শালবনি (পশ্চিম মেদিনীপুর), 27 মে: উত্তপ্ত জঙ্গলমহল ৷ একদিকে কুড়মিদের হুঁশিয়ারি, অন্যদিকে পালটা হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তৃণমূল কর্মীরা ৷ শনিবার সকালে যখন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘাঘর ঘেরার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে, তখন তৃণমূলের তরফে পালটা হুঁশিয়ারি এলে কর্মীদের উদ্দেশ্যে ৷ শাসক দলের কর্মীদের বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের গাড়ি ঘেরাও করতে এলে পালটা ধোলাই দেওয়া হবে ৷ স্বাভাবিকভাবে এই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে জঙ্গলমহলে ৷
প্রসঙ্গত, মাসখানেক আগে কোচবিহার থেকে তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ সেই কর্মসূচি নিয়ে বিভিন্ন জেলা ঘুরে তিনি এসে পৌঁছেছেন পশ্চিম মেদিনীপুরে ৷ জেলার শালবনিতে শনিবার সভা করেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ শালবনির সুন্দরায় ওই সভা হবে ৷ সেখানে উপস্থিত থাকার কথা মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়েরও ৷
সেই কর্মসূচির আগেই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মীরা ৷ তাঁদের বক্তব্য, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘেরাও করতে এলে এবার ধোলাই হবে ৷ পেটাই হবে । স্বাভাবিকভাবে প্রশ্ন উঠছে যে কেন এই হুঁশিয়ারি দিলেন বাংলার শাসক দলের কর্মীরা ?
উল্লেখ্য, শুক্রবার তৃণমূলে নবজোয়ার কর্মসূচি নিয়ে ঝাড়গ্রামে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ গড়শালবনি হয়ে তাঁর কনভয় যখন ফিরছিল, ঠিক সেই সময় তাঁর গাড়ি চলে যাওয়ার পরেই রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদার গাড়ি ভাঙচুর করা, গাড়িতে ইট-পাটকেল ছোড়ার অভিযোগ ওঠে ৷ ওই জায়গায় কুড়মিরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন ৷ সেই কারণে সন্দেহের তির তাঁদের উপরই যায় ৷ পরে এই ঘটনাকে গুন্ডামি বলে আখ্যা দেন অভিষেক ৷ নেপথ্যে বিজেপিও ছিল বলে অভিযোগ তোলা হয় তৃণমূলের তরফে ৷
যদিও শনিবার কুড়মি নেতা সুমন মাহাতো এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ৷ তাঁর দাবি, এই ঘটনায় কুড়মিদের নাম জড়িয়ে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করা হয়েছে ৷ একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, এবার তাঁরা নিজেদের দাবি আদায়ে মুখ্যমন্ত্রীকে ঘাঘর ঘেরা করবেন ৷ তার মধ্যে তৃণমূলের এই পালটা হুঁশিয়ারিতে উত্তেজনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে ৷