মেদিনীপুর, 20 মার্চ : আধার কার্ডের যাবতীয় কাজ বন্ধের নির্দেশিকা এল কেন্দ্র থেকে ৷ নির্দেশ পাওয়া মাত্র আধার সংক্রান্ত সমস্ত কাজ বন্ধ করল পশ্চিম মেদিনীপুরের প্রধান ডাকঘর ৷ আধার কার্ডের কাজ বন্ধের পাশাপাশি সংক্রমণ রোধে বসানো হল থার্মাল যন্ত্র । ডাকঘরে যাতায়াতকারী মানুষজনের এই যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করে তবেই ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে ডাকঘরে । কর্মীদের সংক্রমণ রোধে এই ব্যবস্থা বলে জানালেন মুখ্য ডাকঘর অধিকর্তা ।
দিন দিন আতঙ্ক বেড়েই চলছে, বাড়ছে সংক্রমনের সংখ্যা ৷ সংক্রমণ রোধে সরকারিভাবে বিভিন্ন ধরনের কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে । এড়াতে বলা হচ্ছে যেকোনওরকমের ভিড় । গতরাতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি একদিনের জনতা কার্ফু জারি করার নির্দেশ দিয়েছেন । নির্দেশ দিয়েছেন আধার কার্ডের কাজ বন্ধ রাখার । সেই নির্দেশ পাওয়া মাত্র আধার কার্ডের যাবতীয় কাজ বন্ধ করল ডাকঘরগুলি । এদিন কোতয়ালি থানার অন্তর্গত মেদিনীপুর শহরের প্রধান ডাকঘরে আধার কার্ডের কাজ বন্ধের পাশাপাশি থার্মাল যন্ত্র বসানো হয় । সেই থার্মাল যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করে তবেই ঢুকতে দেওয়া হয় ডাকঘরে । এই থার্মাল যন্ত্র দিয়ে টেস্ট করেন ডাকঘরের কর্মীরা । সঙ্গে হাতে স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হচ্ছে ৷ আজ এমনই চিত্র দেখা গেল ডাকঘরে ।
ডাকঘর অধিকর্তা অসিত কুমার মহান্তি জানান, "সরকারি নির্দেশ আসার পর আমরা আধার কার্ড সংশোধন ও নতুন আধার কার্ড দেওয়ার কাজ বন্ধ করেছি । এতদিন পর্যন্ত আমরা গ্রাহকদের কার্ড দিয়ে আসছিলাম । শেষের দিকে আমরা স্যানিটাইজ়ার দিয়ে যন্ত্র মোছার সঙ্গে গ্রাহকদের হাতে স্যানিটাইজ়ার দিয়ে কাজ চালাচ্ছিলাম ৷ কিন্তু, তাতেও সংক্রমণ বাড়ার সম্ভাবনা ছিল । তাই সরকারি নির্দেশে আধার কার্ডের কাজ বন্ধ করতে বলা হয় । সেই নির্দেশ পাওয়া মাত্র আমরা আধার কার্ডের কাজ বন্ধ করে দিয়েছি । আধার কার্ড বন্ধের পাশাপাশি ডাকঘর কর্মীদের কোরোনা সংক্রমণ রোধে আমরা থার্মাল যন্ত্র বসিয়েছি । যে যন্ত্রের দ্বারা আক্রান্ত রোগীদের সহজেই চিহ্নিত করা যাবে । তাঁদের চিহ্নিত করা মাত্র স্বাস্থ্য বিভাগে নিয়ে গিয়ে যথোপযুক্ত চিকিৎসা করা যাবে ৷ সংক্রমণ রোধ করা যাবে বাকি মানুষদের ।"
ডাকঘরে বাকি সমস্ত কাজ চলছে । তবে তা কতদিন চলবে তা নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারছেন না কর্তৃপক্ষ । তাছাড়াও ভিড় এড়াতে কী কী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে সে বিষয়েও অন্ধকারে রয়েছেন তাঁরা । এখন প্রশ্ন জরুরিকালীন কাজগুলি কীভাবে সম্পূর্ণ করা যাবে ৷