চন্দ্রকোণা, 16 জুন : কথা রাখলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷ পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোণায় শুরু হয়ে গেল দুয়ারে ভ্য়াকসিন কর্মসূচি ৷ এলাকার প্রবীণ নাগরিকদের কথা ভেবেই এই উদ্যোগ ৷ একুশের বিধানসভা ভোটের প্রচারে এসে আমজনতার দরজায় করোনার টিকা পৌঁছে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ৷ রাজ্য়ে নতুন সরকার গঠনের একমাস কাটতেই তাঁর সেই প্রতিশ্রুতি পালন করলেন তিনি ৷ চন্দ্রকোণার ষাটোর্ধ্ব বাসিন্দারা এবার থেকে এই দুয়ারে ভ্য়াকসিন কর্মসূচির সুবিধা পাবেন ৷
মঙ্গলবার থেকেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোণা-2 ব্লকের বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েতে শুরু হয়েছে দুয়ারে ভ্যাকসিন কর্মসূচি ৷ ব্লক স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এদিন বসনছোড়া গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ষাটোর্ধ্ব দুই বৃদ্ধাকে করোনার টিকা দেওয়া হয় ৷ স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা তাঁদের বাড়ি গিয়ে টিকা দিয়ে আসেন ৷ গোটা বিষয়টি পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে চন্দ্রকোণা গ্রামীণ হাসপাতাল ৷ স্বাস্থ্য দফতরের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ক’দিন এই প্রক্রিয়া চলবে ৷ প্রবীণদের সকলকেই তাঁদের বাড়িতে গিয়ে করোনার টিকা দেওয়া হবে ৷
সরকারের এই উদ্যোগে খুশি স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, প্রবীণদের পক্ষে দীর্ঘক্ষণ টিকার লাইনে দাঁড়ানো সম্ভব নয় ৷ অথচ করোনায় আক্রান্ত হলে তাঁদের গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ার সম্ভাবনা বেশি ৷ এই অবস্থায় দুয়ারে ভ্য়াকসিন কর্মসূচি অত্যন্ত কার্যকর হতে পারে ৷ সেক্ষেত্রে ঘরে বসেই করোনা থেকে সুরক্ষিত থাকার চাবিকাঠি প্রবীণদের নাগালে চলে আসবে ৷ তাঁদের টিকাকরণ নিয়ে পরিবারের অন্যদেরও আর ভাবতে হবে না ৷
আরও পড়ুন : টিকাকরণের জন্য নতুন অ্যাপ শুরু করল রাজ্য সরকার
প্রসঙ্গত, গোটা রাজ্যের সঙ্গে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেও আপাতত করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী ৷ তবে এখনও নির্মূল হয়নি ভয়ঙ্কর ভাইরাস ৷ যায়নি মৃত্যুভয়ও ৷ আর সেই কারণেই টিকাকরণের উপর জোর দিচ্ছে রাজ্য সরকার ৷ সেক্ষেত্রে দুয়ারে ভ্য়াকসিন কর্মসূচি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেই মত ওয়াকিবহাল মহলের ৷