চন্দ্রকোনা, 27 জুলাই: ইঞ্জিন ট্রলি চুরি করার সন্দেহে দুই যুবককে ধরে বৈদ্যুতিক খুঁটিতে বেঁধে রেখেছিল জনতা। বুধবার ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার 5 নম্বর ওয়ার্ডের জহরাপুকুর এলাকায়। যদিও পরবর্তীকালে পুলিশ এসে ওই যুবকদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় থানায়। এরপরই তাদের আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে পুলিশ। পুলিশের অনুমান, এই ঘটনার পিছনে বড়সড় ব়্যাকেট থাকতে পারে ৷ তাই তারা তাদেরকে আটক করে জেরা চালাচ্ছে।
ঘটনাক্রমে জানা যায়, চন্দ্রকোনা পৌরসভার চাষিবাড় এলাকার বাসিন্দা রাজেশ রুইদাসের একটি ইঞ্জিন ট্রলি চুরি যায়। তিনি খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন ইঞ্জিন ট্রলিটি চুরি করেছে জহরাপুকুর এলাকার দুই যুবক। গতকাল ওই দুই যুবককে দুপুর নাগাদ এলাকার মানুষ ইলেকট্রিক খুঁটিতে দড়ি দিয়ে বেঁধে রেখে খবর দেয় চন্দ্রকোনা থানায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় চন্দ্রকোনা থানার পুলিশ ৷ স্থানীয়দের দাবি, এলাকায় গত কয়েকদিন ধরে গাড়ির ব্যাটারি চুরির ঘটনা ঘটে। তারা স্বীকার করে নেয় ইঞ্জিন ট্রলি চুরি করেছে।
আরও পড়ুন: ফের চোর সন্দেহে গণপিটুনির অভিযোগ, এবার মালদা ও জলপাইগুড়িতে
পুলিশ সূত্রে খবর, এদের পিছনে বড়সড় কোনও ব়্যাকেট থাকতে পারে। যারা এই ধরনের চুরি হওয়ার ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের খুঁজে বার করতেই এই যুবকদের আটক করেই জেরা চালাচ্ছে পুলিশ প্রশাসন। যদিও এই ঘটনায় কেন এলাকাবাসীরা নিজের হাতে আইন তুলে নিল তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে একাধিক। কারণ এর আগেও চন্দ্রকোনা, দাসপুর, ঘাটাল এলাকায় বিভিন্ন ক্ষেত্রে চোর এবং কুকর্ম করতে ধরা পড়লেই তাদের গাছে বেঁধে মারধর চালান এলাকাবাসীরা।
সেক্ষেত্রে প্রশ্ন উঠছে পুলিশের ভূমিকা নিয়েও। যদিও এই দিনের ঘটনায় মারধর বা কোনওভাবেই আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেনি এলাকার মানুষজন। তারা যুবকদের বেঁধে রেখেই পুলিশে খবর দেয়। অন্যদিকে, ঘটনার পরই সতর্ক হয় এলাকার মানুষ। তারা ইতিমধ্যেই নিজেরাও একপ্রস্থ খোঁজ খবর লাগাতে শুরু করেছে, এই ধরনের অসামাজিক কাজে জড়িতদের খুঁজে বার করার।
আরও পড়ুন: তিন দশক পর বাড়ি থেকেই গ্রেফতার পলাতক চোর