গড়বেতা, 22 নভেম্বর: প্রেমের সম্পর্কে রাজি না হওয়ায়, মাধ্যমিক টেস্ট পরীক্ষা চলাকালীন স্কুলে ঢুকে ছাত্রীর গলায় ছুরি চালানোর অভিযোগ উঠল এক তরুণের বিরুদ্ধে। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতা থানার রসকুণ্ডু হাইস্কুলে । এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ওই ছাত্র্রী ও তাঁর বাবা । অভিযুক্তকে আটক করেছে পুলিশ ৷
মেয়েকে বাঁচাতে গিয়ে ছুরিকাহত হয়েছেন ওই ছাত্রীর বাবাও । তাঁদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয়েছে গড়বেতা হাসপাতালে । আহত ছাত্রীর বয়স 16 বছর । অভিযুক্তের নাম গোবিন্দ বিশ্বাস, তাঁর 21 বছর বয়স । বাড়ি গোয়ালতোড় থানার খড়কাটা এলাকায় । খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় গড়বেতা থানার পুলিশ । এই ঘটনার পরে আতঙ্কিত হয়ে পড়েন স্কুলের ছাত্রছাত্রী ও অভিভাবকেরা । স্কুলের নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকেরা ।
জানা গিয়েছে, বুধবার গড়বেতার রসকুণ্ডু হাইস্কুলে ইংরেজি পরীক্ষা ছিল । যথারীতি অন্যান্য ছাত্রীদের সঙ্গে এ দিন এই দশম শ্রেণির ছাত্রী পরীক্ষার হলে ঢোকে । তাকে স্কুলে ছাড়তে এসেছিলেন তার বাবা । অভিযোগ, এর পরই ওই ছাত্রীকে ছুরি দেখিয়ে টানতে টানতে নিয়ে যেতে থাকে এক তরুণ । আশপাশের ছাত্রী ও শিক্ষকরা হতভম্ব হয়ে যান । তাঁরা ওই ছাত্রীকে বাঁচাতে গেলে তাঁদেরও ছুরি দেখিয়ে ভয় দেখানো হয় বলে অভিযোগ ।
এরপর কিশোরীকে তার বাবা বাঁচাতে গেলে তাঁর উপর এলোপাথাড়ি ছুরি চালিয়ে দেন অভিযুক্ত তরুণ । ছুরি দিয়ে কোপানো হয় ওই কিশোরীকেও । এরপরই পুলিশে খবর দেওয়া হয় ৷ পরীক্ষা শুরু হওয়ার আগেই এই ঘটনা ঘটায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে স্কুল চত্বরে । যদিও শেষ পযন্ত অভিযুক্ত যুবককে আটক করে গড়বেতা থানার পুলিশ । গড়বেতা থানায় ঘটনার লিখিত অভিযোগ জানিয়েছে স্কুল কর্তৃপক্ষ । এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।
এ দিন কিশোরীর বাবা জানিয়েছেন, "এর আগেও মেয়েকে ভয় দেখিয়ে নিয়ে চলে গিয়েছিল ছেলেটা । তার নামে অভিযোগ করা হয় । এরপর মেয়েকে পুলিশের মাধ্যমে ফিরে পেয়ে হোমে রাখা হয়েছিল গত 25 দিন । কিন্তু আজ পরীক্ষা থাকায় ওকে পরীক্ষা দিতে নিয়ে গিয়েই এই কাণ্ড ঘটে । এই ঘটনায় আমি এবং আমার মেয়ে দুজনই আক্রান্ত হয়েছি । ওই যুবক আগেও ভয় দেখিয়েছে ছুরি নিয়ে আমাদের । যদিও এই ঘটনা স্কুল কর্তৃপক্ষ তরফ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে থানায় । গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত যুবককে ।"
এই ঘটনার সঙ্গে অন্য কেউ যুক্ত আছে কি না, বা পুরনো দিনের কোনও শত্রুতা আছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷
আরও পড়ুন: