নারায়ণগড়, 1 অক্টোবর : মঞ্চে তখন উপস্থিত রয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুজয় হাজরা ৷ ভাষণ দিচ্ছিলেন নারায়ণগড়ের বিধায়ক তৃণমূলের সূর্য অট্ট ৷ ঠিক সেই সময়ই রীতিমতো হইচই বেঁধে যায় ৷ প্রথমে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা নিজেদের মধ্যেই বচসায় জড়িয়ে পড়েন ৷ তার পর মারামারি ৷ যা শেষ হয় চেয়ার ছোড়াছুড়ি দিয়ে ৷
শুক্রবার ঘটনাটি ঘটে পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদায় ৷ সেখানকার বেলদার গঙ্গাধর অ্যাকাডেমিতে তৃণমূলের ওই বৈঠক চলছিল ৷ নারায়ণগড় ব্লকের সমস্ত অঞ্চল সভাপতি ও বুথ সভাপতিদের নিয়ে ওই বৈঠক হচ্ছিল ৷ সেখানেই গোলমাল হয় ৷ পরে পরিস্থিতি সামাল দিতে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় বেলদা থানার পুলিশ ৷ ঘটনাস্থলে যান পুলিশের শীর্ষ আধিকারিকরাও ৷
আরও পড়ুন : Building Submerged: ঘাটালে ঝুমি নদীর জলে ভেঙে পড়ল দোতলা বাড়ি
কিন্তু কেন এমন ঘটনা ঘটল ? কেন প্রকাশ্যে তৃণমূল কর্মীরা একে অপরের সঙ্গে মারামারিতে জড়িয়ে পড়লেন ? এই প্রশ্নের উত্তর এখনও মেলেনি ৷ নারায়ণগড় বিধায়ক সূর্য অট্ট বলেন, ‘‘আমি যখন বক্তব্য রাখছিলেন তৃণমূলের কিছু লোক যাঁরা একসময় বিজেপির বিভিন্ন নির্বাচনে কাজ করেছেন, তাঁরা উঠে চেয়ার ছোড়াছুড়ি করে বিতর্ক সৃষ্টি করেন এবং সভাটি ভন্ডুল করেন । আমরা অনেক চেষ্টা করেছি ৷ কিন্তু তাঁরা শোনেননি । এঁরা এক সময় বিজেপির হয়ে কাজ করতেন, বর্তমানে তাঁরা তৃণমূলে রয়েছেন । আমরা বহুবার এই নিয়ে জেলা সভাপতিকে বলেছি এবং বিষয়টি শীর্ষ নেতৃত্বকেও জানানো হয়েছে ৷ তা সত্ত্বেও তৃণমূলের ভেতরে কিছু বিজেপির লোকজন এই গন্ডগোল করেছে ।’’ তবে সরাসরি বিজেপি এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত নয় বলেও তিনি জানিয়েছেন ।
আরও পড়ুন : Durga Pujo : 300 বছর ধরে মেদিনীপুরের মুখোপাধ্যায় পরিবারে অসুর ছাড়া পূজিত হন অভয়া দুর্গা
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্য বারবার জেলা সভাপতিকে ফোন করা হয় ৷ কিন্তু তিনি ফোন ধরেননি ৷ এ নিয়ে বিজেপির বক্তব্য, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চিরকালই রয়েছে এবং তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জন্যই এই সমস্যা সৃষ্টি হয় । চারিদিকে লুটেপুটে খাওয়া, কাটমানি নিয়ে ওদের গন্ডগোল ৷ আর তার ভাগ চাইতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছে ওই দলের নেতৃত্ব ।