ETV Bharat / state

Youth Chained in Medinipur : 22 বছর পেরিয়েও শিকলবন্দি জীবন মেদিনীপুরের শাহাজানের - 22 বছর পেরিয়েও শিকলবন্দি জীবন মেদিনীপুরের শাহাজানের

বয়স 22 ৷ আজও শিকলবন্দি জীবন কাটাচ্ছে মেদিনীপুরের যুবক শাহাজান মোল্লা (Twenty Two Years Old Youth Chained in Medinipur)

youth chained by family in medinipur town
শিকলবন্দি জীবন মেদিনীপুরের শাহাজানের
author img

By

Published : Dec 16, 2021, 9:00 PM IST

মেদিনীপুর, 16 ডিসেম্বর : শিকলবন্দি জীবন ৷ শিকল বাঁধা অবস্থাতেই কেটে গিয়েছে জীবনের 22টি বছর ৷ সময় এগোচ্ছে কিন্তু এই শিকলবাঁধা জীবন থেকে এখনও কোনও মুক্তি নেই মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠের মালিয়াড়ার সুকান্ত পল্লি এলাকার বাসিন্দা শাহাজান মোল্লার (Twenty Two Years Old Youth Chained in Medinipur) ৷ আর পাঁচটা যুবকের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা তাঁর জীবন । কেননা ছোট থেকেই সে বন্দি শিকলে ৷ শাহাজানের বাবা পেশায় রিকশা চালক, তাঁর মা লোকের বাড়ি কাজ করেন ৷ গরিব পরিবারের সামর্থ্য নেই ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগানোর, তাই শিকল বন্দি হয়েই কাটছে শাহাজানের কষ্টের জীবন ।

শাহাজানের বাবা বাবুয়া মোল্লা, মা মর্জিনা বিবি ৷ তাঁদের তিন সন্তান । দুই মেয়ে সুলতানা খাতুন ও জান্নাতুন খাতুন এবং ছেলে শাহাজান৷ ছেলেই বড়৷ কিন্তু জন্মানোর পর একটি দুর্ঘটনার ফলে মাথায় চোট পান শাহাজান ৷ তারপর থেকেই কিছুটা মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় তাঁর ৷ পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে যায় কথাও৷ রয়েছে আরও কিছু শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও ৷ ছেলের এই অবস্থা গরিব পরিবারে বয়ে আনে আরও সঙ্কট ৷ পরিবারের মুখে দু'বেলা অন্ন তুলে দিতে হিমশিম খান বাবুয়া মোল্লা ৷ তাঁর পক্ষে আর সম্ভব হয়নি বিপুল অর্থ খরচ করে ছেলের চিকিৎসা করানো ৷ স্থানীয় পঞ্চায়েতে আবেদন করেও মেলেনি সাহায্য ৷ ফলে এখনও শৈশব থেকে কৈশোর পেরিয়ে যৌবনেও শিকল বন্দি হয়েই কাটছে শাহাজানের জীবন ৷

22 বছর পেরিয়েও শিকলবন্দি জীবন মেদিনীপুরের শাহাজানের

আরও পড়ুন : তীর্থযাত্রীদের পূণ্যস্নানের জল ছেটাবে ড্রোন, করোনা আবহে চমক গঙ্গাসাগরে

শাহাজানের মা মর্জিনা বিবি জানিয়েছেন, কাজের জন্য তাঁরা অনেক সময় কেউই বাড়ি থাকেন না, তখন ছেলেকে দেখবে কে? ছাড়া পেলেই এদিক-ওদিক চলে যায় ছেলে ৷ তাই বাধ্য হয়েই তাঁকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হচ্ছে ৷ তাঁদের আশা, কোনও সরকারি সাহায্য পেলে ছেলের চিকিৎসা করাতে পারবেন ৷ কাটবে শাহাজানের এই বন্দিদশা ৷

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নিরঞ্জন হালদার এবিষয়ে অবশ্য জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় সরকারি নথি না থাকায় পরিবারটির সাহায্য পেতে সমস্যা হচ্ছে ৷ তবে তাঁরা চেষ্টা করছেন পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর ৷

মেদিনীপুর, 16 ডিসেম্বর : শিকলবন্দি জীবন ৷ শিকল বাঁধা অবস্থাতেই কেটে গিয়েছে জীবনের 22টি বছর ৷ সময় এগোচ্ছে কিন্তু এই শিকলবাঁধা জীবন থেকে এখনও কোনও মুক্তি নেই মেদিনীপুর শহরের উপকণ্ঠের মালিয়াড়ার সুকান্ত পল্লি এলাকার বাসিন্দা শাহাজান মোল্লার (Twenty Two Years Old Youth Chained in Medinipur) ৷ আর পাঁচটা যুবকের থেকে সম্পূর্ণ আলাদা তাঁর জীবন । কেননা ছোট থেকেই সে বন্দি শিকলে ৷ শাহাজানের বাবা পেশায় রিকশা চালক, তাঁর মা লোকের বাড়ি কাজ করেন ৷ গরিব পরিবারের সামর্থ্য নেই ছেলের চিকিৎসার খরচ জোগানোর, তাই শিকল বন্দি হয়েই কাটছে শাহাজানের কষ্টের জীবন ।

শাহাজানের বাবা বাবুয়া মোল্লা, মা মর্জিনা বিবি ৷ তাঁদের তিন সন্তান । দুই মেয়ে সুলতানা খাতুন ও জান্নাতুন খাতুন এবং ছেলে শাহাজান৷ ছেলেই বড়৷ কিন্তু জন্মানোর পর একটি দুর্ঘটনার ফলে মাথায় চোট পান শাহাজান ৷ তারপর থেকেই কিছুটা মানসিক ভারসাম্য নষ্ট হয়ে যায় তাঁর ৷ পরবর্তীতে বন্ধ হয়ে যায় কথাও৷ রয়েছে আরও কিছু শারীরিক প্রতিবন্ধকতাও ৷ ছেলের এই অবস্থা গরিব পরিবারে বয়ে আনে আরও সঙ্কট ৷ পরিবারের মুখে দু'বেলা অন্ন তুলে দিতে হিমশিম খান বাবুয়া মোল্লা ৷ তাঁর পক্ষে আর সম্ভব হয়নি বিপুল অর্থ খরচ করে ছেলের চিকিৎসা করানো ৷ স্থানীয় পঞ্চায়েতে আবেদন করেও মেলেনি সাহায্য ৷ ফলে এখনও শৈশব থেকে কৈশোর পেরিয়ে যৌবনেও শিকল বন্দি হয়েই কাটছে শাহাজানের জীবন ৷

22 বছর পেরিয়েও শিকলবন্দি জীবন মেদিনীপুরের শাহাজানের

আরও পড়ুন : তীর্থযাত্রীদের পূণ্যস্নানের জল ছেটাবে ড্রোন, করোনা আবহে চমক গঙ্গাসাগরে

শাহাজানের মা মর্জিনা বিবি জানিয়েছেন, কাজের জন্য তাঁরা অনেক সময় কেউই বাড়ি থাকেন না, তখন ছেলেকে দেখবে কে? ছাড়া পেলেই এদিক-ওদিক চলে যায় ছেলে ৷ তাই বাধ্য হয়েই তাঁকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখতে হচ্ছে ৷ তাঁদের আশা, কোনও সরকারি সাহায্য পেলে ছেলের চিকিৎসা করাতে পারবেন ৷ কাটবে শাহাজানের এই বন্দিদশা ৷

স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য নিরঞ্জন হালদার এবিষয়ে অবশ্য জানিয়েছেন, প্রয়োজনীয় সরকারি নথি না থাকায় পরিবারটির সাহায্য পেতে সমস্যা হচ্ছে ৷ তবে তাঁরা চেষ্টা করছেন পরিবারটির পাশে দাঁড়ানোর ৷

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.