ETV Bharat / state

শুভেন্দু অনুগামী! তাই কি দেহরক্ষী সরলো জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্য়ক্ষের ?

তৃণমূলের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয় বলেই সৌগত রায়কে সোশাল মেসেজ়িং সাইটে জানিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ আর তারপর এবার শুভেন্দু অনুগামীদের দেহরক্ষী তুলে নিয়ে ডানা ছাঁটার প্রক্রিয়া শুরু করল রাজ্য়ে শাসক দল । বাস্তব চিত্র এমনটাই বলছে ৷ শুক্রবার সাত সকালেই নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধক্ষ্য অমূল্য় মাইতির ।

security_removed_by_government_of_jila_parishad_karmadhakshya_of_west_medinipur
শুভেন্দু অনুগামী! তাই কি দেহরক্ষী সরলো জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্য়ক্ষের ?
author img

By

Published : Dec 4, 2020, 3:47 PM IST

Updated : Dec 4, 2020, 7:06 PM IST

পশ্চিম মেদিনীপুর, 4 ডিসেম্বর : শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী, আর সেই কারণেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য় কর্মাধ্য়ক্ষ অমূল্য় মাইতির দেহরক্ষীদের সরিয়ে দেওয়া হল ৷ এমন অভিযোগ করেছেন অমূল্য় মাইতি নিজে ৷ এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খাদ্য় কর্মাধ্য়ক্ষ ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, এর পিছনে রয়েছেন রাজ্য়সভার সাংসদ মানস ভুইঞা ৷ তাঁর নির্দেশেই এই কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ খাদ্য় কর্মাধ্য়ক্ষের ৷ মানস ভুইঞাকে কাগুজে বাঘ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি ৷

তৃণমূলের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয় বলেই সৌগত রায়কে সোশাল মেসেজ়িং সাইটে জানিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ আর তারপর এবার শুভেন্দু অনুগামীদের দেহরক্ষী তুলে নিয়ে ডানা ছাটার প্রক্রিয়া শুরু করলো রাজ্য়ে শাসক দল । বাস্তব চিত্র এমনটাই বলছে ৷ শুক্রবার সাত সকালেই নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধক্ষ্য অমূল্য় মাইতির । সুত্রের খবর বৃহস্পতিবার রাতেই নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহারের বিষয়টি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে টেলিফোনে জানানো হয় তাঁকে । প্রসঙ্গত অমুল্য মাইতি দীর্ঘদিন ধরেই শুভেন্দু অনুরাগী নামেই পরিচিত। সাম্প্রতিককালে একাধিকবার শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধেই মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে অমূল্য় মাইতিকে। সর্বশেষ নভেম্বরের ৩০ তারিখ অমূল্য মাইতির ডাকে সাড়া দিয়ে ছুটে আসতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। গোটা বিষয়টি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব যে মোটেও ভালোভাবে নেয়নি, তা জেলার নেতাদের কথাতেই স্পষ্ট হয়ে যায়।

আরও পড়ুন : তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠনের দায়িত্ব থেকে সরানো হল শুভেন্দুকে


এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের রাজনীতি করে আসছি । মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের একনিষ্ঠ কর্মী । বিগত দিনে দেহরক্ষী দিয়েছেন পুলিশ সুপার এবং সেই দেহরক্ষী নিয়েই তৃণমূলের বিভিন্ন প্রচার করেছি জঙ্গলমহলে । এছাড়া শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে দীর্ঘ 40 বছরের সম্পর্ক। তবে আমি কারও অনুগামী নই ৷" তবে খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির অভিযোগ সরাসরি রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মানস ভুইঞার দিকে। যদিও সেই নিয়ে প্রশ্ন করলেও, কোনও মন্তব্য করতে নারাজ মানসবাবু । তাঁকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখন ‘দুয়ারে সরকারে’র প্রচারে ব্যস্ত ৷ এসব বিভ্রান্তিকর ও ভুলভাল খবর নিয়ে কিছু বলার সময় আমরা নেই ।’’

শুভেন্দু অনুগামী! তাই কি দেহরক্ষী সরলো জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্য়ক্ষের ?


এ বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি সমিত দাস বলেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় প্রথম ক্ষমতায় এসে এই বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ছিল তৃণমূলের মধ্যে । তিনি বলেছিলেন বদলা নয় বদল চাই ৷ কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি বদলা নিতেই ব্যস্ত ছিলেন এবং বলেছিলেন সিপিএম-এর কোনও বিয়ে বাড়ি বা অনুষ্ঠানে যেন তৃণমূল কর্মীরা না যায় । তাঁর দেখানো পথেই এসব কাণ্ড হয়ে চলছে । তবে, শুভেন্দু অনুরাগী নামে পরিচিত সবংয়ের দাপুটে নেতা অমূল্য় মাইতির নিরাপত্তারক্ষী তুলে নিয়ে, জেলার অন্যান্যদেরও কড়া বার্তা দেওয়া হল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

পশ্চিম মেদিনীপুর, 4 ডিসেম্বর : শুভেন্দু অধিকারীর অনুগামী, আর সেই কারণেই পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য় কর্মাধ্য়ক্ষ অমূল্য় মাইতির দেহরক্ষীদের সরিয়ে দেওয়া হল ৷ এমন অভিযোগ করেছেন অমূল্য় মাইতি নিজে ৷ এই ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন খাদ্য় কর্মাধ্য়ক্ষ ৷ তিনি অভিযোগ করেছেন, এর পিছনে রয়েছেন রাজ্য়সভার সাংসদ মানস ভুইঞা ৷ তাঁর নির্দেশেই এই কাজ হয়েছে বলে অভিযোগ খাদ্য় কর্মাধ্য়ক্ষের ৷ মানস ভুইঞাকে কাগুজে বাঘ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি ৷

তৃণমূলের সঙ্গে একসঙ্গে কাজ করা সম্ভব নয় বলেই সৌগত রায়কে সোশাল মেসেজ়িং সাইটে জানিয়ে দিয়েছিলেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ আর তারপর এবার শুভেন্দু অনুগামীদের দেহরক্ষী তুলে নিয়ে ডানা ছাটার প্রক্রিয়া শুরু করলো রাজ্য়ে শাসক দল । বাস্তব চিত্র এমনটাই বলছে ৷ শুক্রবার সাত সকালেই নিরাপত্তারক্ষী তুলে নেওয়া হল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধক্ষ্য অমূল্য় মাইতির । সুত্রের খবর বৃহস্পতিবার রাতেই নিরাপত্তারক্ষী প্রত্যাহারের বিষয়টি জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে টেলিফোনে জানানো হয় তাঁকে । প্রসঙ্গত অমুল্য মাইতি দীর্ঘদিন ধরেই শুভেন্দু অনুরাগী নামেই পরিচিত। সাম্প্রতিককালে একাধিকবার শুভেন্দু অধিকারীকে আক্রমণের প্রতিবাদ করতে গিয়ে দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধেই মুখ খুলতে দেখা গিয়েছে অমূল্য় মাইতিকে। সর্বশেষ নভেম্বরের ৩০ তারিখ অমূল্য মাইতির ডাকে সাড়া দিয়ে ছুটে আসতে দেখা গিয়েছে শুভেন্দু অধিকারীকে। গোটা বিষয়টি জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব যে মোটেও ভালোভাবে নেয়নি, তা জেলার নেতাদের কথাতেই স্পষ্ট হয়ে যায়।

আরও পড়ুন : তৃণমূলের কর্মচারী সংগঠনের দায়িত্ব থেকে সরানো হল শুভেন্দুকে


এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতি বলেন, "দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের রাজনীতি করে আসছি । মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়ের একনিষ্ঠ কর্মী । বিগত দিনে দেহরক্ষী দিয়েছেন পুলিশ সুপার এবং সেই দেহরক্ষী নিয়েই তৃণমূলের বিভিন্ন প্রচার করেছি জঙ্গলমহলে । এছাড়া শুভেন্দুবাবুর সঙ্গে দীর্ঘ 40 বছরের সম্পর্ক। তবে আমি কারও অনুগামী নই ৷" তবে খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ অমূল্য মাইতির অভিযোগ সরাসরি রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ মানস ভুইঞার দিকে। যদিও সেই নিয়ে প্রশ্ন করলেও, কোনও মন্তব্য করতে নারাজ মানসবাবু । তাঁকে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমরা এখন ‘দুয়ারে সরকারে’র প্রচারে ব্যস্ত ৷ এসব বিভ্রান্তিকর ও ভুলভাল খবর নিয়ে কিছু বলার সময় আমরা নেই ।’’

শুভেন্দু অনুগামী! তাই কি দেহরক্ষী সরলো জেলা পরিষদের খাদ্য কর্মাধ্য়ক্ষের ?


এ বিষয়ে বিজেপির জেলা সভাপতি সমিত দাস বলেন, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় প্রথম ক্ষমতায় এসে এই বিভ্রান্তি ছড়িয়ে ছিল তৃণমূলের মধ্যে । তিনি বলেছিলেন বদলা নয় বদল চাই ৷ কিন্তু পরবর্তীকালে তিনি বদলা নিতেই ব্যস্ত ছিলেন এবং বলেছিলেন সিপিএম-এর কোনও বিয়ে বাড়ি বা অনুষ্ঠানে যেন তৃণমূল কর্মীরা না যায় । তাঁর দেখানো পথেই এসব কাণ্ড হয়ে চলছে । তবে, শুভেন্দু অনুরাগী নামে পরিচিত সবংয়ের দাপুটে নেতা অমূল্য় মাইতির নিরাপত্তারক্ষী তুলে নিয়ে, জেলার অন্যান্যদেরও কড়া বার্তা দেওয়া হল বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

Last Updated : Dec 4, 2020, 7:06 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.