ETV Bharat / state

ঘাটালে ডাইনি অপবাদে মহিলাকে পিটিয়ে খুন

ডাইনি অপবাদে এক মহিলাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানার ঈশ্বরপুর আদিবাসীপাড়ার ঘটনা। মৃতের নাম আদরমণি হাঁসদা(৫০)।

চলছে নাচ-গান
author img

By

Published : Mar 18, 2019, 2:20 AM IST

ঘাটাল, ১৮ মার্চ : ডাইনি অপবাদে এক মহিলাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানার ঈশ্বরপুর আদিবাসীপাড়ার ঘটনা। মৃতের নাম আদরমণি হাঁসদা(৫০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে এলাকায় কয়েকটি গবাদি পশু মারা যাচ্ছিল। পাশাপাশি গ্রামের বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে ওই গ্রামের জানগুরু শ্যামলী মান্ডির কাছে যায় বাসিন্দারা। গ্রামে মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে নিদান দেয় জানগুরু। তিনদিন ধরে চলছিল মন্দির প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত পুজো-অর্চনা। এরই মাঝে গতকাল জানগুরুর ভর হয়, তাতে গ্রামের ছয় মহিলাকে ডাইনি বলে উল্লেখ করে সে। এদের জন্যই গ্রামে রোগ-জ্বালা এবং এদের শাস্তি না দেওয়া হলে এরা মানুষ মেরে ফেলবে, এই আশঙ্কার কথাও জানায় জানগুরু। গ্রামের মোড়লরা এরপর ওই ছয় মহিলাকে শাস্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। সেই মতো শুরু হয় বিচারসভা। জানগুরুর নিদান অনুযায়ী ডাকা হয় ছয় মহিলাকেও। অভিযোগ, এরপর ওই ছয় মহিলার থেকে টাকা পয়সা কেড়ে নেওয়া হয়। পাশাপাশি, নিজেদের ডাইনি বলে স্বীকার করার জন্য লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। স্বীকার করার পর মারধরের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। একই সঙ্গে চলে ওই সম্প্রদায়ের রীতি অনুযায়ী পুজো, নাচ-গান। মারের চোটে আদরমণি হাঁসদা(৫০) নামে এক মহিলা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থানেই মারা যান।

জানা যাচ্ছে, বিচারসভায় সামিল ছিল গ্রামের আট-আশি সকলেই। খবর পেয়ে পৌঁছায় ঘাটাল থানার পুলিশ। SDPO কল্যাণ সরকার ও ঘাটালের মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। যদিও পুলিশের সামনেই আদরমণির মৃতদেহ ফেলে রেখে চলে পুজো, নাচ-গান। পরিস্থিতি বেগতিক হতে পারে আঁচ করে পুলিশের নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করা ছাড়া উপায় ছিল না।

ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে যান ঘাটালের বিধায়ক শংকর দোলই। এরপর গ্রামের কয়েকজনকে বুঝিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ঘাটাল হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি পাঁচজনের মধ্যে গুরুতর আহত তিন মহিলাকেও হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই গ্রাম ছাড়ে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। ঘটনার পর থেকেই পলাতক জানগুরু শ্যামলী মান্ডি। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে, এমনই পুলিশ সূত্রে খবর। সূত্রের আরও খবর, শ্যামলী মান্ডির স্বামী ঘাটালের একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী।

ঘাটাল, ১৮ মার্চ : ডাইনি অপবাদে এক মহিলাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ। পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটাল থানার ঈশ্বরপুর আদিবাসীপাড়ার ঘটনা। মৃতের নাম আদরমণি হাঁসদা(৫০)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, কয়েকদিন ধরে এলাকায় কয়েকটি গবাদি পশু মারা যাচ্ছিল। পাশাপাশি গ্রামের বেশ কয়েকজন অসুস্থ হয়ে পড়ে। এই পরিস্থিতিতে ওই গ্রামের জানগুরু শ্যামলী মান্ডির কাছে যায় বাসিন্দারা। গ্রামে মন্দির প্রতিষ্ঠা করতে হবে বলে নিদান দেয় জানগুরু। তিনদিন ধরে চলছিল মন্দির প্রতিষ্ঠা সংক্রান্ত পুজো-অর্চনা। এরই মাঝে গতকাল জানগুরুর ভর হয়, তাতে গ্রামের ছয় মহিলাকে ডাইনি বলে উল্লেখ করে সে। এদের জন্যই গ্রামে রোগ-জ্বালা এবং এদের শাস্তি না দেওয়া হলে এরা মানুষ মেরে ফেলবে, এই আশঙ্কার কথাও জানায় জানগুরু। গ্রামের মোড়লরা এরপর ওই ছয় মহিলাকে শাস্তি দেওয়ার উদ্যোগ নেয়। সেই মতো শুরু হয় বিচারসভা। জানগুরুর নিদান অনুযায়ী ডাকা হয় ছয় মহিলাকেও। অভিযোগ, এরপর ওই ছয় মহিলার থেকে টাকা পয়সা কেড়ে নেওয়া হয়। পাশাপাশি, নিজেদের ডাইনি বলে স্বীকার করার জন্য লাঠি দিয়ে মারধর করা হয়। স্বীকার করার পর মারধরের মাত্রা আরও বেড়ে যায়। একই সঙ্গে চলে ওই সম্প্রদায়ের রীতি অনুযায়ী পুজো, নাচ-গান। মারের চোটে আদরমণি হাঁসদা(৫০) নামে এক মহিলা মাটিতে লুটিয়ে পড়েন এবং ঘটনাস্থানেই মারা যান।

জানা যাচ্ছে, বিচারসভায় সামিল ছিল গ্রামের আট-আশি সকলেই। খবর পেয়ে পৌঁছায় ঘাটাল থানার পুলিশ। SDPO কল্যাণ সরকার ও ঘাটালের মহকুমা শাসকের নেতৃত্বে এলাকায় পৌঁছায় পুলিশ বাহিনী। যদিও পুলিশের সামনেই আদরমণির মৃতদেহ ফেলে রেখে চলে পুজো, নাচ-গান। পরিস্থিতি বেগতিক হতে পারে আঁচ করে পুলিশের নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করা ছাড়া উপায় ছিল না।

ঘটনার খবর পেয়ে গ্রামে যান ঘাটালের বিধায়ক শংকর দোলই। এরপর গ্রামের কয়েকজনকে বুঝিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে ঘাটাল হাসপাতালে পাঠানো হয়। বাকি পাঁচজনের মধ্যে গুরুতর আহত তিন মহিলাকেও হাসপাতালে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতেই গ্রাম ছাড়ে পুলিশ। যদিও এখনও পর্যন্ত ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। ঘটনার পর থেকেই পলাতক জানগুরু শ্যামলী মান্ডি। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু হয়েছে, এমনই পুলিশ সূত্রে খবর। সূত্রের আরও খবর, শ্যামলী মান্ডির স্বামী ঘাটালের একটি স্কুলের চতুর্থ শ্রেণির কর্মী।

Intro:কলকাতা, ১৩ ফেব্রুয়ারি: পরীক্ষা শুরুর কয়েক মিনিট আগেই তোলা হয়েছে ছবি। তারপর তা রীতিমতো ভাইরাল হল সোশ্যাল মিডিয়ায় । অন্তত ছবি তোলার সময় সে কথাই বলছে। আর সেই সূত্রেই ফের উঠল মাধ্যমিকের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ। ঘটনায় ব্যাপক ক্ষুব্ধ মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকরা। তাঁদের বক্তব্য, “ বজ্র আঁটুনি ফসকা গেরো। বারবার কেন এমন ঘটনা ঘটছে শিক্ষামন্ত্রী দেখা উচিত।”


Body:অভিযোগ নতুন নয় মোটেই। নেট দুনিয়ার রমরমার আগেও ফাঁস হয়েছে প্রশ্ন। ১৯৯৭ সালে ঘটেছিল তেমনই ঘটনা। ফাঁস হয়ে যায় অংকের প্রশ্ন পত্র। তার জেরে পরীক্ষা শুরুর আগেই বাতিল করে দেওয়া হয় অংক পরীক্ষা। পরীক্ষা হয় অন্য দিন। তথ্য বলছে, ইন্টারনেটের রমরমার বাজারে প্রায় প্রতিবছরই প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ওঠে। যেমনটা উঠেছিল গত বছরও। এবছর মাধ্যমিক পরীক্ষার শুরুর দিনেই বাংলা প্রশ্নপত্র পরীক্ষা শুরুর আগেই ছড়িয়ে পড়ল সোশ্যাল মিডিয়ায়।

রাজ‍্যের মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদের তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল, পরীক্ষা কেন্দ্রে কোনও ভাবেই ব্যবহার করা যাবে না মোবাইল। শিক্ষকদের মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল। অভিযোগ, তারপরেও ফাঁস হয়ে গেল প্রশ্নপত্র।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্র কি আদৌ আসল প্রশ্নপত্র?

বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিরা যান দক্ষিণ কলকাতার একটি স্কুলে। পরীক্ষা শেষ হতেই দেখা যায় ভাইরাল হওয়া প্রশ্নপত্র এবং যে প্রশ্নপত্রে আজ মাধ্যমিকের বাংলা পরীক্ষা হল তা হুবহু এক।


Conclusion:ঘটনা নিয়ে বেজায় চটেছেন অভিভাবকরা। তাদের বক্তব্য, “ এমন ঘটনা বারবার ঘটছে। কেন এমন ঘটনা ঘটছে তা শিক্ষামন্ত্রীর খতিয়ে দেখা উচিত। শিক্ষা দপ্তর এক্ষেত্রে কি করছে। এ যেন বজ্র আঁটুনি ফস্কা গেরো। মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ যদি আবারো বলে, বাংলা পরীক্ষা দেওয়ার জন্য, তাহলে আমদের ছেলেরা কেন দেবে? ওরা তো কোন দোষ করেনি। " পাশাপাশি অভিভাবকরা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়। বলেন, “ যেভাবে এই ধরনের ঘটনা ঘটছে, তাতে আগামীকাল ইংরেজি পরীক্ষার আগে ছাত্রদের মানসিক অবস্থাটা ভেবে দেখেছেন।"

ঘটনা নিয়ে এখনো পর্যন্ত মাধ্যমিক শিক্ষা পর্ষদ কিংবা শিক্ষা দপ্তর কোনও মন্তব্য করতে চায়নি। নির্দিষ্টভাবে জানা যায়নি ঠিক কোথায় এই “প্রশ্নপত্র ফাঁসে”র ঘটনা ঘটেছে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.