দাসপুর, 20 জুন : স্ত্রীকে বিষ খাইয়ে খুনের অভিযোগ স্বামীর বিরুদ্ধে ৷ ঘটনায় শ্বশুরবাড়ির বাকি সদস্যদের বিরুদ্ধেও যুক্ত থাকার অভিযোগ ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুরের ধরমপুর গ্রামের ঘটনায় এমনই অভিযোগ করেছে নিহত গৃহবধূ গীতা সাঁতরার মেয়ে ৷ ঘটনার পর থেকেই পলাতক শ্বশুরবাড়ির সবাই ৷ শুধুমাত্র নিহতের দেওরকে গ্রেফতার করতে পেরেছে দাসপুর থানার পুলিশ ৷ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল রাত থেকে ধরমপুরে শ্বশুরবাড়ির উঠোনে নিহত গীতাদেবীর দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখায় তাঁর বাপের বাড়ির সদস্যরা ৷
নিহত গীতা সাঁতরার দুই মেয়ে রয়েছে ৷ তার এক মেয়ে অভিযোগ করেছে, গত 11 জুন সকাল থেকে তাঁর মায়ের উপর অত্যাচার শুরু হয় ৷ সে অভিযোগ করেছে, তার বাবা তপন সাঁতরা এবং বাড়ির অন্যরা মিলে ব্যাপক মারধর করে মাকে ৷ গত তিনবছর ধরেই এই অত্যাচার চলছিল ৷ কিন্তু, 11 জুন বিষয়টি হাতের বাইরে চলে যায় ৷ ওইদিন দুপুরে গীতা সাঁতরাকে মারধরের সঙ্গে জোর করে বিষ খাইয়ে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ করেছে তাঁর মেয়ে ৷ বিষয়টি গীতাদেবী বাপের বাড়িতে জানানো হলে, তাঁরা দাসপুর থানার মদতে তাঁকে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি করেন ৷ এর পর 18 জুন, হাসপাতালেই মৃত্যু হয় গীতা সাঁতরার ৷
আরও পড়ুন : পুরুলিয়ায় বধূ হত্যার অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী
শনিবার মৃতদেহের ময়নাতদন্তের পর তাঁর বাপের বাড়ির লোকজন গীতা সাঁতরার দেহ শ্বশুরবাড়িতে নিয়ে যান ৷ সেখানেই বাড়ির উঠোনে গীতাদেবীর দেহ রেখে বিক্ষোভ দেখান তাঁরা ৷ ঘটনায় পলাতক গীতাদেবীর স্বামী তপন সাঁতরা, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ছোট জা-কে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে ৷ ঘটনায় নিহতের বাপের বাড়ির পাশে দাঁড়িয়েছে প্রতিবেশীরাও ৷ গীতাগদেবীর দুই মেয়ের ভবিষ্যৎ সুনিশ্চিত করার দাবিও জানিয়েছেন তাঁরা ৷ বিক্ষোভের বিষয়টি জানাজানি হতেই পুলিশ প্রশাসন নড়েচড়ে বসে ৷ পরিবারের সদস্যদের বুঝিয়ে আজ সকালে গীতা সাঁতরার দেহ সৎকার করা হয় ৷ ঘটনায় ইতিমধ্যে গীতাদেবীর দেওরকে গ্রেফতার করা হয়েছে ৷ পুলিশ বাকিদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে ৷