ETV Bharat / state

বিপুল সম্পত্তির উৎস কি? তদন্তের আর্জি নিয়ে জেলা নেতৃত্বের দ্বারস্থ তৃণমূল নেতা

দলের নেতার বিপুল সম্পত্তির উৎস সন্ধানে তদন্তের আর্জি জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী ও শিশির অধিকারীর কাছে চিঠি পাঠালেন তৃণমূল কংগ্রেসেরই এক নেতা জয়দেব বর্মণ । যদিও নিজের বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন সেই নেতা । উলটে মানহানির মামলা করার হুমকি দিয়েছেন তিনি ।

joydeb barman
author img

By

Published : Jun 29, 2019, 12:51 PM IST

তমলুক, 29 জুন : দলের নেতার বিপুল সম্পত্তির উৎস কী তা অনুসন্ধানে তদন্তের আর্জি জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী ও জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীর কাছে চিঠি পাঠালেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা জয়দেব বর্মণ । জয়দেববাবু পেশায় শিক্ষক । পাশাপাশি তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ । জয়দেববাবু পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা ও তাঁর স্ত্রী তথা জেলা পরিষদ সদস্য তনুশ্রী জানার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে জেলা নেতৃত্বের কাছে চিঠি পাঠান । যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দিবাকর জানা।

জয়দেববাবুর অভিযোগ, দিবাকর ও তনুশ্রী তৃণমূল কংগ্রেসের নাম করে লাখ লাখ টাকা কামিয়েছেন । তাঁর আরও অভিযোগ, "২০১২ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে দিবাকরবাবু ও তাঁর স্ত্রী প্রায় ছয় কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন । একটি রিসর্ট, একটি সোনার দোকান ও একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন । আর এসব দেখে এলাকার সাধারণ মানুষের দলের সম্পর্কে খারাপ ধারণা হয়েছে । যার প্রভাব পড়েছে লোকসভা নির্বাচনের ভোটে ।"

joydeb barman
জয়দেববাবুর পাঠানো চিঠি

জয়দেববাবু বলেন, "ব্লক নেতৃত্বই দলের নাম ভাঙিয়ে বিপুল সম্পত্তির মালিক হচ্ছে । আর সেই কারণে সাধারণ মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দল । লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফল হওয়ায় পর্যালোচনা শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও চাইছেন এই সমস্ত নেতৃত্ব সরিয়ে দিয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মীদের সামনের সারিতে আনতে । সামনেই বিধানসভা ভোট । তাই দলের কথা ভেবেই অভিযোগ জানানোর প্রয়োজন বোধ করেছি ।"

joydeb barman
জয়দেববাবুর পাঠানো চিঠি

তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে দিবাকরবাবু বলেন, "গত বিধানসভা, পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে জয়দেববাবু দলের বিরুদ্ধে ভোট করিয়েছিলেন । যার তথ্যপ্রমাণ রয়েছে । কিছুদিন পরেই উনি (জয়দেব বর্মণ) BJP-তে চলে যাবেন । তাই তিনি এসব কৌশল ব্যবহার করছেন যাতে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় । হতেই পারি আমি তৃণমূলের নেতা । কিন্তু তা বাদ দিয়েও আমার নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে । আমার সোনার দোকান রয়েছে । এছাড়া ঠিকাদারি করি । পান সাপ্লাইয়ের ব্যবসাও রয়েছে । ভারতবর্ষের নাগরিক হিসাবে আমি নিজের আর্থিক উন্নতি করতেই পারি । আমি যা ব্যবসা করি তারজন্য সরকারকে কর দিই । কোনও কিছুই হিসাব বহির্ভূত নয় । আমি জয়দেব বর্মণের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব ।"

তমলুক, 29 জুন : দলের নেতার বিপুল সম্পত্তির উৎস কী তা অনুসন্ধানে তদন্তের আর্জি জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী ও জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীর কাছে চিঠি পাঠালেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা জয়দেব বর্মণ । জয়দেববাবু পেশায় শিক্ষক । পাশাপাশি তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ । জয়দেববাবু পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা ও তাঁর স্ত্রী তথা জেলা পরিষদ সদস্য তনুশ্রী জানার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে জেলা নেতৃত্বের কাছে চিঠি পাঠান । যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দিবাকর জানা।

জয়দেববাবুর অভিযোগ, দিবাকর ও তনুশ্রী তৃণমূল কংগ্রেসের নাম করে লাখ লাখ টাকা কামিয়েছেন । তাঁর আরও অভিযোগ, "২০১২ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে দিবাকরবাবু ও তাঁর স্ত্রী প্রায় ছয় কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন । একটি রিসর্ট, একটি সোনার দোকান ও একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন । আর এসব দেখে এলাকার সাধারণ মানুষের দলের সম্পর্কে খারাপ ধারণা হয়েছে । যার প্রভাব পড়েছে লোকসভা নির্বাচনের ভোটে ।"

joydeb barman
জয়দেববাবুর পাঠানো চিঠি

জয়দেববাবু বলেন, "ব্লক নেতৃত্বই দলের নাম ভাঙিয়ে বিপুল সম্পত্তির মালিক হচ্ছে । আর সেই কারণে সাধারণ মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দল । লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফল হওয়ায় পর্যালোচনা শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও চাইছেন এই সমস্ত নেতৃত্ব সরিয়ে দিয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মীদের সামনের সারিতে আনতে । সামনেই বিধানসভা ভোট । তাই দলের কথা ভেবেই অভিযোগ জানানোর প্রয়োজন বোধ করেছি ।"

joydeb barman
জয়দেববাবুর পাঠানো চিঠি

তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে দিবাকরবাবু বলেন, "গত বিধানসভা, পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে জয়দেববাবু দলের বিরুদ্ধে ভোট করিয়েছিলেন । যার তথ্যপ্রমাণ রয়েছে । কিছুদিন পরেই উনি (জয়দেব বর্মণ) BJP-তে চলে যাবেন । তাই তিনি এসব কৌশল ব্যবহার করছেন যাতে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় । হতেই পারি আমি তৃণমূলের নেতা । কিন্তু তা বাদ দিয়েও আমার নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে । আমার সোনার দোকান রয়েছে । এছাড়া ঠিকাদারি করি । পান সাপ্লাইয়ের ব্যবসাও রয়েছে । ভারতবর্ষের নাগরিক হিসাবে আমি নিজের আর্থিক উন্নতি করতেই পারি । আমি যা ব্যবসা করি তারজন্য সরকারকে কর দিই । কোনও কিছুই হিসাব বহির্ভূত নয় । আমি জয়দেব বর্মণের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব ।"

Intro:তমলুক ,২৮ ফেব্রুয়ারি : অকাল বর্ষণের সাথে শিলা বৃষ্টির ফলে কার্যত ভরা মাঠেই নষ্ট হতে বসেছে ফসল। টানা চার দিনের বৃষ্টিতে চাষের মাঠ জলে ডুবে গিয়েছে। সেই সাথে ডুবে গিয়েছে আলু, বাদাম, বিরি কলাই, সরষে, মুরসুমি ফুল সহ অন্যান্য সবজি । ফলে সমবায় সমিতি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করে বিপাকে চাষীরা। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পর ঋণ কিভাবে শোধ করবেন সেই চিন্তাতেই দিন কাটাচ্ছেন তাঁরা। ঋণ মুকুবের দাবি জানাচ্ছেন স্থানীয় প্রশাসনের কাছে। যেকোন উপায়ে ঋণ মুকুব করুক সরকার না হলে আত্মহত্যা ছাড়া কোন গতি নেই জানিয়েছেন চাষীরা।


Body:জেলায় শুরু হয়েছে রবিবার থেকে টানা বৃষ্টি। যার ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে । প্রশাসনের তরফে থেকে ইতিমধ্যেই সরকারের কাছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার প্রায় 30 হাজার হেক্টর জমির ফসল নষ্টের রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে গতকাল। আজ পুনরায় সেই রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। পাঁশকুড়া, কোলাঘাট, তমলুক, এগ্রা ,পটাশপুর সহ বিভিন্ন ব্লকের সবথেকে বেশি ক্ষতি হয়েছে ফুল ও আনাজ চাষের। প্রতিটি ব্লকের চাষিরাই স্থানীয় সমবায় সমিতি গুলি থেকে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন। কোন চাষী 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছেন তো আবার কেউ 30 থেকে 25 হাজার টাকা ঋণ নিয়েছেন। ফসল ভালো হলেও অকাল বর্ষণে সবই এগিয়েছে জলের তলায়। ফলে ফসল বিক্রি করে ঋণ শোধ করার আর কোনো সম্ভাবনাই নেই। যার কারণেই দুঃশ্চিন্তা বাড়ছে চাষীদের মধ্যে। কোলাঘাট ব্লকের মহাদেব ভূঁইয়া নামের এক চাষী স্থানীয় দেহাটি সমবায় সমিতি থেকে প্রায় 1 লক্ষ টাকা ঋণ নিয়ে পাঁচ বিঘা জমি চাষ করেছিলেন। কিন্তু তার সাড়ে চার বিঘা জমির ফসল জলের তলায় চলে যাওয়ায় ঋণশোধ কিভাবে করবেন তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন তিনি। তিনি জানান, মুগ কলাই, খেসারির ডাল, ও ধান চাষ করেছিলাম পাঁচ বিঘা জমিতে। এই চাষ করার জন্য প্রায় এক লক্ষ টাকা লোন নিয়েছি সমিতি থেকে। সব ফসল নষ্ট হয়ে গিয়েছে। কিছুই তুলতে পারিনি, সব জলের তলায় চলে গেছে। সব চাষী লোন শোধ করা নিয়ে চিন্তায় রয়েছে ।সরকার তো ছাড়বে না ।ঋণ মুকুব না করলে ঋণের জ্বালায় আত্মহত্যা ছাড়া কোনো পথ নেই। অপরদিকে পাঁশকুড়া ব্লকের কেশাপাট অঞ্চলের চাষী সুশান্ত মাজি বলেন, টানা বৃষ্টির ফলে যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তার পরিমাণ এখনো পর্যন্ত আমরা হিসেব করেই উঠতে পারছি না। বিঘের পর বিঘে জমির আলু ধান সবজি সব নষ্ট হয়ে গেছে। সমবায় সমিতি থেকে আলু চাষ করার জন্য ঋণ নিয়েছিলাম। ভেবেছিলাম ভালো চাষ হলে ঋণ শোধ করে দেব। এখন কি করবো বুঝতে পারছি না। সরকার এই মুহূর্তে যদি পাশে এসে না দাড়ায় চাষীদের তাহলে আত্মহত্যা করতে হবে। আমি 25 হাজার টাকা লোন নিয়েছি, সব চাষী লোন নিয়ে বিঘের পর বিঘে চাষ করেছে। আলু খোলার মুখেই এই বৃষ্টিতে সব শেষ হয়ে গেল। আমরা সব চাষিরা একজোট হয়ে ঋণ মুকুবের দাবি গ্রাম পঞ্চায়েতে জানাবো।


Conclusion:যদিও চাষীদের চিন্তা মুক্ত থাকার বার্তা দিয়েছেন জেলা কৃষি দপ্তর। পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সহ কৃষি অধিকর্তার মৃণাল কান্তি বেরা জানিয়েছেন, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের তরফে জেলায় ফসলের ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ জানতে চাওয়া হয়েছে আমাদের কাছে। আমরা গতকালই 30000 হেক্টর জমির ফসল ও ফুলের ক্ষতির রিপোর্ট ইতিমধ্যেই জমা দিয়েছি। আজও পুনরায় সব ব্লক থেকে আসা রিপোর্ট গুলি জমা দেওয়া দেব। কৃষকদের চিন্তার কোন কারণ নেই। পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই কৃষকদের সমস্যার কথাকে গুরুত্ব দিয়েই সিদ্ধান্ত নেবে সরকার।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.