কেশিয়াড়ি, ২০ ফেব্রুয়ারি : ফোনে পুরপুরুষের সঙ্গে কথা বলে। এই সন্দেহে স্ত্রী'কে খুন করল ব্যক্তি। ঘটনাটি কেশিয়াড়ি থানা এলাকায়। ঘটনার পর থেকে পলাতক অভিযুক্ত হরিলাল সিং। তদন্ত শুরু করেছে কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ।
মৃতের নাম রিতা সিং (৩৩)। সে ও তাঁর স্বামী হরিলাল সিং (৩৬) ইট ভাটায় কাজ করত। কাজের সূত্রেই আলাপ। পরে বিয়ে। তাদের দুই মেয়েও আছে। ঠিকই চলছিল সব কিছু। অশান্তি শুরু হয় ফোন কেনার পর থেকে। ফোন কেনার পর থেকেই রিতা অন্য কারও সঙ্গে গল্প করতে শুরু করে। হরিলাল সন্দেহ করে, পরপুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি রয়েছে রিতার।
গত সপ্তাহে দু'জনের মধ্যে তুমুল ঝগড়া হয়। রিতার বাবার বাড়ি থেকে এসে ঝামেলা মিটিয়ে দিয়েও যাওয়া হয়। তারপর থেকে আর ঝগড়া করবে না বলেও ঠিক করেছিল দু'জনে। কিন্তু দু'দিনের মাথাতেই ফের ঝগড়া শুরু হয় তাদের মধ্যে। হরিলাল মারধর করে রিতাকে। অভিযোগ, তাতেই মৃত্যু হয় রিতার। স্থানীয়রা জানায়, ঘটনার দিন দু'জনই মদ্যপ অবস্থায় ছিল। স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে আবার ঝগড়া হচ্ছে দেখে রিতার ভাইকে ফোন করে ডাকেন স্থানীয়রা। তিনি এসে দেখেন, রিতা রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে বাড়ির ভিতরে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কেশিয়াড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে গতরাতে মারা যান তিনি।
রিতার ভাই রাজকুমার বলেন, "পাঁচদিন আগে দিদি জামাইবাবুর মধ্যে ফোন নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। আমরা গিয়ে মীমাংসাও করে দিই। আর কোনওদিন ঝামেলা হবে না বলে দু'জনই জানিয়েছিল। তারপর এই ঘটনা ঘটে। দিদিকে মারধর করে। আমরা তো প্রথমে জানতে পারিনি। পরে প্রতিবেশীরা জানতে পেরে আমাদের খবর দেয়। গিয়ে দেখি দিদি রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে আসি। গতরাতে মারা যায় দিদি। জামাইবাবু পালিয়েছে। আমরা চাই ওর শাস্তি হোক।"
মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে কেশিয়াড়ি থানার পুলিশ। পাশাপাশি ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে।