ঝাড়গ্রাম, 18 মে: স্বামীর মঙ্গল কামনায় সাবিত্রী চতুর্দশীর পুজো দিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ঝাড়গ্রামের সাবিত্রী মন্দিরে উপচে পড়ল পুণ্যার্থীদের ভিড় । সকাল থেকেই মন্দিরের বাইরে দেখা পূণ্যার্থীদের লম্বা লাইন ৷ রীতি মেনে পুজো করার পর সিঁদুরখেলায় মেতে উঠলেন মহিলারা ৷
বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রাম শহরের ঝাড়গ্রাম রাজবাড়ির সাবিত্রী মন্দিরে সাবিত্রী চতুর্দশীর পুজো দেওয়ার জন্য জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন মহিলারা । তীব্র গরমের কারণে বেলা বাড়ার আগেই পুজো দেওয়ার জন্য সকাল থেকে মহিলাদের লম্বা লাইন চোখে পড়েছে মন্দিরের সামনে । মূলত স্বামীর মঙ্গল এবং দীর্ঘ আয়ু কামনায় মহিলারা সাবিত্রী চতুর্দশীর পুজো দিয়ে থাকেন । সাবিত্রী চতুর্দশীর পুজো দিয়ে সিঁদুর খেলায় মেতে ওঠেন মহিলারা ৷
গরম থেকে রেহাই দিতে মন্দিরে পুজো দিতে আসা পূণ্যার্থীদের শরবত খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে মন্দির কর্তৃপক্ষ । গোপীবল্লভপুরের বাগশাই, খুঁটিচক, আশুই গ্রামে প্রাচীন বটবৃক্ষের নিচে সাবিত্রী চতুর্দশীর পুজো করেন এলাকার মহিলারা । এ দিন সকাল থেকেই গৃহবধূরা বটবৃক্ষের পুজোর পাশাপাশি বটবৃক্ষকে নতুন হলুদ সুতো দিয়ে বেঁধে তার চারপাশে ঘুরে প্রাচীন রীতিনীতি মেনে পুজো করেন ।
ঝাড়গ্রামে সাবিত্রী মন্দিরে সুদূর নয়াগ্রাম থেকে পুজো দিতে আসা পরিণীতা মাঝি, ঝাড়গ্রাম শহরের বাসিন্দা কল্যাণী দাসরা বলেন, "স্বামীর মঙ্গল কামনা এবং দীর্ঘায়ু কামনার জন্য সাবিত্রী চতুর্দশীর পুজো দেওয়া হয় । বিয়ের পর থেকে আমরা এই পুজো করে আসছি ৷"
সাধারণত বিবাহিত মহিলারা স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনা করে বট সাবিত্রী ব্রত করেন । এ দিন শ্রীবিষ্ণু, দেবী লক্ষ্মী ও বটবৃক্ষের পুজো করে থাকেন বিবাহিতারা । সকাল বেলায় মহিলারা নতুন কাপড় পরে বটবৃক্ষ পরিক্রমা করেন ৷ এর পর বটবৃক্ষের চারিদিকে হলুদ সুতো জড়িয়ে ব্রত কথা শুনতে বসেন তাঁরা ৷
আরও পড়ুন: বিশ্বাস আঁকড়ে আজও মৈপীঠে বনবিবির মন্দিরে বিশেষ পুজোর আয়োজন করে সুন্দরবনবাসী