তমলুক, 29 জুন : দলের নেতার বিপুল সম্পত্তির উৎস কী তা অনুসন্ধানে তদন্তের আর্জি জানিয়ে শুভেন্দু অধিকারী ও জেলা সভাপতি শিশির অধিকারীর কাছে চিঠি পাঠালেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা জয়দেব বর্মণ । জয়দেববাবু পেশায় শিক্ষক । পাশাপাশি তিনি পূর্ব মেদিনীপুর জেলার শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতির খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ । জয়দেববাবু পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দিবাকর জানা ও তাঁর স্ত্রী তথা জেলা পরিষদ সদস্য তনুশ্রী জানার পদত্যাগের দাবি জানিয়ে জেলা নেতৃত্বের কাছে চিঠি পাঠান । যদিও অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন দিবাকর জানা।
জয়দেববাবুর অভিযোগ, দিবাকর ও তনুশ্রী তৃণমূল কংগ্রেসের নাম করে লাখ লাখ টাকা কামিয়েছেন । তাঁর আরও অভিযোগ, "২০১২ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে দিবাকরবাবু ও তাঁর স্ত্রী প্রায় ছয় কোটি টাকার সম্পত্তি করেছেন । একটি রিসর্ট, একটি সোনার দোকান ও একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন । আর এসব দেখে এলাকার সাধারণ মানুষের দলের সম্পর্কে খারাপ ধারণা হয়েছে । যার প্রভাব পড়েছে লোকসভা নির্বাচনের ভোটে ।"
জয়দেববাবু বলেন, "ব্লক নেতৃত্বই দলের নাম ভাঙিয়ে বিপুল সম্পত্তির মালিক হচ্ছে । আর সেই কারণে সাধারণ মানুষের থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে দল । লোকসভা নির্বাচনে খারাপ ফল হওয়ায় পর্যালোচনা শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনিও চাইছেন এই সমস্ত নেতৃত্ব সরিয়ে দিয়ে স্বচ্ছ ভাবমূর্তির কর্মীদের সামনের সারিতে আনতে । সামনেই বিধানসভা ভোট । তাই দলের কথা ভেবেই অভিযোগ জানানোর প্রয়োজন বোধ করেছি ।"
তবে তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে দিবাকরবাবু বলেন, "গত বিধানসভা, পঞ্চায়েত ও লোকসভা নির্বাচনে জয়দেববাবু দলের বিরুদ্ধে ভোট করিয়েছিলেন । যার তথ্যপ্রমাণ রয়েছে । কিছুদিন পরেই উনি (জয়দেব বর্মণ) BJP-তে চলে যাবেন । তাই তিনি এসব কৌশল ব্যবহার করছেন যাতে তৃণমূল কংগ্রেসের ভাবমূর্তি নষ্ট হয় । হতেই পারি আমি তৃণমূলের নেতা । কিন্তু তা বাদ দিয়েও আমার নিজস্ব ব্যবসা রয়েছে । আমার সোনার দোকান রয়েছে । এছাড়া ঠিকাদারি করি । পান সাপ্লাইয়ের ব্যবসাও রয়েছে । ভারতবর্ষের নাগরিক হিসাবে আমি নিজের আর্থিক উন্নতি করতেই পারি । আমি যা ব্যবসা করি তারজন্য সরকারকে কর দিই । কোনও কিছুই হিসাব বহির্ভূত নয় । আমি জয়দেব বর্মণের বিরুদ্ধে মানহানির মামলা করব ।"