বর্ধমান, 9 জুলাই: বিষমদ খেয়ে আরও দু'জনের মৃত্যু হল বর্ধমানে (Purba Bardhaman Hooch Death)। ফলে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল মোট ছ'জন । সোমবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে যে দু'জনের মৃত্যু হয়েছে, তাঁরা হলেন ভবানীপ্রসাদ সাঁই (48) ও শম্ভু শর্মা (52)। এদের মধ্যে ভবানীপ্রসাদের বাড়ি ভাসাপাড়া নিবেদিতা পল্লী এলাকায় ও শম্ভুর বাড়ি কেশবগঞ্জ চটি এলাকায় । ঘটনার জেরে নতুন করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে না আসা পর্যন্ত মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাচ্ছে না । অন্যদিকে, জেলা আবগারি দফতরের তরফে সমস্ত মদের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে ৷ এছাড়া, জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে হোটেল বা ধাবাতেও মদ বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে ৷ নির্দেশ অমান্য করলে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ করা হবে বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷
বিষমদে মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়তেই বাড়তি সতর্কতা নিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন । বিভিন্ন এলাকায় হোটেল, ধাবাগুলিতে নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ । কড়া বার্তা দিয়ে বলা হয়েছে হোটেলে বা ধাবাতে যদি মদ বিক্রি করা হয়, পুলিশ আইনত ব্যবস্থা নেবে । জেলার 134টি হাসপাতাল ও নার্সিংহোমগুলিতেও পুলিশ খোঁজ নিয়ে দেখছে, সেগুলিতে মদ খেয়ে কেউ অসুস্থ হয়ে ভর্তি আছে কিনা ।
আরও পড়ুন: বর্ধমানের হোটেল-ধাবায় বন্ধ মদ বিক্রি, কড়া প্রশাসন
স্থানীয়দের অভিযোগ, বর্ধমান শহরের লক্ষ্মীপুর মাঠ, তিনকোনিয়া, মেহেদীবাগান, জোড়া মন্দির-সহ বিভিন্ন এলাকায় দেশি চোলাই মদের কারবার চলে ।পাশাপাশি চলে গাঁজা, হেরোইন-সহ বিভিন্ন নেশার জিনিস বিক্রির কারবার । শুধু তাই নয়, তিনকোনিয়া, মেহেদীবাগান, লক্ষ্মীপুর মাঠ, বাদশাহী রোড, নবাবহাট-সহ বেশ কিছু এলাকায় ভাতের হোটেল চালানোর পাশাপাশি চলে বেআইনি ভাবে মদ বিক্রি । পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে 50 জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ।