বর্ধমান, 8 নভেম্বর: মেডিক্যাল কলেজের মর্গ থেকে মৃতদেহ পাচার করতে গিয়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়ল 7 জন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য বর্ধমান শহরে । এর মধ্যে মেডিক্যাল কলেজের চার কর্মী আছেন বলেও অভিযোগ। বর্ধমান থানার পুলিশ তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে ।
হাসপাতাল ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের যেখানে মৃতদেহ রাখা হয় সেখান থেকে শববাহী গাড়িতে করে তিনটি মৃতদেহ লোপাট হচ্ছিল বলে অভিযোগ। নিরাপত্তা কর্মীদের তৎপরতায় মৃতদেহ-সহ ওই তিনটে গাড়িকে হাতেনাতে ধরা হয় । এরপরেই পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ তিনজন গাড়ির চালককে আটক করে। ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মেডিক্যাল কলেজের আরও চারকর্মীকে পুলিশ আটক করে। ঘটনার জেরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় ।
জানা গিয়েছে, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে মৃতদেহ বের করে মৃতদের পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় । কিন্তু বেশ কিছু বেওয়ারিশ লাশ থাকে যেগুলি একটা নির্দিষ্ট দিন রাখার পরে যদি কোনও দাবিদার না-আসে তখন সেগুলিকে পুড়িয়ে ফেলার নির্দেশ দেওয়া হয় । সেক্ষেত্রেও মেডিক্যাল কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয় । অভিযোগ ওঠে মূলত বেওয়ারিশ লাশের ক্ষেত্রে যেহেতু কোন দাবিদার থাকে না, তাই সেগুলি পাচার করার চেষ্টা করছিল শবদেহ বহনকারী গাড়ির চালকেরা। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের হাতেনাতে ধরে ফেলে ।
এই বিষয়ে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ কৌস্তভ নায়েক বলেন, "মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে মৃতদেহ বের করতে হয় । অথচ অনুমতি ছাড়াই মৃতদেহ বের করা হচ্ছিল ।" বর্ধমান থানার পুলিশ জানিয়েছে, একটা ঘটনা ঘটেছে । কয়েকজনকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে । এখনই কিছু বলা সম্ভব নয় । এদিন পুলিশ যাদের আটক করেছে তাদের মধ্যে রয়েছে সুমন মিত্র নামের এক ব্যক্তি রয়েছেন । সুমন মিত্রের মা রীতা মিত্র বলেন, "ছেলে স্বর্গরথ চালায় । শুনছি পুলিশ ছেলে ও আমার স্বামীকে ধরে নিয়ে গিয়েছে । কী ঘটেছে জানি না । তবে তারা কোনও ঘটনায় জড়িত বলে বিশ্বাস করি না ।"
আরও পড়ুন : 'মৃতদেহ' নাকি জল খেয়েছে, জেলা স্বাস্থ্য দফতর বলছে মিথ্যে অভিযোগ