ETV Bharat / state

Chandrakona Rural Hospital: অ্যানাস্থেটিস্ট নেই, চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে বন্ধ অস্ত্রোপচার

পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে (Chandrakona Rural Hospital) বন্ধ রয়েছে সমস্ত ধরনের অস্ত্রোপচার ৷ হাসপাতালে কোনও অ্যানাস্থেটিস্ট না থাকাতেই তৈরি হয়েছে সমস্য়া ৷

surgery service is closed in Chandrakona Rural Hospital due absence of Anaesthetists
ব্যাহত পরিষেবা
author img

By

Published : Feb 23, 2023, 9:04 PM IST

পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল

চন্দ্রকোনা, 23 ফেব্রুয়ারি: অপারেশন থিয়েটার-সহ প্রয়োজনীয় সমস্ত পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে (Chandrakona Rural Hospital) বন্ধ অস্ত্রোপচার ৷ কারণ, হাসপাতালে নেই কোনও অ্যানাস্থেটিস্ট ৷ এর ফলে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন হবু মায়েরা ৷ প্রসবের জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলেই তাঁদের নিয়ে যেতে হচ্ছে দূরের হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমে ৷ তাতে মা ও গর্ভস্থ শিশুর বিপদ বাড়ছে ৷ বাড়ছে খরচ ৷ রোগীর আত্মীয়দের দাবি, অবিলম্বে সমস্যা মেটানো হোক ৷ ঘটনার জন্য সরকার ও রাজ্য প্রশাসনকে দায়ী করছেন বিরোধীরা ৷ সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকও ৷

বর্তমানে এই হাসপাতালের অন্তর্বিভাগের মোট 60টি শয্য়া রয়েছে ৷ চন্দ্রকোনা-2 ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপ্ননীল মিস্ত্রী এখানে রোগী দেখেন ৷ তিনি ছাড়াও হাসপাতালে রয়েছেন চারজন জেনারেল ফিজিশিয়ান এবং একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ৷ এই হাসপাতালে সিজারের সমস্তরকম পরিকাঠামোও রয়েছে ৷ কিন্তু, অ্যানাস্থেটিস্ট না-থাকায় বন্ধ গর্ভবতী-সহ অন্যদের অস্ত্রোপচার ৷

হাসপাতালে সূত্রে জানা গেল, এই সমস্যা শুরু হয় 2018 সালে ! পরবর্তীতে সমস্য়ার সাময়িক সমাধান হয় ৷ 2022 সালের জানুয়ারি মাসে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং একজন অ্যানাস্থিটিস্টকে নিয়োগ করা হয় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ৷ কিন্তু, ওই অ্যানাস্থিটিস্টকে বন্ড পোস্টিংয়ে এখানে আনা হয়েছিল ৷ ফলে বন্ডের সময়সীমা পেরোতেই তিনি অন্যত্র বদলি নিয়ে চলে যান ৷

বিএমওএইচ স্বপ্ননীল মিস্ত্রী এই প্রসঙ্গে বলেন, "এই মুহূর্তে হাসপাতালে কোনও অজ্ঞান করার ডাক্তার নেই ৷ ফলে সিজার বন্ধ রাখা রয়েছে ৷ এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের খুব সমস্যা হচ্ছে ৷ আমরা বিষয়টি সিএমওএইচকে জানিয়েছি ৷ তাঁর কাছে দ্রুত অ্যানাস্থেটিস্ট নিয়োগের আবেদন করেছি ৷"

আরও পড়ুন: হাসপাতালের গাফিলতিতে পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলের মৃত্যুর অভিযোগ

রোগীর আত্মীয়রা অবশ্য এত নিয়ম-কানুন বোঝেন না ৷ তাঁরা বলছেন, গ্রামের অধিকাংশ মানুষেরই বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে যাওয়ার সাধ্য নেই ৷ তাই অবিলম্বে এই হাসপাতালে একজন অ্যানাস্থেটিস্ট আনানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা ৷ একই দাবি শোনা গিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের গলাতেও ৷ বিজেপি নেতা রাজীব পাল জানান, এক সময় এই হাসপাতাল সুষ্ঠু পরিষেবা প্রদানের জন্য পুরস্কৃত হয়েছিল ৷ অথচ, আজ তার এই অবস্থা ! যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রসূন ঘোষ দাবি করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ৷ তাঁর বক্তব্য, চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে ৷

পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতাল

চন্দ্রকোনা, 23 ফেব্রুয়ারি: অপারেশন থিয়েটার-সহ প্রয়োজনীয় সমস্ত পরিকাঠামো থাকা সত্ত্বেও পশ্চিম মেদিনীপুরের চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে (Chandrakona Rural Hospital) বন্ধ অস্ত্রোপচার ৷ কারণ, হাসপাতালে নেই কোনও অ্যানাস্থেটিস্ট ৷ এর ফলে সবথেকে বেশি সমস্যায় পড়ছেন হবু মায়েরা ৷ প্রসবের জন্য অস্ত্রোপচারের প্রয়োজন হলেই তাঁদের নিয়ে যেতে হচ্ছে দূরের হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমে ৷ তাতে মা ও গর্ভস্থ শিশুর বিপদ বাড়ছে ৷ বাড়ছে খরচ ৷ রোগীর আত্মীয়দের দাবি, অবিলম্বে সমস্যা মেটানো হোক ৷ ঘটনার জন্য সরকার ও রাজ্য প্রশাসনকে দায়ী করছেন বিরোধীরা ৷ সমস্যার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিকও ৷

বর্তমানে এই হাসপাতালের অন্তর্বিভাগের মোট 60টি শয্য়া রয়েছে ৷ চন্দ্রকোনা-2 ব্লকের স্বাস্থ্য আধিকারিক স্বপ্ননীল মিস্ত্রী এখানে রোগী দেখেন ৷ তিনি ছাড়াও হাসপাতালে রয়েছেন চারজন জেনারেল ফিজিশিয়ান এবং একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ ৷ এই হাসপাতালে সিজারের সমস্তরকম পরিকাঠামোও রয়েছে ৷ কিন্তু, অ্যানাস্থেটিস্ট না-থাকায় বন্ধ গর্ভবতী-সহ অন্যদের অস্ত্রোপচার ৷

হাসপাতালে সূত্রে জানা গেল, এই সমস্যা শুরু হয় 2018 সালে ! পরবর্তীতে সমস্য়ার সাময়িক সমাধান হয় ৷ 2022 সালের জানুয়ারি মাসে একজন স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ এবং একজন অ্যানাস্থিটিস্টকে নিয়োগ করা হয় চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালে ৷ কিন্তু, ওই অ্যানাস্থিটিস্টকে বন্ড পোস্টিংয়ে এখানে আনা হয়েছিল ৷ ফলে বন্ডের সময়সীমা পেরোতেই তিনি অন্যত্র বদলি নিয়ে চলে যান ৷

বিএমওএইচ স্বপ্ননীল মিস্ত্রী এই প্রসঙ্গে বলেন, "এই মুহূর্তে হাসপাতালে কোনও অজ্ঞান করার ডাক্তার নেই ৷ ফলে সিজার বন্ধ রাখা রয়েছে ৷ এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের খুব সমস্যা হচ্ছে ৷ আমরা বিষয়টি সিএমওএইচকে জানিয়েছি ৷ তাঁর কাছে দ্রুত অ্যানাস্থেটিস্ট নিয়োগের আবেদন করেছি ৷"

আরও পড়ুন: হাসপাতালের গাফিলতিতে পঞ্চায়েত সদস্যের ছেলের মৃত্যুর অভিযোগ

রোগীর আত্মীয়রা অবশ্য এত নিয়ম-কানুন বোঝেন না ৷ তাঁরা বলছেন, গ্রামের অধিকাংশ মানুষেরই বেসরকারি হাসপাতাল বা নার্সিংহোমে যাওয়ার সাধ্য নেই ৷ তাই অবিলম্বে এই হাসপাতালে একজন অ্যানাস্থেটিস্ট আনানোর দাবি তুলেছেন তাঁরা ৷ একই দাবি শোনা গিয়েছে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের গলাতেও ৷ বিজেপি নেতা রাজীব পাল জানান, এক সময় এই হাসপাতাল সুষ্ঠু পরিষেবা প্রদানের জন্য পুরস্কৃত হয়েছিল ৷ অথচ, আজ তার এই অবস্থা ! যদিও স্থানীয় তৃণমূল নেতা প্রসূন ঘোষ দাবি করেছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে রাজ্যের স্বাস্থ্যব্যবস্থার ব্যাপক উন্নতি হয়েছে ৷ তাঁর বক্তব্য, চন্দ্রকোনা গ্রামীণ হাসপাতালের সমস্যা দ্রুত মিটে যাবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.