূলের নেতাকর্মীরা নিজে হজম করে দিয়েছেন। অথচ রাস্তা কিছুই হলো না। ফলে সেই রাস্তায় চলাচল করা আজ দায় হয়ে উঠেছে। গ্রামের ছেলে মেয়েরা ওই রাস্তা ধরে স্কুল যাবার পথে প্রায় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। গ্রাম থেকে কোন রোগীকে বর্ধমান মেডিকেল করে আনতে গেলে খুবই সমস্যার মধ্যে পড়তে হয়। বর্ষায় সেই অবস্থা আরো করুণ হয়। গ্রামবাসীদের ক্ষোভ বিষয়টি নিয়ে প্রশাসনকে বারবার জানানো হলেও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ওই রাস্তার জন্য অর্থ বরাদ্দ হয়েছিল সে কথা স্বীকার করে নিয়েছেন বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নিশীথ মালিক। তিনি বলেন রাস্তার অবস্থা খুবই বেহাল রাস্তার কাজ কেন হল না সেটা আমি খোঁজ নিয়ে দেখছি।Body:উধাও ফলক, Conclusion:রাস্তা তৈরির দ্রব্য সামগ্রী
Last Updated : Jul 25, 2019, 11:18 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.