23 মার্চ, কালনা : জনতা কারফিউ উঠতেই সকাল থেকে ভিড় উপচে পড়লো বর্ধমানের বাজার গুলিতে । তার কারণে সবজির দাম এক ধাক্কায় প্রায় দ্বিগুণের বেশি হয়ে গেছে এমনটাই অভিযোগ ক্রেতাদের । পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যবসায়ীদের সচেতন করতে পথে নামল ব্যবসায়ীদের সংগঠন চেম্বার অফ ট্রেডার্স । জেলা পুলিশের পক্ষ থেকেও বিষয়টি নিয়ে সচেতন করা হয়েছে ।
কোরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার । এর আওতায় পড়েছে বর্ধমান শহর ,কালনা এবং কাটোয়া মহকুমা । চেম্বার অফ ট্রেডার্সের পক্ষ থেকে ব্যবসায়ীদের সচেতন করে বলা হয়েছে কোনও ভাবেই যেন তাঁরা জিনিসপত্রের দাম না বাড়ায় । কোনও ব্যবসায়ী যদি জিনিসপত্রের বেশি দাম নেয় তাহলে বর্ধমান থানায় ফোন করে অভিযোগ জানাতে বলা হয়েছে । পাশাপাশি খুব প্রয়োজন ছাড়া সাধারণ মানুষকে ঘর থেকে বাইরে বেরোতে নিষেধ করা হয়েছে । ব্যবসায়ীদের উদ্দেশ্যে চেম্বারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তাঁরা যেন কোনও ভাবেই অহেতুক জিনিসপত্রের দাম না বাড়িয়ে দেয় । সেক্ষেত্রে জেলা প্রশাসন আইনগত ব্যবস্থা নেবে ৷
অন্যদিকে ক্রেতাদের বক্তব্য, উপায় না থাকায় তাঁদের বাইরে বেরোতে হচ্ছে । জিনিসপত্রের যোগান কম থাকায় ব্যবসায়ীরা নিজেদের ইচ্ছামত জিনিসপত্রের দাম বাড়াতে শুরু করেছেন । আলু, পিঁয়াজ অন্যান্য সবজির দাম এক ধাক্কায় দ্বিগুণের বেশি বেড়ে গেছে । চেম্বার অফ ট্রেডার্সের সাধারণ সম্পাদক চন্দ্র বিজয় যাদব বলেন, "গতকাল রাত 9 টা পর্যন্ত কোন ব্যবসায়ী জিনিসপত্র না কিনতে পারায় আজকে জিনিসপত্রের দাম কিছুটা হলেও বেশি আছে । তবে কাল কিংবা পরশু থেকে জিনিসপত্রের দাম স্বাভাবিক হয়ে যাবে । কেউ কেউ গুজব ছড়াচ্ছেন । আমরা মাইকের মাধ্যমে প্রচার করেছি ৷ সঠিক জিনিস দিয়ে সঠিক দাম নেওয়ার জন্য । কোনও ব্যবসায়ী সেই নিয়ম না মানলে তাঁর বিরুদ্ধে প্রশাসন আইনানু ব্যবস্থা নেবে ।