কেশিয়াড়ি, 24 মে : বড় জোর আর কয়েক ঘণ্টার অপেক্ষা ৷ আর তারপরই ঘূর্ণিঝড় যশের তাণ্ডব শুরু হয়ে যাবে রাজ্যে ৷ ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, যশের সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে চলেছে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, দুই 24 পরগনা এবং কলকাতায় ৷ ঝড়ের প্রভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে জঙ্গল মহলের সীমানাবর্তী এলাকাগুলিও ৷ পরিস্থিতি মোকাবিলায় এখন থেকেই সতর্ক প্রশাসন ৷ সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইকিং করে আমজনতাকে সতর্ক করছে সংশ্লিষ্ট পৌর কর্তৃপক্ষ ও পুলিশ ৷
করোনার সংক্রমণের মধ্যেই ফের ঘূর্ণিঝড় ৷ আমফানের স্মৃতি মনে করে আতঙ্কিত গোটা বাংলা ৷ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যশ বয়ে যাবে পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুরের বেশ কিছু অংশের উপর দিয়ে ৷ ঘূর্ণিঝড়ের প্রকোপে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে পশ্চিম মেদিনীপুরের সীমানা লাগোয়া এলাকাগুলি ৷ তাই এইসব এলাকায় দিনের পাশাপাশি রাতেও মাইকিং করে মানুষকে সতর্ক করছে প্রশাসন ৷ নদীর পাড় বরাবর কাঁচা বাড়িগুলি থেকে বাসিন্দাদের সরানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে অনেক আগেই ৷ সোমবার থেকেই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে শুরু হয়েছে বৃষ্টি ৷
আরও পড়ুন : 4000 ত্রাণশিবির, 51 বিপর্যয় মোকাবিলা দল; যশ মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য
ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় পশ্চিম মেদিনীপুরে এনডিআরএফের প্রতিনিধিরা আসছেন ৷ তাঁদের থাকার জন্য ঘাটাল এবং দাঁতনে বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়েছে ৷ এছাড়াও 100টি স্কুল নেওয়া হয়েছে ফ্লাড সেন্টার তৈরি করার জন্য ৷ যথেষ্ট পরিমাণে ত্রিপল এবং শুকনো খাবার মজুত করে রাখা হয়েছে ৷ মেদিনীপুর শহরের নদীর পাড় বরাবর কাঁচা বাড়িগুলি থেকে মানুষজনকে নিরাপদ আশ্রয় সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷ একথা জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের জেলাশাসক ডক্টর রেশমি কমল ৷