খড়গপুর, 13 জুলাই: জিতেছিলেন সিপিএমের টিকিটে। তারপরই যোগ দিলেন তৃণমূলে ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের বড়কলা পঞ্চায়েতের সিপিএমের জয়ী সিপিএম প্রার্থী আফরোজা বেগমে ভোট মিটতে না মিটতেই যোগ দিলেন শাসক শিবিরে ৷ আর তার জেরে যাদুসংখ্যা পেয়ে বড়কলা গ্রাম পঞ্চায়েত দখলে নিল তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশিরভাগ আসনে তৃণমূল জয় লাভ করলেও খড়্গপুরের কয়েকটি জায়গায় বিরোধীরা জিতেছে ৷
খড়গপুর গ্রামীণের বড়কলা গ্রাম পঞ্চায়েতের 30টি আসনের মধ্যে 14টি পেয়েছিল তৃণমূল । এছাড়া বিজেপি 13, নির্দল 2, সিপিএম 1টি করে আসনে জেতে । এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার রাতে সিপিএমের জয়ী প্রার্থী অনুগামীদের নিয়ে তিনি তৃণমূলে যোগ দিয়েছেন। আর তার জেরে সংখ্যাগরিষ্ঠ হয়েছে তৃণমূল।
শেষ হয়েছে পঞ্চায়েত নির্বাচন। ফলাফলও ইতিমধ্যেই প্রকাশিত ৷ রাজ্যের প্রায় সমস্ত জেলায় শাসক দল বড় ব্যবধানে জিতেছে । তবে পশ্চিম মেদিনীপুরের বড়কলা গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ফলাফল ঘোষণার পর গ্রাম পঞ্চায়েত গঠনের পর্যাপ্ত সংখ্যা না-থাকায় অস্বস্তিতে ছিল শাসক শিবির। নির্দল প্রার্থীরা বিজেপির সঙ্গে মিলে যে কোনও মুহূর্তে গ্রাম পঞ্চায়েতের দখল নিতে পারে বলে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল ।
সেই আশঙ্কাকে উড়িয়ে এবার সিপিএমের গ্রাম পঞ্চায়েতের জয়ী প্রার্থী আফরোজা বেগম বৃহস্পতিবার রাতে মেদিনীপুরে এসে তৃণমূলে যোগদান করেন । তার হাতে পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজর । এর সঙ্গে প্রায় দেড়শো সিপিএম কর্মী-সমর্থকও যোগদান করে শাসক দলে ।
আরও পড়ুন: ভোটে হিংসা ও গণহত্যার অভিযোগে রাজপথে প্রতিবাদ সেলিম-নওশাদদের
তৃণমূলে যোগদান করেই তিনি বলেন, "সিপিএমের হয়ে আমি এলাকায় উন্নয়ন করতে পারতাম না। উন্নয়নের স্বার্থে দেড়শো অনুগামীকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে যোগদান করলাম।" অন্যদিকে, তৃণমূল সাংগঠনিক জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা জানান, যারা নির্দল হয়ে ভোটে লড়াই করেছেন তাঁদের কাউকেই আর দলে ফিরিয়ে নেওয়া হবে না।