আউশগ্রাম, ৪ মার্চ: আদিবাসী মহিলাকে গণধর্ষণের অভিযোগ 4 যুবকের বিরুদ্ধে ৷ ধৃত দেবাই সোরেন, মঙ্গল হেমব্রম, শম্ভু হেমব্রম,সোম মুর্মুদের শনিবার বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হয়েছে (4 person arrested to accused of tribal woman rape)। তাদের 14 দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার আউশগ্রামের কাছে বছর সাতাশের এক আদিবাসী মহিলা জঙ্গলে পাতা কুড়োতে গিয়েছিলেন । সেই সময় চার যুবক ওই মহিলাকে একা পেয়ে তাঁর মুখ চেপে ধরে গভীর জঙ্গলে তুলে নিয়ে যায়। এরপর তাকে গণধর্ষণ করে সেখানে ফেলে রেখে চলে যায় । তাঁকে যখন অসুস্থ অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে যাওয়া তিন মহিলা ওই নির্যাতিতাকে উদ্ধার করে । প্রথমে তাঁকে বননবগ্রাম হাসপাতাল ও পরে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । বিষয়টি জানিয়ে ইতিমধ্যেই আউশগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ওই আদিবাসী মহিলার পরিবারে পক্ষ থেকে । সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ 4 অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে । ধৃতদের মধ্যে তিনজন আউশগ্রামের ও একজন গলসির বাসিন্দা ।
এই প্রসঙ্গেই নির্যাতিতার মা জানিয়েছেন, তার মেয়ে জ্বালানির জন্য বুধবার বিকাল নাগাদ জঙ্গলে শুকনো পাতা ও ডালপালা কুড়োতে গিয়েছিল । সেই সময় চার যুবক তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে জঙ্গলের মধ্যে ফেলে দিয়ে চলে যায় । সেখানে তার মেয়ে অসুস্থ অবস্থায় পড়েছিল । ওই পথ দিয়ে আসার সময় তিন মহিলা তাকে দেখতে পায় । তাদের সাহায্যে তার মেয়ে বাড়ি ফিরে আসে । বাড়িতে এসে তাঁর মেয়ে সমস্ত ঘটনার কথা জানায় । এরপর আউশগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয় ।
আরও পড়ুন: চলন্ত ট্রেনে মহিলাকে গণধর্ষণ ! গ্রেফতার টিকিট পরীক্ষক
পুলিশ জানিয়েছে, মহিলার অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ । শুক্রবার রাতে দেবাই সোরেন,মঙ্গল হেমব্রম, শম্ভু হেমব্রম ও সোম মুর্মু এই চারজনকে গ্রেফতার করা হয় । তাদের এদিন বর্ধমান জেলা আদালতে তোলা হলে 14 দিনের জেল হেফাজতে পাঠায় । পাশাপাশি আউশগ্রাম থানার পুলিশ ওই নির্যাতিতার সঙ্গে কথা বলে তাঁর বয়ান নেয় । হাসপাতালে যান জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহ রায় ।