কাটোয়া, 15 জানুয়ারি : নাবালিকাকে ধর্ষণ ও যৌন হেনস্থার অভিযোগে তারই পরিবারে চারজনকে দোষী সাব্যস্ত করল কাটোয়া মহকুমা আদালত । এদের মধ্যে দু'জনকে 20 বছরের এবং একজনকে তিন বছরের কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে আদালত । অপর একজন ঘটনার সময় নাবালক থাকায়, দোষী প্রমাণিত হলেও তার সাজা এখনও ঘোষণা করা হয়নি (Katwa Court orders imprisonment in minor girl rape in Katwa) ।
কাটোয়া আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই নাবালিকার বাড়ি কাটোয়া থানা এলাকায় । 2012 সালে তার মা মারা যান । পরে তাকে দক্ষিণেশ্বরে পিসির বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয় । সেই সময় তার পিসতুতো দাদা, পিসতুতো জামাইবাবু ধর্ষণ করে তাকে ৷ এছাড়াও পিসেমশাই, নাবালিকার নিজের দাদাও তাকে যৌন হেনস্থা করে ।
চারজনের বিরুদ্ধে নির্যাতিতা নাবালিকা কাটোয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে । তদন্তে নেমে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় চারজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় পুলিশ । শুক্রবার বিচারক নাবালিকার পিসতুতো দাদা, পিসতুতো জামাইবাবুকে 20 বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও 10 হাজার টাকা জরিমানা করেন । এর সঙ্গে তার পিসেমশাইকে তিন বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয় । ঘটনার সময় তার দাদা নাবালক থাকায় তাকে এদিন শুধু দোষী সাব্যস্ত করা হয় । তার সাজা ঘোষণা বাকি রয়েছে ।
আরও পড়ুন : Santiniketan Rape : শান্তিনিকেতনে আদিবাসী নাবালিকাকে ধর্ষণ, গ্রেফতার তিন অভিযুক্ত
সরকার পক্ষের আইনজীবী শেখ আসরফ আলি বলেন, "এক নাবালিকা 2018 সালের 20 মার্চ কাটোয়া থানায় অভিযোগ করে । অভিযোগে সে জানিয়েছিল 2012 সালে তার মা মারা গেলে, সে তার বাবার কাছেই থাকত । এরপর দক্ষিণেশ্বর এলাকায় তার বড় পিসির বাড়িতে তাকে পাঠানো হয় । সেখানে নাবালিকার পিসতুতো দাদা তার সঙ্গে যৌন সম্পর্ক তৈরি করে । এরপর তাকে হোস্টেলে পাঠিয়ে দেওয়া হয় । সেখান থেকে ছুটিতে ফিরে একদিন ওই নাবালিকা তার বড় পিসতুতো জামাইবাবুর বাড়িতে বেড়াতে যায় । সেখানে ওই ব্যক্তি নাবালিকাকে ধর্ষণ করে । এরপর নাবালিকার ছোট পিসেমশাইও নাবালিকাকে যৌন নির্যাতন করে । এমনকি তার নিজের দাদাও মদ্যপ অবস্থায় তাকে যৌন নির্যাতন করে ।"
আইনজীবী জানান, নাবালিকার অভিযোগের ভিত্তিতে কাটোয়া থানার পুলিশ তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করে । এদিন কাটোয়া কাটোয়া মহকুমা আদালত অভিযুক্তদের সাজা ঘোষণা করে ।