ETV Bharat / state

Kartik Puja: কেক দিয়ে কার্তিক আরাধনা ! 36 বছর ধরে এটাই রীতি সিনহা পরিবারের - পশ্চিম মেদিনীপুরের কার্তিক পুজো

পশ্চিম মেদিনীপুরের সিনহা পরিবার (Kartik Puja In Paschim Medinipur) ৷ 36 বছর ধরে এই পরিবারে কার্তিক পুজো হচ্ছে ৷ পুজোয় নৈবেদ্যতে থাকে কেক ৷ পুজো দেখতে প্রতিবারেই পূজায় ভিড় করে আত্মীয়-স্বজন ও পাড়া প্রতিবেশীরা। উপস্থিত থাকেন পরিবারের সদস্যরাও ৷

Kartik Puja
ETV Bharat
author img

By

Published : Nov 17, 2022, 10:28 PM IST

মেদিনীপুর, 17 নভেম্বর: নিয়মানুযায়ী কার্তিক সাধারণত বাড়িতে ফেলা হলে তবে পুজো হয় (Kartik Puja In Paschim Medinipur) ৷ কিন্তু মেদিনীপুরের সিনহা বাড়ির পুজোর ইতিহাস অনেকটাই আলাদা ৷ এখানে 36 বছর ধরে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে কার্তিক পুজো হয়ে আসছে ৷ কার্তিকের কাছে নৈবেদ্য হিসাবে নিবেদন করা হয় কেক। পুজোর পর বিসর্জন হয় কার্তিকের ৷

Kartik Puja
কার্তিক আরাধনায় সিনহা পরিবারের দুই কন্যা

এই পুজো ঘিরে উত্তেজনা চরমে থাকে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ৷ ভিন রাজ্যে থাকা বাড়ির মেয়েরাও উপস্থিত হয় ৷ তাদের কাছে কার্তিক ঠাকুর মূর্তি নয় ৷ তাদের দাদা ৷ অন্যান্য বছরের মতো এই বছরও পুজো উপলক্ষ্যেই বিধান নগর জে টোয়েন্টি সেভেনের 'বৃষ্ণি' বাড়িটি সেজে উঠেছে ৷ পুজোতে আসা সিনহা বাড়ির বড় মেয়ে ত্রিনেত্রী সিংহা বলেন, "তাঁর জন্মের তিন বছর আগে অর্থাৎ 1987 সালে পুজোর শুরু হয়েছিল। বাড়ির কর্তা দুর্গাপ্রসাদ সিনহা ও তাঁর স্ত্রী মৈয়েত্রী সিনহার দাম্পত্য জীবনের চতুর্থ বছরে পুজোর আগের রাতে আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধবদের কেউ তাঁদের বাড়ির সামনে কার্তিক রেখে গিয়েছিলেন। সেই থেকে পুজোর শুরু ৷ সাধারণ গৃহস্থ বাড়িতে কার্তিক পুজো পরপর 4 বছর করার পর শেষ যায়। কিন্তু সিনহা বাড়িতে সেই পুজো চলছে এখনও নিষ্ঠা সহকারে।"

Kartik Puja
36 বছর ধরে কেক দিয়ে কার্তিক আরাধনা সিনহা পরিবারের

‘কার্তিক ঠাকুর’ কে বাড়ির দুই মেয়ে ত্রিনেত্রী সিনহা এবং সিবেলী সিনহা 'বড় দাদা' বলে মানেন। সম্প্রতি হায়দরাবাদে বিয়ে হয়েছে বড় মেয়ে ত্রিনেত্রীর ৷ মেয়েকে নিয়ে উপস্থিত তিনিও ৷

আরও পড়ুন: 230 বছরের পা দিল ঐতিহ্যবাহী চণ্ডীপুজো, পুজো ঘিরে মেলা সপ্তাহভর

এই সিনহা বাড়ির কার্তিক পুজো বরাবরই জমজমাট ভাবে হয় ৷ 10 রকম ফলমূল নৈবেদ্যর সঙ্গে থাকে কার্তিকের স্পেশাল কেক । অতীতে 5 ফুটের মূর্তির পুজো হলেও, এখনও মূর্তির উচ্চতা কমিয়ে আনা হয়েছে ৷ তবে এখন আর মূর্তি ফেলে না ৷ স্থানীয় পটুয়া পাড়া থেকে কিনে আনা হয় মূর্তি ৷ নিময় মেনে পুজো হয় ৷ পুজোর পর বিসর্জনও হয় মূতির ৷ বাড়ির সদস্যরা আবার একবছরের অপক্ষা করেন ‘বড় দাদা‘র আগমনের ৷

মেদিনীপুর, 17 নভেম্বর: নিয়মানুযায়ী কার্তিক সাধারণত বাড়িতে ফেলা হলে তবে পুজো হয় (Kartik Puja In Paschim Medinipur) ৷ কিন্তু মেদিনীপুরের সিনহা বাড়ির পুজোর ইতিহাস অনেকটাই আলাদা ৷ এখানে 36 বছর ধরে নিয়ম নিষ্ঠার সঙ্গে কার্তিক পুজো হয়ে আসছে ৷ কার্তিকের কাছে নৈবেদ্য হিসাবে নিবেদন করা হয় কেক। পুজোর পর বিসর্জন হয় কার্তিকের ৷

Kartik Puja
কার্তিক আরাধনায় সিনহা পরিবারের দুই কন্যা

এই পুজো ঘিরে উত্তেজনা চরমে থাকে পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ৷ ভিন রাজ্যে থাকা বাড়ির মেয়েরাও উপস্থিত হয় ৷ তাদের কাছে কার্তিক ঠাকুর মূর্তি নয় ৷ তাদের দাদা ৷ অন্যান্য বছরের মতো এই বছরও পুজো উপলক্ষ্যেই বিধান নগর জে টোয়েন্টি সেভেনের 'বৃষ্ণি' বাড়িটি সেজে উঠেছে ৷ পুজোতে আসা সিনহা বাড়ির বড় মেয়ে ত্রিনেত্রী সিংহা বলেন, "তাঁর জন্মের তিন বছর আগে অর্থাৎ 1987 সালে পুজোর শুরু হয়েছিল। বাড়ির কর্তা দুর্গাপ্রসাদ সিনহা ও তাঁর স্ত্রী মৈয়েত্রী সিনহার দাম্পত্য জীবনের চতুর্থ বছরে পুজোর আগের রাতে আত্মীয়, বন্ধু-বান্ধবদের কেউ তাঁদের বাড়ির সামনে কার্তিক রেখে গিয়েছিলেন। সেই থেকে পুজোর শুরু ৷ সাধারণ গৃহস্থ বাড়িতে কার্তিক পুজো পরপর 4 বছর করার পর শেষ যায়। কিন্তু সিনহা বাড়িতে সেই পুজো চলছে এখনও নিষ্ঠা সহকারে।"

Kartik Puja
36 বছর ধরে কেক দিয়ে কার্তিক আরাধনা সিনহা পরিবারের

‘কার্তিক ঠাকুর’ কে বাড়ির দুই মেয়ে ত্রিনেত্রী সিনহা এবং সিবেলী সিনহা 'বড় দাদা' বলে মানেন। সম্প্রতি হায়দরাবাদে বিয়ে হয়েছে বড় মেয়ে ত্রিনেত্রীর ৷ মেয়েকে নিয়ে উপস্থিত তিনিও ৷

আরও পড়ুন: 230 বছরের পা দিল ঐতিহ্যবাহী চণ্ডীপুজো, পুজো ঘিরে মেলা সপ্তাহভর

এই সিনহা বাড়ির কার্তিক পুজো বরাবরই জমজমাট ভাবে হয় ৷ 10 রকম ফলমূল নৈবেদ্যর সঙ্গে থাকে কার্তিকের স্পেশাল কেক । অতীতে 5 ফুটের মূর্তির পুজো হলেও, এখনও মূর্তির উচ্চতা কমিয়ে আনা হয়েছে ৷ তবে এখন আর মূর্তি ফেলে না ৷ স্থানীয় পটুয়া পাড়া থেকে কিনে আনা হয় মূর্তি ৷ নিময় মেনে পুজো হয় ৷ পুজোর পর বিসর্জনও হয় মূতির ৷ বাড়ির সদস্যরা আবার একবছরের অপক্ষা করেন ‘বড় দাদা‘র আগমনের ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.