কেতুগ্রাম, 28 এপ্রিল: শ্বাসকষ্ট নিয়ে এক রোগী ভর্তি হয়েছিলেন ব্লক হাসপাতালে । সেখানে চিকিৎসার গাফিলতিতে ওই রোগীর মৃত্যু হয়েছে, এই অভিযোগ তুলে হাসপাতালে ভাঙচুর চালালো রোগীর পরিবারের লোকজনেরা । বুধবারের এই ঘটনায় পূর্ব বর্ধমানের কেতুগ্রাম ব্লক হাসপাতলে ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় । পুলিশ 2 জনকে আটক করেছে ।
জানা যায়, কেতুগ্রামের বেঙুটিপাড়ার বাসিন্দা চয়ন শেখকে শ্বাসকষ্টজনিত কারণে বুধবার দুপুর নাগাদ কেতুগ্রাম ব্লক হাসপাতলে ভর্তি করা হয় । কিন্তু সেখানে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন সেখানকার চিকিৎসকেরা । হাসপাতালের তরফে জানানো হয়, ওই রোগীর করোনা উপসর্গ থাকায় তাঁকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজে নিয়ে যাওয়ার জন্য 102 অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করা হয়েছিল । কিন্তু অ্যাম্বুলেন্স আসতে দেরি করায় রোগীর বাড়ির লোকজন অন্য একটা গাড়ির ব্যবস্থা করেছিলেন ৷
এদিকে এরই মধ্যে চয়ন শেখের মৃত্যু হয় । এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই কেতুগ্রামের বেঙুটিপাড়া ও আশপাশের এলাকা থেকে শতাধিক পুরুষ-মহিলা এসে হাসপাতাল ভাঙচুর করতে শুরু করে । হাসপাতাল ভাঙচুরের পাশাপাশি কর্তব্যরত চিকিৎসক এবং নার্সদেরও মারধর করা হয় বলে অভিযোগ । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় কেতুগ্রাম থানার পুলিশ । ঘটনায় পুলিশ দু'জনকে আটক করেছে ।
চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ অস্বীকার করে হাসপাতালের তরফে বলা হয়েছে ওই রোগীকে সংকটজনক অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছিল । তাঁকে অক্সিজেন দেওয়া হয়েছিল । কিন্তু তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছিল । এরই মধ্যে রোগীর মৃত্যু হয় ৷ তাতে তাঁর পরিবারের লোকজন এসে চিকিৎসকদের মারধর করে হাসপাতালে ভাঙচুর চালায় ।
আরও পড়ুন: টাকা আদায়ে দেনাদারের বাড়িতে করোনা আক্রান্ত স্ত্রীকে বসালেন পাওনাদার