বর্ধমান, 7 অক্টোবর: লাগাতার বৃষ্টি ৷ সেই সঙ্গে দামোদর ও কংসাবতী নদীতে জলস্তর বৃদ্ধি ৷ সবকিছুই নিয়ে চিন্তা বেড়েছে নদীর তীরবর্তী গ্রামের বাসিন্দা ও প্রশাসনের । তবে প্রশাসনের তরফে জানানো হয়েছে, যেহেতু জলস্তর কিছুটা কমতে শুরু করেছে তাই চিন্তার কিছু নেই । তবে আপার ক্যাচমেন্টে কোথায় বৃষ্টি হচ্ছে, সেদিকে নজর রাখা হয়েছে । প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ হঠাৎ করে বাড়ানো হয়েছে । আর সেই কারণে বর্ধমানে কৃষক সেতু সংলগ্ন দামোদর নদেও বাড়ছে জলস্তর । আসলে মাইথন, তেনুঘাট-সহ বেশিরভাগ জলাধারই জলে ভরে গিয়েছে । তাই বিপদের কথা আঁচ করে দামোদর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়ানো হয়েছে ।
দামোদর প্লাবিত হলে পূর্ব বর্ধমানের রায়না, জামালপুর, খণ্ডঘোষের পাশাপাশি হুগলির গোঘাট, হাওড়ার উলুবেড়িয়া, উদয়নারায়ণপুরে ভাসতে পারে । তবে সেটা নির্ভর করছে আপার ক্যাচমেন্টে কেমন বৃষ্টি হচ্ছে তার উপর ৷ এমনটাই মত প্রশাসনের । তবে এখন যা পরিস্থিতি তাতে ভয়ের কারণ নেই বলে জানা গিয়েছে । বিশেষ করে পূর্ব বর্ধমান জেলায় রায়না-1 ব্লক, রায়না-2 ব্লক, গলসি, খণ্ডঘোষ ব্লক এলাকায় প্লাবিত হওয়ার বেশি সম্ভাবনা রয়ছে । আবার কংসাবতী নদীর জলে বেশি প্লাবনের সম্ভাবনা থাকে রায়না-2 ব্লকে । ফলে জেলার সমস্ত এসডিও, বিডিও ও সেচ দফতরের আধিকারিকদের নিয়ে জেলাশাসক বৈঠকও করেছেন । তাদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে । প্রশাসন ইতিমধ্যেই বন্যা মোকাবিলা করার প্রস্তুতি নিয়ে নিয়েছে বলে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন: ক্ষোভে যেন ফুঁসছে দামোদর, আতঙ্ক বাড়ছে গ্রামগুলিতে
পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাঝি বলেন, "আমরা পুরোপুরি প্রস্তুত আছি । আমরা জেলার সমস্ত এসডিও, বিডিও, সেচ দফতর, বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর সঙ্গে বৈঠক করেছি । তবে জল ছাড়ার পরিমাণ ধীরে ধীরে কমছে ৷ আমরা লক্ষ্য রাখছি আপার ক্যাচমেন্টে কোথায় বৃষ্টি হচ্ছে । তবে নদীতে জল বাড়ার জেরে প্রভাব পড়তে পারে রায়না-1, রায়না-2, গলসি ও খণ্ডঘোষ এলাকায় । সেই সব জায়গায় আধিকারিকদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে । কংসাবতী নদী থেকে জল ছাড়লে রায়না-2 ব্লকে বেশি প্রভাব পড়ে । সমস্ত বিডিও এবং সেচ দফতর বিষয়টি লক্ষ্য রেখেছে।"