ETV Bharat / state

Sand Smuggling বালি পাচারের অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে, বাঁধের উপর রাত জাগছে গ্রাম

তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধানের মদতে বালি পাচারের (Sand Smuggling) অভিযোগ ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর-1 ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘটনা ৷ রাত জেগে বালি পাহারা গ্রামবাসীর ৷

villagers protest against Sand Smuggling at Daspur
Sand Smuggling বালি পাচার ঠেকাতে বাঁধের উপর রাত জাগছে গ্রাম
author img

By

Published : Aug 18, 2022, 3:33 PM IST

দাসপুর, 18 অগস্ট: নদী এবং নদীবাঁধ থেকে বালি পাচারের (Sand Smuggling) অভিযোগ ৷ কাঠগড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধান ৷ গ্রামবাসীর অভিযোগ, লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে বাঁধের বালি ৷ অভিযোগ অস্বীকার পঞ্চায়েত প্রধানের ৷ যথাযথ পদক্ষেপ করার আশ্বাস প্রশাসনের ৷ যদিও তাতে বিশেষ ভরসা পাচ্ছেন না গ্রামবাসী ৷ বালি চুরি ঠেকাতে তাই রাত জেগে বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন তাঁরা ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর-1 ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনা ঘিরে চড়ছে রাজনীতির পারদ ৷

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ষার মরশুম হওয়ায় আগেই বালি উত্তোলন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন ৷ কিন্তু, তা উপেক্ষা করেই বালি তোলার লিখিত অনুমতি দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান অরুণকুমার দলুই ৷ অভিযোগ, সেই 'বেআইনি অনুমতিপত্র'কে শিখণ্ডী করে কাঁসাই নদীর বরো বাঁধ কেটে বালি পাচার করা হচ্ছে ৷ এর বিনিময়ে পঞ্চায়েতকে মোটা টাকা ঘুষ দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বাসিন্দারা ৷ বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে রাতজাগা ! সারা রাত হাতে টর্চ নিয়ে বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন গ্রামের মানুষ ৷

আরও পড়ুন: Illegal Sand Mining : দিনের আলোয় মহানন্দার চর থেকে বালি চুরি মাফিয়াদের

তবে, গ্রামবাসীর এই অভিযোগ মানতে নারাজ পঞ্চায়েত প্রধান ৷ তিনি জানান, বালি চুরির কোনও ঘটনা তাঁরা জানা নেই ৷ গ্রামের বা আশপাশের কেউ যদি রাতের অন্ধকারে বালি তুলে নিয়ে যান, তাও তাঁর অজানা ৷ বালি চুরির দায়ে যেভাবে পঞ্চায়েতকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান অরুণকুমার দলুই ৷

বালি চুরি ঠেকাতে একজোট গ্রামবাসী ৷

অন্যদিকে, পঞ্চায়েত প্রধান দায় ঝেরে ফেলার চেষ্টা করলেও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক কৌশিক সামন্ত ৷ তিনি জানান, তাঁর কার্যালয়ে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে ৷ সেই অভিযোগ পাওয়ামাত্রই বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয় ৷ বালি যে চুরি হয়েছে, সেটা সত্যি ৷ তবে, প্রাথমিকভাবে কেবলমাত্র নদীবাঁধ থেকেই বালি চুরির প্রমাণ মিলেছে ৷ কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটাল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ একইসঙ্গে, এভাবে এই সময় নদী বা নদীবাঁধ থেকে বালি তোলা যে বেআইনি, তাও গ্রামবাসীকে বুঝিয়ে বলা হচ্ছে ৷

দাসপুর, 18 অগস্ট: নদী এবং নদীবাঁধ থেকে বালি পাচারের (Sand Smuggling) অভিযোগ ৷ কাঠগড়ায় তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত এবং সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত প্রধান ৷ গ্রামবাসীর অভিযোগ, লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে পাচার হয়ে যাচ্ছে বাঁধের বালি ৷ অভিযোগ অস্বীকার পঞ্চায়েত প্রধানের ৷ যথাযথ পদক্ষেপ করার আশ্বাস প্রশাসনের ৷ যদিও তাতে বিশেষ ভরসা পাচ্ছেন না গ্রামবাসী ৷ বালি চুরি ঠেকাতে তাই রাত জেগে বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন তাঁরা ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের দাসপুর-1 ব্লকের রাজনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের এই ঘটনা ঘিরে চড়ছে রাজনীতির পারদ ৷

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, বর্ষার মরশুম হওয়ায় আগেই বালি উত্তোলন বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন ৷ কিন্তু, তা উপেক্ষা করেই বালি তোলার লিখিত অনুমতি দিয়েছেন পঞ্চায়েত প্রধান অরুণকুমার দলুই ৷ অভিযোগ, সেই 'বেআইনি অনুমতিপত্র'কে শিখণ্ডী করে কাঁসাই নদীর বরো বাঁধ কেটে বালি পাচার করা হচ্ছে ৷ এর বিনিময়ে পঞ্চায়েতকে মোটা টাকা ঘুষ দেওয়া হচ্ছে বলেও দাবি করেছেন বাসিন্দারা ৷ বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে রাতজাগা ! সারা রাত হাতে টর্চ নিয়ে বাঁধ পাহারা দিচ্ছেন গ্রামের মানুষ ৷

আরও পড়ুন: Illegal Sand Mining : দিনের আলোয় মহানন্দার চর থেকে বালি চুরি মাফিয়াদের

তবে, গ্রামবাসীর এই অভিযোগ মানতে নারাজ পঞ্চায়েত প্রধান ৷ তিনি জানান, বালি চুরির কোনও ঘটনা তাঁরা জানা নেই ৷ গ্রামের বা আশপাশের কেউ যদি রাতের অন্ধকারে বালি তুলে নিয়ে যান, তাও তাঁর অজানা ৷ বালি চুরির দায়ে যেভাবে পঞ্চায়েতকে কাঠগড়ায় তোলা হচ্ছে, তা ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান অরুণকুমার দলুই ৷

বালি চুরি ঠেকাতে একজোট গ্রামবাসী ৷

অন্যদিকে, পঞ্চায়েত প্রধান দায় ঝেরে ফেলার চেষ্টা করলেও ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন ব্লক ভূমি ও ভূমি সংস্কার দফতরের আধিকারিক কৌশিক সামন্ত ৷ তিনি জানান, তাঁর কার্যালয়ে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে অভিযোগ করা হয়েছে ৷ সেই অভিযোগ পাওয়ামাত্রই বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয় ৷ বালি যে চুরি হয়েছে, সেটা সত্যি ৷ তবে, প্রাথমিকভাবে কেবলমাত্র নদীবাঁধ থেকেই বালি চুরির প্রমাণ মিলেছে ৷ কে বা কারা এই কাণ্ড ঘটাল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ একইসঙ্গে, এভাবে এই সময় নদী বা নদীবাঁধ থেকে বালি তোলা যে বেআইনি, তাও গ্রামবাসীকে বুঝিয়ে বলা হচ্ছে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.